মৃত্যুর কবল থেকে বাঁচা! by সুমন পাল
শুক্রবার। আর সব কর্মদিবসের মতোই ব্যস্ত সকাল। এক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছেন কানেকটিকাটের বেথেল এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মিশেল আরবিনা। তার মেয়ের স্কুলে গোলাগুলির খবর দিলো এক সহকর্মী এসে।
ক্ষণিকের জন্য দিশেহারা বোধ করলেন মিশেল। দ্রুত নিজেকে সামলে ছুটে বেরুলেন ব্যাংক থেকে। মাত্র মিনিট বিশেকের দূরত্ব যেন শেষই হতে চায় না। মেয়ের চিন্তায় প্রতি মুহূর্ত যেন অনন্ত সময়ের অস্থিরতা হয়ে চাপতে থাকে বুকে। কেমন আছে লেনি? কখন পৌঁছুনো যাবে তার কাছে?
তরতরিয়ে উঠতে থাকরো স্পিডোমিটারের কাঁটা। নিত্যদিনের চেনা পথটাও যেন অচেনা লাগছে মিশেলের। ফোন আসছে বন্ধু-সহকর্মীদের। কোন কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না তার। ৯ বছর বয়সী মেয়ে লেনি’র কাছে যাওয়াটাই মুখ্য এখন।
ওদিকে খবর পেয়েই মিশেলের স্বামী কার্টিস তাদের আরেক সন্তান ৩ বছর বয়সী হ্যারিকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মিশেলের আগেই পৌঁছে যান কার্টিস। সামনে অনাকাঙ্খিত গাড়ির জ্যাম। গাড়ি থেকে নেমেই ছেলেকে কোলে করে স্কুলের উদ্দেশ্যে দৌঁড় শুরু করেন তিনি।
দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে দ্রুত থামতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁর পার্কিংয়ে কংক্রিটে ধাক্কা খায় মিশেলের গাড়ি। রেস্তোরাঁ থেকে স্কুলের দূরত্ব তখনো প্রায় আধা মাইল। উপায়ান্তর না দেখে দৌঁড় শুরু করেন তিনিও।
স্কুলে পৌঁছে কার্টিস দেখেন- উদ্বিগ্ন অভিভাবক, কর্মব্যস্ত উদ্ধারকারী আর মিডিয়াকর্মীদের উৎকণ্ঠিত ছোটাছুটি।
ছোট ছোট প্যাকে করে শিশুদের লাশ নেওয়া হচ্ছে। চোখের পানি সামলাচ্ছেন অভিভাবকরা। বেঁচে যাওয়া শিশুদের সারিবদ্ধ করে দুর্ঘটনাস্থল থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিশের উদ্ধার বেষ্টনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেয়ে লেনির শ্রেণি শিক্ষকের প্রাণহীন নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কার্টিস। বুকের মধ্যে জমাট বাঁধা ভয়টা ছড়িয়ে সারা শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছে শুরু করে। মনের সব শক্তি এক করে তবু খুঁজতে থাকেন মেয়েকে।
অবশেষে স্কুলের এককোণে মেয়েকে পান কার্টিস। দৌঁড়ে গিয়ে কোলে তুলে নেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মেয়ে লেনিকে। এ যেন নতুন জীবন পাওয়ার আনন্দ। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া স্কুল ভবনে এ যেন অন্যরকম এক জীবনের গান।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৬০ মাইল উত্তর-পূবের শহর নিউ টাউনে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে শুক্রবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ শিশুসহ ২৮ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে হামলাকারী ও তার মা রয়েছেন। হামলাকারীর মা ওই স্কুলেরই শিক্ষক।
শুক্রবার বিকেলে বন্দুকসহ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে প্রায় একশ’ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ওই বন্দুকধারী।
ওদিকে খবর পেয়েই মিশেলের স্বামী কার্টিস তাদের আরেক সন্তান ৩ বছর বয়সী হ্যারিকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মিশেলের আগেই পৌঁছে যান কার্টিস। সামনে অনাকাঙ্খিত গাড়ির জ্যাম। গাড়ি থেকে নেমেই ছেলেকে কোলে করে স্কুলের উদ্দেশ্যে দৌঁড় শুরু করেন তিনি।
দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে দ্রুত থামতে গিয়ে এক রেস্তোরাঁর পার্কিংয়ে কংক্রিটে ধাক্কা খায় মিশেলের গাড়ি। রেস্তোরাঁ থেকে স্কুলের দূরত্ব তখনো প্রায় আধা মাইল। উপায়ান্তর না দেখে দৌঁড় শুরু করেন তিনিও।
স্কুলে পৌঁছে কার্টিস দেখেন- উদ্বিগ্ন অভিভাবক, কর্মব্যস্ত উদ্ধারকারী আর মিডিয়াকর্মীদের উৎকণ্ঠিত ছোটাছুটি।
ছোট ছোট প্যাকে করে শিশুদের লাশ নেওয়া হচ্ছে। চোখের পানি সামলাচ্ছেন অভিভাবকরা। বেঁচে যাওয়া শিশুদের সারিবদ্ধ করে দুর্ঘটনাস্থল থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিশের উদ্ধার বেষ্টনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেয়ে লেনির শ্রেণি শিক্ষকের প্রাণহীন নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কার্টিস। বুকের মধ্যে জমাট বাঁধা ভয়টা ছড়িয়ে সারা শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছে শুরু করে। মনের সব শক্তি এক করে তবু খুঁজতে থাকেন মেয়েকে।
অবশেষে স্কুলের এককোণে মেয়েকে পান কার্টিস। দৌঁড়ে গিয়ে কোলে তুলে নেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মেয়ে লেনিকে। এ যেন নতুন জীবন পাওয়ার আনন্দ। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া স্কুল ভবনে এ যেন অন্যরকম এক জীবনের গান।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৬০ মাইল উত্তর-পূবের শহর নিউ টাউনে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে শুক্রবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ শিশুসহ ২৮ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে হামলাকারী ও তার মা রয়েছেন। হামলাকারীর মা ওই স্কুলেরই শিক্ষক।
শুক্রবার বিকেলে বন্দুকসহ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে প্রায় একশ’ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ওই বন্দুকধারী।
No comments