তাহেরপুত্রের পেছনে রাষ্ট্র, সন্তানহারার ভরসা আল্লাহ by রোজিনা ইসলাম
রাষ্ট্রের সর্বাত্মক তৎপরতায় লক্ষ্মীপুরের তাহেরপুত্র এইচ এম বিপ্লব এখন প্রায় মামলামুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা খুনের সর্বশেষ মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এ-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। এ তথ্য জেনে নিহতের বাবা আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের বহুল আলোচিত আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি তাঁর সেই সাজা পুরোপুরি মাফ করে দিয়েছেন। খুনের দায়ে বিপ্লবকে আর ফাঁসিতে ঝুলতে হচ্ছে না। কিন্তু কামাল ও মহসিন হত্যা মামলায়ও বিপ্লবের যাবজ্জীবন সাজা হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হয় রাষ্ট্রপতিকে। ফলে এবারও বিপ্লবের সাজা মাফ করলেন রাষ্ট্রপতি। তবে এবার পুরোপুরি নয়; সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেছেন তিনি। বাকি থাকল ফিরোজ হত্যা মামলা, যার কেবল বিচার চলছে। সাজা হওয়া না-হওয়া, মাফ পাওয়া না-পাওয়া—সব ভবিষ্যতের হাতে। কিন্তু ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি তো বর্তমান। সেখানে সুপারিশ গেল এবং কমিটি বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ অনুমোদন করল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসককে এই অনুমোদনের বিষয় জানিয়েও দেওয়া হলো।
এর আগে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই জাহেদ হত্যা ও এতিমখানায় অগ্নিসংযোগের মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহার করে নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, যে বিপ্লবের জন্য ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের এই ধারাবাহিক উদ্যোগ’, তিনি বিগত (১৯৯৬-২০০১) আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ছিলেন লক্ষ্মীপুরের ত্রাস। তাঁর সবগুলো মামলাও হয়েছে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আর এ আওয়ামী লীগ সরকার এসে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে সেসব মামলা প্রত্যাহার করছে। আর বিপ্লবের অনুপস্থিতিতে যে খুনের মামলাগুলোয় তাঁর সাজা হয়েছে, সেগুলোর সাজা পুরো বা আংশিক মাফ করে দেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রথম আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা শুরু হয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের নেতা তাহের ও তাঁর ছেলেদের। তাহের ও তাঁর দুই ছেলে এবং স্ত্রী একে একে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। কিন্তু পালিয়ে যান বিপ্লব। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে আত্মমর্পণ করেন তিনি। আদালত তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠান। গত ঈদুল আজহার আগে কারাগার ছেড়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের কক্ষে ওঠেন বিপ্লব। এ নিয়ে প্রথম আলোয় খবর প্রকাশিত হলে তাঁকে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক রাজনৈতিক নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাহেরপুত্র সন্ত্রাসী বিপ্লবকেন্দ্রিক এই রাষ্ট্রীয় তৎপরতার ফলে আবারও শঙ্কিত হয়ে পড়ছে এলাকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। লক্ষ্মীপুর আবারও ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ অভিধা পেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
সর্বশেষ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লার স্বাক্ষরে মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৯৪ ধারার আওতায় লক্ষ্মীপুর জেলার থানার মামলা নং-২, তারিখ ০২/১০/১৯৯৮, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/ ৪৪৮/৩৬৪/৩০২ দণ্ডবিধি এর আসামি এইচ এম বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আরও চারজন বাদে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের বিচার যথানিয়মে চলবে।
মামলাসংক্রান্ত জেলা কমিটির প্রধান ও জেলা প্রশাসক এ কে এম মিজানুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন এই হত্যা মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ৩০তম সভায় বিপ্লবের নাম হত্যা মামলা থেকে সুপারিশ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি হাজার হাজার মামলার সুপারিশ করি, আমার স্মরণে নাই। কখন, কার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করি, মনে থাকে নাকি? বাংলাদেশে খুনের মামলা অনেক হয়, সব স্মরণে থাকার কথা নয়, আর স্মরণশক্তির ওপরে তো কারও হাত নেই।’
ফিরোজ হত্যা: মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে জেলা সদরের দক্ষিণ মজুপুরের আবদুল খালেক ছাত্রদলের কর্মী ফিরোজ আলমকে ঘর থেকে ডেকে নেন। পরে তাঁকে পৌর শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ে নিয়ে সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ফিরোজের লাশ মার্কাজ মসজিদের পাশে ফেলে দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নিহত ফিরোজের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ১৭-১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত করে এ মামলায় বহুল আলোচিত আবু তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্ল্লব, পৌরসভার সাহাপুর এলাকার মোরশেদ, শাঁখারীপাড়ার জাহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর গ্রামের ছাদেকুর রহমান ও দক্ষিণ মজুপুর এলাকার আবদুল খালেকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটি লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।
নিহত ফিরোজ আলমের পরিবারের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা আর কিছু বলবেন না। এমনিতেই সারাক্ষণ হুমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ফিরোজের পরিবারের এই সদস্য বলেন, তাঁরা এ মামলার বিষয়ে আদালতে খোঁজখবরও রাখতে সাহস পাচ্ছেন না। সাক্ষীরাও আদালতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
নিহত ফিরোজ আলমের বাবা আবুল কাসেম শুধু বলেন, ‘এখন আল্লাহ ছাড়া তো আর কোনো ভরসা নেই। আল্লাহ এ হত্যাকারীদের বিচার করবে।’
এই মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেই খুনের মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন। এ বিষয়ে আর কী বা বলার আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি পেয়েছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পেয়েছি হয়তো!’
সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পিপি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্র যদি চায়, তবে তো সুপারিশ করতেই হবে।’
এর আগে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই জাহেদ হত্যা ও এতিমখানায় অগ্নিসংযোগের মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহার করে নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, যে বিপ্লবের জন্য ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের এই ধারাবাহিক উদ্যোগ’, তিনি বিগত (১৯৯৬-২০০১) আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ছিলেন লক্ষ্মীপুরের ত্রাস। তাঁর সবগুলো মামলাও হয়েছে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আর এ আওয়ামী লীগ সরকার এসে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে সেসব মামলা প্রত্যাহার করছে। আর বিপ্লবের অনুপস্থিতিতে যে খুনের মামলাগুলোয় তাঁর সাজা হয়েছে, সেগুলোর সাজা পুরো বা আংশিক মাফ করে দেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রথম আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা শুরু হয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের নেতা তাহের ও তাঁর ছেলেদের। তাহের ও তাঁর দুই ছেলে এবং স্ত্রী একে একে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। কিন্তু পালিয়ে যান বিপ্লব। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে আত্মমর্পণ করেন তিনি। আদালত তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠান। গত ঈদুল আজহার আগে কারাগার ছেড়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের কক্ষে ওঠেন বিপ্লব। এ নিয়ে প্রথম আলোয় খবর প্রকাশিত হলে তাঁকে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক রাজনৈতিক নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাহেরপুত্র সন্ত্রাসী বিপ্লবকেন্দ্রিক এই রাষ্ট্রীয় তৎপরতার ফলে আবারও শঙ্কিত হয়ে পড়ছে এলাকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। লক্ষ্মীপুর আবারও ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ অভিধা পেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
সর্বশেষ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লার স্বাক্ষরে মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৯৪ ধারার আওতায় লক্ষ্মীপুর জেলার থানার মামলা নং-২, তারিখ ০২/১০/১৯৯৮, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/ ৪৪৮/৩৬৪/৩০২ দণ্ডবিধি এর আসামি এইচ এম বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আরও চারজন বাদে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের বিচার যথানিয়মে চলবে।
মামলাসংক্রান্ত জেলা কমিটির প্রধান ও জেলা প্রশাসক এ কে এম মিজানুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন এই হত্যা মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ৩০তম সভায় বিপ্লবের নাম হত্যা মামলা থেকে সুপারিশ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি হাজার হাজার মামলার সুপারিশ করি, আমার স্মরণে নাই। কখন, কার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করি, মনে থাকে নাকি? বাংলাদেশে খুনের মামলা অনেক হয়, সব স্মরণে থাকার কথা নয়, আর স্মরণশক্তির ওপরে তো কারও হাত নেই।’
ফিরোজ হত্যা: মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে জেলা সদরের দক্ষিণ মজুপুরের আবদুল খালেক ছাত্রদলের কর্মী ফিরোজ আলমকে ঘর থেকে ডেকে নেন। পরে তাঁকে পৌর শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ে নিয়ে সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ফিরোজের লাশ মার্কাজ মসজিদের পাশে ফেলে দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নিহত ফিরোজের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ১৭-১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত করে এ মামলায় বহুল আলোচিত আবু তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্ল্লব, পৌরসভার সাহাপুর এলাকার মোরশেদ, শাঁখারীপাড়ার জাহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর গ্রামের ছাদেকুর রহমান ও দক্ষিণ মজুপুর এলাকার আবদুল খালেকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটি লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।
নিহত ফিরোজ আলমের পরিবারের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা আর কিছু বলবেন না। এমনিতেই সারাক্ষণ হুমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ফিরোজের পরিবারের এই সদস্য বলেন, তাঁরা এ মামলার বিষয়ে আদালতে খোঁজখবরও রাখতে সাহস পাচ্ছেন না। সাক্ষীরাও আদালতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
নিহত ফিরোজ আলমের বাবা আবুল কাসেম শুধু বলেন, ‘এখন আল্লাহ ছাড়া তো আর কোনো ভরসা নেই। আল্লাহ এ হত্যাকারীদের বিচার করবে।’
এই মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেই খুনের মামলা থেকে বিপ্লবের নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন। এ বিষয়ে আর কী বা বলার আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি পেয়েছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পেয়েছি হয়তো!’
সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পিপি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্র যদি চায়, তবে তো সুপারিশ করতেই হবে।’
No comments