মোশাররফকে বিশ্বাস করাটা ছিল ভুল
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক বিশেষজ্ঞ ব্রুস রিডেল বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বেশ কিছু ভুল করেছে। সবচেয়ে বড় ভুলটি ছিল ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর ইরাক দখল করতে গিয়ে পাকিস্তানের আল-কায়েদাকে পাত্তা না দেওয়া। আরেকটি কৌশলগত ভুল ছিল, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে পাকিস্তানের তখনকার প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে বিশ্বাস করা।
রিডেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা এমন একটা যুদ্ধ, যা অনেক বছর আগেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘নাইন-ইলেভেন হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষ্ঠুর ও চতুর শত্রুপক্ষের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এটা মোকাবিলায় কঠোর ও অব্যাহত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা এর কোনোটাই না করে বড় ভুল করেছি।’
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কীভাবে মূল্যায়ন করেছে, সে-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ লিখতে গিয়ে রিডেল এসব কথা বলেন। তিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে পররাষ্ট্রনীতির ওপর কাজ করছেন।
রিডেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কৌশলগত যেসব ভুল করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ইরাক দখল করতে গিয়ে পাকিস্তানের আল-কায়েদাকে উপেক্ষা করা। পাকিস্তানের আল-কায়েদাকে হুমকি হিসেবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, লাদেনের দক্ষতাকে অবমূল্যায়ন করেছে বুশ প্রশাসন। ভুল করেছে পারভেজ মোশাররফকে বিশ্বাস করে। সন্ত্রাসবাদ দমনে তাঁর প্রশাসন কিছুই করেনি। পাকিস্তান এখনো বিশ্বব্যাপী জিহাদের মূল কেন্দ্র।
তবে বিন লাদেনের মৃত্যুর পর চিত্র অনেকটা পাল্টেছে বলে অভিমত রিডেলের। তিনি বলেন, লাদেনের মৃত্যু এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাম্প্রতিক বিপ্লব যুক্তরাষ্ট্রের সেসব ভুল পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সবশেষে রিডেল বলেন, ‘আমাদের শত্রুরা এখনো ভয়ংকর এবং তাদের মোকাবিলা করাটা অতটা সহজ নয়। তাই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আরেকটি দশক ব্যয় না করে যাতে দ্রুত সফলতা অর্জন করা যায়, সে লক্ষ্যে আমাদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
রিডেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা এমন একটা যুদ্ধ, যা অনেক বছর আগেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘নাইন-ইলেভেন হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষ্ঠুর ও চতুর শত্রুপক্ষের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এটা মোকাবিলায় কঠোর ও অব্যাহত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা এর কোনোটাই না করে বড় ভুল করেছি।’
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কীভাবে মূল্যায়ন করেছে, সে-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ লিখতে গিয়ে রিডেল এসব কথা বলেন। তিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে পররাষ্ট্রনীতির ওপর কাজ করছেন।
রিডেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কৌশলগত যেসব ভুল করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ইরাক দখল করতে গিয়ে পাকিস্তানের আল-কায়েদাকে উপেক্ষা করা। পাকিস্তানের আল-কায়েদাকে হুমকি হিসেবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, লাদেনের দক্ষতাকে অবমূল্যায়ন করেছে বুশ প্রশাসন। ভুল করেছে পারভেজ মোশাররফকে বিশ্বাস করে। সন্ত্রাসবাদ দমনে তাঁর প্রশাসন কিছুই করেনি। পাকিস্তান এখনো বিশ্বব্যাপী জিহাদের মূল কেন্দ্র।
তবে বিন লাদেনের মৃত্যুর পর চিত্র অনেকটা পাল্টেছে বলে অভিমত রিডেলের। তিনি বলেন, লাদেনের মৃত্যু এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাম্প্রতিক বিপ্লব যুক্তরাষ্ট্রের সেসব ভুল পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সবশেষে রিডেল বলেন, ‘আমাদের শত্রুরা এখনো ভয়ংকর এবং তাদের মোকাবিলা করাটা অতটা সহজ নয়। তাই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আরেকটি দশক ব্যয় না করে যাতে দ্রুত সফলতা অর্জন করা যায়, সে লক্ষ্যে আমাদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments