জাতিসংঘের স্বীকৃতির দাবিতে ফিলিস্তিনের প্রচারণা শুরু
জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে প্রচারণা শুরু করেছে ফিলিস্তিন। এ প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। তবে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব গেলে তারা তাতে ভেটো দেবে।
জাতিসংঘের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গতকাল বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ বৈঠকে যোগ দেন আব্বাসের দল ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মাহমুদ আব্বাস ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার দাবিতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবস্থিত জাতিসংঘ কার্যালয়ের উদ্দেশে গতকাল রামাল্লা শহর থেকে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে এতে যোগ দেয় শতাধিক মানুষ। জাতিসংঘের স্বীকৃতির দাবিতে তারা স্লোগান তোলে, ‘আমরা আমাদের পরিচয় চাই, আমরা রাষ্ট্র চাই।’ তাদের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার দাবি জানিয়ে সেখানে বান কি মুনের উদ্দেশে একটি পত্র দেওয়া হয়।
পদযাত্রা ও প্রচারণার সমন্বয়কারী আহমেদ আসাফ বলেন, ‘আজ থেকে আমরা প্রচারণা শুরু করলাম এবং আমাদের গন্তব্য জাতিসংঘ কার্যালয়। আমরা আশা করছি, আমাদের দাবিতে তারা সাড়া দেবে।’
আহমেদ আসাফ আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের চেয়ে আমরা কম গুরুত্বপূর্ণ নই। আমরা ১৯৪তম সদস্য হতে চাই।’
বান কি মুনের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনকে ১৯৪তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এই প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। ৬৩ বছর আগে ফিলিস্তিনের মানুষ তাদের নিজেদের ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়। তাদের ন্যায়বিচার ও অধিকার আদায়ের জন্য আপনি তাদের পাশে দাঁড়াবেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘দখলদারির অবসান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং সর্বোপরি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, আপনিও ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির বিষয়টি সমর্থন জানাবেন।’
তবে ফিলিস্তিনের এই প্রচেষ্টায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কূটনৈতিক মহলে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চাইলে তাদের জন্য একমাত্র পথ হবে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে যাওয়া। কয়েক বছর ধরে এই আলোচনা বন্ধ আছে।
তবে ফিলিস্তিন জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা আলোচনায় যাবে না। আর ইসরায়েলি রাজনীতিবিদেরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিলে তাতে সহিংসতার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে ওবামা মনোনীত উইন্ডি শারম্যান গত বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করে, তাহলে আমরা তাতে ভেটো দেব।’
জাতিসংঘের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গতকাল বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ বৈঠকে যোগ দেন আব্বাসের দল ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মাহমুদ আব্বাস ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার দাবিতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবস্থিত জাতিসংঘ কার্যালয়ের উদ্দেশে গতকাল রামাল্লা শহর থেকে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে এতে যোগ দেয় শতাধিক মানুষ। জাতিসংঘের স্বীকৃতির দাবিতে তারা স্লোগান তোলে, ‘আমরা আমাদের পরিচয় চাই, আমরা রাষ্ট্র চাই।’ তাদের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার দাবি জানিয়ে সেখানে বান কি মুনের উদ্দেশে একটি পত্র দেওয়া হয়।
পদযাত্রা ও প্রচারণার সমন্বয়কারী আহমেদ আসাফ বলেন, ‘আজ থেকে আমরা প্রচারণা শুরু করলাম এবং আমাদের গন্তব্য জাতিসংঘ কার্যালয়। আমরা আশা করছি, আমাদের দাবিতে তারা সাড়া দেবে।’
আহমেদ আসাফ আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের চেয়ে আমরা কম গুরুত্বপূর্ণ নই। আমরা ১৯৪তম সদস্য হতে চাই।’
বান কি মুনের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনকে ১৯৪তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এই প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। ৬৩ বছর আগে ফিলিস্তিনের মানুষ তাদের নিজেদের ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়। তাদের ন্যায়বিচার ও অধিকার আদায়ের জন্য আপনি তাদের পাশে দাঁড়াবেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘দখলদারির অবসান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং সর্বোপরি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, আপনিও ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির বিষয়টি সমর্থন জানাবেন।’
তবে ফিলিস্তিনের এই প্রচেষ্টায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কূটনৈতিক মহলে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চাইলে তাদের জন্য একমাত্র পথ হবে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে যাওয়া। কয়েক বছর ধরে এই আলোচনা বন্ধ আছে।
তবে ফিলিস্তিন জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা আলোচনায় যাবে না। আর ইসরায়েলি রাজনীতিবিদেরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিলে তাতে সহিংসতার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে ওবামা মনোনীত উইন্ডি শারম্যান গত বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করে, তাহলে আমরা তাতে ভেটো দেব।’
No comments