আইনের চোখে ‘বাবা হলেন’ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা
পিতৃত্বের পরীক্ষায় হেরে গেলেন প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি। বহু প্রতীক্ষিত ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মুখ পুড়ল প্রবীণ এই নেতার। একইসঙ্গে কংগ্রেসি নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বৈরাচার ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শুক্রবার আদালত জানাল, ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত ৩২ বছরের রোহিত শেখরের বাবা হলেন এনডি তিওয়ারি।
তিওয়ারিকে নিজের বাবা দাবি করে মামলা করেছিলেন শেখর। শেখরের দাবিকে মিথ্যে দাবি ও চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিওয়ারি। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে মামলার ফল গেল শেখরের অনুকূলেই।
একইসঙ্গে আদালত এও জানিয়েছে, এনডি তিওয়ারির ঔরসে উজ্জ্বলা শর্মা নামের এক মহিলার গর্ভেই জন্ম হয় শেখরের। এনডি তিওয়ারির রক্ষিতা হিসেবে পরিচিত ও পরে নির্যাতিতা ওই মহিলা সুবিচারের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। মায়ের সঙ্গে আদালতে যান শেখরও। মামলা চলাকালীন কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন তিওয়ারি। রাজীব, সোনিয়া ও গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিওয়ারি রাজ্যপাল থাকাকালীন প্রায়ই রাজভবনে মধুচক্রের আসর বসাতেন বলে অভিযোগ। বহু যুবতী ও কিশোরীকে তিনি সম্ভোগ করতেন বলে তাকে নিয়ে একাধিকবার সচিত্র কভার স্টোরিও করেছে বহু ম্যাগাজিনও। ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করতেন বলেও রিপোর্ট দিয়েছিল সিআইডি। কুকর্ম ও চারিত্রিক স্খলনের জন্য তার দুর্নাম ছিল চারদিকেই। কিন্তু গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে এবং রাজ্যপাল হিসেবে প্রশাসনকে নিজের অনুকূলে ব্যবহার করতেন তিনি। এতদিন আইনের ফাঁক গলে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় ফেঁসে গেলেন তিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উজ্জ্বলা শর্মাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি রোহিতকেও পুত্রের মর্যাদা দিতে হবে তিওয়ারিকে। শুধু তাই নয়, আইনি জটিলতা এড়াতে মা-ছেলেকে নিজের সম্পত্তির অংশীদার করাসহ সবরকম বৈধতাই দিতে বাধ্য তিওয়ারি। তবে তিওয়ারি এই ডিএনএ রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হবে না। উল্টো আরও বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলবেন তিনি।
শুকবার ফল জানার পর মা-ছেলের প্রতিক্রিয়া, “সত্যের জয় হল। আমরা সুবিচার পাব জানতাম। আমরা ওই লোকটার কাছ থেকে কিছুই আশা করি না। এখন আদালতই ঠিক করুক আমাদের কি করণীয়।”
রোহিত শেখর জানিয়েছেন, “দুঃখ বা আনন্দ কোনোটাই আর হয় না। আমার লড়াই আমাকেই লড়তে হবে। তবে মায়ের জন্য এই জয়টা দরকার ছিল। কিন্তু শয়তানের পদবী ‘তিওয়ারি’ আমি কোনোদিনও ব্যবহার করব না। আমি যে লাওয়ারিশ নই, সেটাই প্রমাণ করলাম।”
অন্যদিকে, বিতর্কিত নেতা তিওয়ারি লজ্জা ঢাকতে গিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, “এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই এটা নিয়ে কারোর সঙ্গেই কোনো কথা বলব না। আমি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলাম। আমি গান্ধীবাদী। আমি কীভাবে বাঁচব সেটা আমিই ঠিক করব। আমার ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দেয়ার অধিকার কারোর নেই।”
তিওয়ারির কথা শুনে শেখরের আইনজীবী জানিয়েছেন, এত ঘটনার পরও আর ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকে কি? তিওয়ারি জনতার আদালতেও হেরেছেন। সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হারবেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ মে সুপ্রিম কোর্ট এনডি তিওয়ারির আপত্তি অগ্রাহ্য করে তার ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। সূত্র: ওয়েবসাইট।
একইসঙ্গে আদালত এও জানিয়েছে, এনডি তিওয়ারির ঔরসে উজ্জ্বলা শর্মা নামের এক মহিলার গর্ভেই জন্ম হয় শেখরের। এনডি তিওয়ারির রক্ষিতা হিসেবে পরিচিত ও পরে নির্যাতিতা ওই মহিলা সুবিচারের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। মায়ের সঙ্গে আদালতে যান শেখরও। মামলা চলাকালীন কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন তিওয়ারি। রাজীব, সোনিয়া ও গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিওয়ারি রাজ্যপাল থাকাকালীন প্রায়ই রাজভবনে মধুচক্রের আসর বসাতেন বলে অভিযোগ। বহু যুবতী ও কিশোরীকে তিনি সম্ভোগ করতেন বলে তাকে নিয়ে একাধিকবার সচিত্র কভার স্টোরিও করেছে বহু ম্যাগাজিনও। ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করতেন বলেও রিপোর্ট দিয়েছিল সিআইডি। কুকর্ম ও চারিত্রিক স্খলনের জন্য তার দুর্নাম ছিল চারদিকেই। কিন্তু গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে এবং রাজ্যপাল হিসেবে প্রশাসনকে নিজের অনুকূলে ব্যবহার করতেন তিনি। এতদিন আইনের ফাঁক গলে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় ফেঁসে গেলেন তিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উজ্জ্বলা শর্মাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি রোহিতকেও পুত্রের মর্যাদা দিতে হবে তিওয়ারিকে। শুধু তাই নয়, আইনি জটিলতা এড়াতে মা-ছেলেকে নিজের সম্পত্তির অংশীদার করাসহ সবরকম বৈধতাই দিতে বাধ্য তিওয়ারি। তবে তিওয়ারি এই ডিএনএ রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হবে না। উল্টো আরও বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলবেন তিনি।
শুকবার ফল জানার পর মা-ছেলের প্রতিক্রিয়া, “সত্যের জয় হল। আমরা সুবিচার পাব জানতাম। আমরা ওই লোকটার কাছ থেকে কিছুই আশা করি না। এখন আদালতই ঠিক করুক আমাদের কি করণীয়।”
রোহিত শেখর জানিয়েছেন, “দুঃখ বা আনন্দ কোনোটাই আর হয় না। আমার লড়াই আমাকেই লড়তে হবে। তবে মায়ের জন্য এই জয়টা দরকার ছিল। কিন্তু শয়তানের পদবী ‘তিওয়ারি’ আমি কোনোদিনও ব্যবহার করব না। আমি যে লাওয়ারিশ নই, সেটাই প্রমাণ করলাম।”
অন্যদিকে, বিতর্কিত নেতা তিওয়ারি লজ্জা ঢাকতে গিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, “এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই এটা নিয়ে কারোর সঙ্গেই কোনো কথা বলব না। আমি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলাম। আমি গান্ধীবাদী। আমি কীভাবে বাঁচব সেটা আমিই ঠিক করব। আমার ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দেয়ার অধিকার কারোর নেই।”
তিওয়ারির কথা শুনে শেখরের আইনজীবী জানিয়েছেন, এত ঘটনার পরও আর ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকে কি? তিওয়ারি জনতার আদালতেও হেরেছেন। সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হারবেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ মে সুপ্রিম কোর্ট এনডি তিওয়ারির আপত্তি অগ্রাহ্য করে তার ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। সূত্র: ওয়েবসাইট।
No comments