হুমায়ূনের মা আয়েশা ফয়েজ সবার কাছেই প্রিয় এক মানুষ by মুনিফ আম্মার
“এ বাড়িতে ভাবি যখন বউ হয়ে আসেন তখন আমি ক্লাস টু’য়ে পড়ি। আমাকে সন্তানের মতোই দেখতেন তিনি। নাওয়া খাওয়া থেকে শুরু সব কিছুই তাঁর হাতে হতো। আসলে ভাবির মত মানুষ হয় না।” হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ সম্পর্কে কথাগুলো বললেন দেবর আলতাফুর রহমান আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদের ৪র্থ ভাই তিনি।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “ভাইজান যখন সিলেটে বদলি হলেন, তখন আমাকেও তিনি সাথে নিয়েছেন। আমি সিলেটের একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছি। হুমায়ূন তখন ছোট্ট শিশু। সেই সময়ে ভাবির যে কি আদর পেয়েছি, তা কখনো ভুলতে পারবো না।”হুমায়ূন আহমেদের মা রত্মগর্ভা আয়েশা ফয়েজকে নিয়ে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরবাসীরও আগ্রহের কমতি নেই। এলাকাবাসীদের একজন আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, “স্যারের মা একজন অসাধারণ মানুষ। তাঁর কাছে মায়ার কোন ঘাটতি নেই। যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা হতো, তখনই আদর করে কাছে টেনে নিতেন।”
এমন মন্তব্য আরো অনেকেরই। কুতুবপুরের বউ হিসেবে সহজেই তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেন। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, “এতো ভালো মায়ের জন্যই হুমায়ূন আহমেদ ও তার ভাইয়েরা এতো বড় মানুষ হতে পেরেছেন।”
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানের সঙ্গে লেখকের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সন্তানেরাও দাদির কাছেই যেন আশ্রয় খুঁজে বেড়াতো। বাবার সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ না থাকলেও দাদির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানান হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব।
হুমায়ূন আহমেদের চাচাতো ভাই ফরহাদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “কাক্কুর (হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়েজ আহমেদ) চাকরির কারণে কাকীকে সবসময় কাছে পাই নি। তবে তিনি চলে যাওয়ার পর যখনই ঢাকায় কাকীর সঙ্গে দেখা করতাম তখনই বুকে টেনে নিতেন। নিজের সন্তানের মতোই আদর করতেন আমাদের সব ভাইকে।”
ফরহাদ আহমেদ বলেন, “হুমায়ূন দাদা ও জাফর দাদার পরেই আমি। আহসান হাবীব আমার ছোট। মাঝামাঝি হওয়াতে বংশের ছোট বড় সবার সঙ্গে আমার বেশ সখ্যতা ছিল। আর এজন্যও কাকী আমাকে আরো বেশি আদর করতেন। তার স্নেহ যেন এখনো গায়ের সঙ্গে লেগে আছে। দোয়া করি, কাকী অনেকদিন বেঁচে থাকুক।”
লেখক ও সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর মায়ের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। কুতুবপুরের বাসিন্দা শাহ্আলম বাংলানিউজকে বলেন, “মায়ের কথায় সন্তানের কবর দেওয়া হয় নি। এর চাইতে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? যারা এমন কাজ করে তাদের প্রতি আল্লাহও নারাজ।”
হুমায়ূন আহমেদের মায়ের সম্পর্কে জানতে গিয়ে শোনা গেল, অত্যন্ত ধৈর্যশীল এক নারী তিনি। চারপাশের অনেক ঘাত প্রতিঘাত সয়েও নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন আপন চেষ্টায়। পরিবারের সবার দেখভালের দায়িত্বও তিনি করেছেন নিজের মতো করেই। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর সন্তান নোভা, শীলা, বিপাশা আর নুহাশও যেন বাবার মমতা দাদির কাছেই খুঁজে বেড়াতেন।
বড় সন্তান হারিয়ে এখন অনেকটা নিরবই হয়ে গেলেন মা আয়েশা ফয়েজ। সন্তানকে কবর দিতে তাঁর পছন্দকে গুরুত্ব না দেওয়াতেও খানিকটা বিমর্ষও তিনি। তবুও ধৈর্যই তাঁর সঙ্গী হয়ে আছে। কুতুবপুরবাসীর প্রত্যাশাও একটাই। রত্মগর্ভা আয়েশা ফয়েজ বেঁচে থাকুন অনেকদিন।
এমন মন্তব্য আরো অনেকেরই। কুতুবপুরের বউ হিসেবে সহজেই তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেন। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, “এতো ভালো মায়ের জন্যই হুমায়ূন আহমেদ ও তার ভাইয়েরা এতো বড় মানুষ হতে পেরেছেন।”
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানের সঙ্গে লেখকের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সন্তানেরাও দাদির কাছেই যেন আশ্রয় খুঁজে বেড়াতো। বাবার সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ না থাকলেও দাদির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানান হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব।
হুমায়ূন আহমেদের চাচাতো ভাই ফরহাদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “কাক্কুর (হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়েজ আহমেদ) চাকরির কারণে কাকীকে সবসময় কাছে পাই নি। তবে তিনি চলে যাওয়ার পর যখনই ঢাকায় কাকীর সঙ্গে দেখা করতাম তখনই বুকে টেনে নিতেন। নিজের সন্তানের মতোই আদর করতেন আমাদের সব ভাইকে।”
ফরহাদ আহমেদ বলেন, “হুমায়ূন দাদা ও জাফর দাদার পরেই আমি। আহসান হাবীব আমার ছোট। মাঝামাঝি হওয়াতে বংশের ছোট বড় সবার সঙ্গে আমার বেশ সখ্যতা ছিল। আর এজন্যও কাকী আমাকে আরো বেশি আদর করতেন। তার স্নেহ যেন এখনো গায়ের সঙ্গে লেগে আছে। দোয়া করি, কাকী অনেকদিন বেঁচে থাকুক।”
লেখক ও সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর মায়ের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। কুতুবপুরের বাসিন্দা শাহ্আলম বাংলানিউজকে বলেন, “মায়ের কথায় সন্তানের কবর দেওয়া হয় নি। এর চাইতে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? যারা এমন কাজ করে তাদের প্রতি আল্লাহও নারাজ।”
হুমায়ূন আহমেদের মায়ের সম্পর্কে জানতে গিয়ে শোনা গেল, অত্যন্ত ধৈর্যশীল এক নারী তিনি। চারপাশের অনেক ঘাত প্রতিঘাত সয়েও নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন আপন চেষ্টায়। পরিবারের সবার দেখভালের দায়িত্বও তিনি করেছেন নিজের মতো করেই। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর সন্তান নোভা, শীলা, বিপাশা আর নুহাশও যেন বাবার মমতা দাদির কাছেই খুঁজে বেড়াতেন।
বড় সন্তান হারিয়ে এখন অনেকটা নিরবই হয়ে গেলেন মা আয়েশা ফয়েজ। সন্তানকে কবর দিতে তাঁর পছন্দকে গুরুত্ব না দেওয়াতেও খানিকটা বিমর্ষও তিনি। তবুও ধৈর্যই তাঁর সঙ্গী হয়ে আছে। কুতুবপুরবাসীর প্রত্যাশাও একটাই। রত্মগর্ভা আয়েশা ফয়েজ বেঁচে থাকুন অনেকদিন।
No comments