বারবার কেন এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে? by সোহেলুর রহমান
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ৬০ মাইল উত্তর-পূর্বের শহর নিউ টাউনে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে এক ২০ বছর বয়সী তরুণের গুলিতে নিহত হয়েছে ২০ স্কুল শিশুসহ ২৮ জন।
এটি মার্কিন মুল্লুকে কোনো বন্দুকধারীর উন্মত্ত হামলায় হত্যার দ্বিতীয় বড় ঘটনা। এর আগে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক ছাত্রের গুলিতে ৩২ জন নিহত হয়েছিল।
এদিন অ্যাডাম ল্যানজা নামের ওই তরুণ হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থলেই ১৮ শিশুকে হত্যা করে। পরে হামলাকারীও তার মায়ের মৃতদেহও স্কুলে পাওয়া গেছে।
বন্দুকধারী এই স্কুলেরই এক শিক্ষিকা ও তার ছেলেকেও হত্যা করেছে।
চোখের পানি ফেলে এ ঘটনাকে অপূরণীয় ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ঘোষণা করেছেন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার।
তবে পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের এই স্কুলে হামলায় বেঁচে গেছে একমাত্র বাংলাদেশি ছাত্র মামনুন আহমেদ।
এমন হত্যাকাণ্ডের কারণ
কেন বারবার এই হামলা? কেন যুক্তরাষ্ট্রসহ সভ্যতার মোড়ল দাবিদার ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে প্রায়ই এই উন্মাদ হত্যাকাণ্ড।
কীভাবে থামানো সম্ভব সবোর্চ্চ আধুনিকতার মুখোশে ঢাকা দেশের এই বর্বর হত্যাকারীদের?
মার্কিন দেশে হরহামেশাই এমন শিশুহত্যা ও গণহত্যার কিছু কারণ খুঁজে বের করেছেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্লেন ডব্লিউ মুসচার্ট।
তিনি এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, উঠতি তরুণদের বিভিন্ন গ্রুপ ও এদের মধ্যে আন্তকোন্দল, স্কুলের বিভিন্ন নিয়মকানুনের সঙ্গে মানিয়ে না নিতে পারা, সামvজিক সংহতির সমস্যা, অসহিঞ্চুতা, স্কুলে নানারকম সমস্যা ও শাস্তি, পুরুষত্বের তেজ, রাজনৈতিক সংস্কৃতির আনুকূল্য, অস্ত্রের সহজলভ্যতা, সহিংসতার পরিবেশসহ নানা রকম মানসিক বৈকল্যের কারণে অনেকে এই হত্যাপ্রবণ মানসিকতা লালন করে থাকেন।
অপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আলফ্রেড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল শিশুদের উপরে গণহত্যার ও অন্যান্য হত্যাকাণ্ড বিষয়ে সাধারণ জনতাকে ১৬ ধরনের প্রশ্ন করেছিল। জবাবে এদের সর্বোচ্চ মধ্যে ৮৭ শতাংশ বলেছেন, মনে আঘাত দেওয়ার বদলা নিতে, ৮৬ শতাংশ বলেছেন অন্য সহপাঠীদের কাছ থেকে বিদ্রুপ কিংবা ভয় পেয়ে প্রতিশোধ নিতে, ৬২ শতাংশ বলেছেন জীবনের কোনো মূল্য নেই--এমন ভাবনায়, ৫৬ শতাংশ বলেছেন অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা ও মানসিক বৈকল্যে কারণে, ৫২ শতাংশ বলেছেন মাদকাসক্তের কারণে, ৪৯ শতাংশ ভালো বন্ধুর অভাবে, ৩৭ শতাংশ মুভি ও কম্পিউটচার গেম দেখে, ২৬ শতাংশ শিক্ষকদের অযত্নে, ১৮ শতাংশ নিরাপত্তাহীনতার কারণে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
হত্যাকাণ্ডের প্রভাব
স্কুলে গণহত্যা ও অন্যান্য গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া সবার মধ্যেই এক ধরনের মানসিক বৈকল্য লক্ষ্য করা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এর ভয়াবহতা আরও অনেক বেশি।
এ বিষয়ে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ফ্লিন্ট অঞ্চলে ‘জেনেসি কাউন্টি কমিউনিটি মেন্টাল হেল্থ’-এর ক্লিনিক্যাল সার্ভিসের সিনিয়র ডাইরেক্টর ন্যান্সি রোড্ডা বলেন, এ ধরনের মানসিক আঘাতের ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনকি এতে করে শিশুর দীর্ঘমেয়াদে মানসিক বৈকল্যও দেখা দিতে পারে।
সমাধানের উপায় কি?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৪৯ সালে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের সমস্যার শিকার হয়। এরপর নিয়মিত ঘটে আসছে এমন হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। কী করে থামানো সম্ভব এই হত্যাকাণ্ড?
নিউ স্যান্ডির এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে সিএনএনের অনলাইন সংস্করণে মন্তব্য করছেন দুই সহস্রাধিক মানুষ। তারা বলেছেন কার্যকরী উপায়গুলো হলো- ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখার নিয়ম কানুনকে আরও বেশি শক্ত করা, অস্ত্রের অতি সহজলভ্যতা রোধ করা, সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য একটি অস্ত্র আইন করা, স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত করা, মুভি, ড্রামা ও ফিকশন্সসহ বিভিন্ন বিনোদন মিডিয়াতে অস্ত্রের ভয়াবহতা কম করে প্রদর্শন করা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ঘটানো, পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা প্রভৃতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কয়েকটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড
১ আগস্ট ১৯৬৬, অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টাওয়ার থেকে ২৫ বছর বয়সী চার্লস জোসেফ উইটম্যান গুলি করে ১৬ জনকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করে। এর আগে সে তার মা ও স্ত্রীকে হত্যা করে। পরে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।
২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, পেনসিলভানিয়ায় জেলখানার গার্ড ৪০ বছর বয়সী জর্জ ব্যাংকস গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে তার পাঁচ সন্তান ছিল।
২০ এপ্রিল ১৯৯৯, কলোরাডোর লিটলটং-এর কলাম্বাইন হাই স্কুলের সামনে ডেলান ক্লেবোল্ড (১৭) এবং এরিক হ্যারিস (১৮) নামের দুই ছাত্র বোমা ও পিস্তল নিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ও ২৩ জনকে আহত করে।
১৬ এপ্রিল ২০০৭, ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক ছাত্রের গুলিতে ৩২ জন মারা যায়।
১০ মার্চ ২০০৯, আলবামায় ২৮ বছরের মাইকেল ম্যাকলেন্ডন তার দাদা-দাদী, মা, চাচা-চাচীসহ ১০ জনকে হত্যা করে।
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি অ্যারিজোনার টুকসনের একটি সুপারমার্কেটের বাইরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ছয়জনকে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ড মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন।
এই একুশ শতকে এসে মার্কির যুক্তরাষ্ট্র যখন সভ্যতা ও উrকর্ষতার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে সেই সময় এ রকম হত্যাকান্ড সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আর মানবাধিকারকে আবারও অরক্ষিত করে তুলেছে।
সেইসঙ্গে স্পষ্ট করে তুলেছে সেদেশের সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ দিকটি।
বিশ্বের শান্তিকামী জনতা আশায় আছে কবে আর শেষ হবে এই উন্মক্ত বর্বরতার।
বন্দুকধারী এই স্কুলেরই এক শিক্ষিকা ও তার ছেলেকেও হত্যা করেছে।
চোখের পানি ফেলে এ ঘটনাকে অপূরণীয় ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ঘোষণা করেছেন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার।
তবে পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের এই স্কুলে হামলায় বেঁচে গেছে একমাত্র বাংলাদেশি ছাত্র মামনুন আহমেদ।
এমন হত্যাকাণ্ডের কারণ
কেন বারবার এই হামলা? কেন যুক্তরাষ্ট্রসহ সভ্যতার মোড়ল দাবিদার ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে প্রায়ই এই উন্মাদ হত্যাকাণ্ড।
কীভাবে থামানো সম্ভব সবোর্চ্চ আধুনিকতার মুখোশে ঢাকা দেশের এই বর্বর হত্যাকারীদের?
মার্কিন দেশে হরহামেশাই এমন শিশুহত্যা ও গণহত্যার কিছু কারণ খুঁজে বের করেছেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্লেন ডব্লিউ মুসচার্ট।
তিনি এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, উঠতি তরুণদের বিভিন্ন গ্রুপ ও এদের মধ্যে আন্তকোন্দল, স্কুলের বিভিন্ন নিয়মকানুনের সঙ্গে মানিয়ে না নিতে পারা, সামvজিক সংহতির সমস্যা, অসহিঞ্চুতা, স্কুলে নানারকম সমস্যা ও শাস্তি, পুরুষত্বের তেজ, রাজনৈতিক সংস্কৃতির আনুকূল্য, অস্ত্রের সহজলভ্যতা, সহিংসতার পরিবেশসহ নানা রকম মানসিক বৈকল্যের কারণে অনেকে এই হত্যাপ্রবণ মানসিকতা লালন করে থাকেন।
অপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আলফ্রেড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল শিশুদের উপরে গণহত্যার ও অন্যান্য হত্যাকাণ্ড বিষয়ে সাধারণ জনতাকে ১৬ ধরনের প্রশ্ন করেছিল। জবাবে এদের সর্বোচ্চ মধ্যে ৮৭ শতাংশ বলেছেন, মনে আঘাত দেওয়ার বদলা নিতে, ৮৬ শতাংশ বলেছেন অন্য সহপাঠীদের কাছ থেকে বিদ্রুপ কিংবা ভয় পেয়ে প্রতিশোধ নিতে, ৬২ শতাংশ বলেছেন জীবনের কোনো মূল্য নেই--এমন ভাবনায়, ৫৬ শতাংশ বলেছেন অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা ও মানসিক বৈকল্যে কারণে, ৫২ শতাংশ বলেছেন মাদকাসক্তের কারণে, ৪৯ শতাংশ ভালো বন্ধুর অভাবে, ৩৭ শতাংশ মুভি ও কম্পিউটচার গেম দেখে, ২৬ শতাংশ শিক্ষকদের অযত্নে, ১৮ শতাংশ নিরাপত্তাহীনতার কারণে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
হত্যাকাণ্ডের প্রভাব
স্কুলে গণহত্যা ও অন্যান্য গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া সবার মধ্যেই এক ধরনের মানসিক বৈকল্য লক্ষ্য করা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এর ভয়াবহতা আরও অনেক বেশি।
এ বিষয়ে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ফ্লিন্ট অঞ্চলে ‘জেনেসি কাউন্টি কমিউনিটি মেন্টাল হেল্থ’-এর ক্লিনিক্যাল সার্ভিসের সিনিয়র ডাইরেক্টর ন্যান্সি রোড্ডা বলেন, এ ধরনের মানসিক আঘাতের ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনকি এতে করে শিশুর দীর্ঘমেয়াদে মানসিক বৈকল্যও দেখা দিতে পারে।
সমাধানের উপায় কি?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৪৯ সালে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের সমস্যার শিকার হয়। এরপর নিয়মিত ঘটে আসছে এমন হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। কী করে থামানো সম্ভব এই হত্যাকাণ্ড?
নিউ স্যান্ডির এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে সিএনএনের অনলাইন সংস্করণে মন্তব্য করছেন দুই সহস্রাধিক মানুষ। তারা বলেছেন কার্যকরী উপায়গুলো হলো- ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখার নিয়ম কানুনকে আরও বেশি শক্ত করা, অস্ত্রের অতি সহজলভ্যতা রোধ করা, সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য একটি অস্ত্র আইন করা, স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত করা, মুভি, ড্রামা ও ফিকশন্সসহ বিভিন্ন বিনোদন মিডিয়াতে অস্ত্রের ভয়াবহতা কম করে প্রদর্শন করা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ঘটানো, পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা প্রভৃতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কয়েকটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড
১ আগস্ট ১৯৬৬, অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টাওয়ার থেকে ২৫ বছর বয়সী চার্লস জোসেফ উইটম্যান গুলি করে ১৬ জনকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করে। এর আগে সে তার মা ও স্ত্রীকে হত্যা করে। পরে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।
২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, পেনসিলভানিয়ায় জেলখানার গার্ড ৪০ বছর বয়সী জর্জ ব্যাংকস গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে তার পাঁচ সন্তান ছিল।
২০ এপ্রিল ১৯৯৯, কলোরাডোর লিটলটং-এর কলাম্বাইন হাই স্কুলের সামনে ডেলান ক্লেবোল্ড (১৭) এবং এরিক হ্যারিস (১৮) নামের দুই ছাত্র বোমা ও পিস্তল নিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ও ২৩ জনকে আহত করে।
১৬ এপ্রিল ২০০৭, ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক ছাত্রের গুলিতে ৩২ জন মারা যায়।
১০ মার্চ ২০০৯, আলবামায় ২৮ বছরের মাইকেল ম্যাকলেন্ডন তার দাদা-দাদী, মা, চাচা-চাচীসহ ১০ জনকে হত্যা করে।
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি অ্যারিজোনার টুকসনের একটি সুপারমার্কেটের বাইরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ছয়জনকে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ড মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন।
এই একুশ শতকে এসে মার্কির যুক্তরাষ্ট্র যখন সভ্যতা ও উrকর্ষতার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে সেই সময় এ রকম হত্যাকান্ড সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আর মানবাধিকারকে আবারও অরক্ষিত করে তুলেছে।
সেইসঙ্গে স্পষ্ট করে তুলেছে সেদেশের সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ দিকটি।
বিশ্বের শান্তিকামী জনতা আশায় আছে কবে আর শেষ হবে এই উন্মক্ত বর্বরতার।
No comments