সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষঃ বুয়েট-শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হবে নাঃ শিক্ষামন্ত্রী
উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক, শিক্ষাগত ও শারীরিকভাবে হয়রানি করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সঙ্গে বুয়েটের সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানকে দ্রুত সরানো এবং মামলা প্রত্যাহারসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তবে ওই বৈঠকে শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকের পর শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তাঁরা আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী জানান, আজ বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করবেন শিক্ষার্থীরা। তবে আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার বুয়েটের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সিদ্ধান্ত জানাতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে জানান আরেক শিক্ষার্থী।
এই পরিস্থিতিতে বুয়েট-সংকট পুরোপুরি নিরসন হয়নি। বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, সহ-উপাচার্যকে প্রত্যাহার ও মামলা তুলে নেওয়াসহ সরকারি সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
গতকাল শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সহ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ সরকারের উচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।
বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে তাঁরাও শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁদের কথা জানাতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল বিকেলে মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। এ সময় দুজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সোয়া চারটায় শুরু হয়ে এই বৈঠক চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি যে, বুয়েটের শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ করব এবং শিক্ষার্থীরা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। এ জন্য যা করার, তা-ই করা হবে। ছাত্রাবাসে যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করা হবে।’
এ সময় শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরাও আশ্বস্ত হয়েছেন।
পরে বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী অভিপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘মন্ত্রী বুয়েটের সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের শারীরিক, শিক্ষাগত ও প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হবে না বলেও জানিয়েছেন। এখন আমরা এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীকে জানাব এবং সবাই মিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, উপাচার্যকে সরানোর দাবির কী হলো? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, মন্ত্রী বুয়েটের ঐতিহ্য রক্ষায় সবকিছু করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করছি। আশা করছি, দ্রুতই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং শিক্ষাক্রম শুরুর পরপরই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হবে।’
এই পরিস্থিতিতে বুয়েট-সংকট পুরোপুরি নিরসন হয়নি। বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, সহ-উপাচার্যকে প্রত্যাহার ও মামলা তুলে নেওয়াসহ সরকারি সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
গতকাল শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সহ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ সরকারের উচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।
বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে তাঁরাও শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁদের কথা জানাতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল বিকেলে মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। এ সময় দুজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সোয়া চারটায় শুরু হয়ে এই বৈঠক চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি যে, বুয়েটের শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ করব এবং শিক্ষার্থীরা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। এ জন্য যা করার, তা-ই করা হবে। ছাত্রাবাসে যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করা হবে।’
এ সময় শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরাও আশ্বস্ত হয়েছেন।
পরে বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী অভিপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘মন্ত্রী বুয়েটের সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের শারীরিক, শিক্ষাগত ও প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হবে না বলেও জানিয়েছেন। এখন আমরা এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীকে জানাব এবং সবাই মিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, উপাচার্যকে সরানোর দাবির কী হলো? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, মন্ত্রী বুয়েটের ঐতিহ্য রক্ষায় সবকিছু করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করছি। আশা করছি, দ্রুতই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং শিক্ষাক্রম শুরুর পরপরই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হবে।’
No comments