গ্রাউন্ড জিরোতে নির্মিত স্মারকস্তম্ভ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নয়-এগারোর সন্ত্রাসী হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া টুইন টাওয়ারের গ্রাউন্ড জিরোতে নির্মিত স্মারকস্তম্ভ (মেমোরিয়াল) ‘নিউ গ্রাউন্ড জিরো’ অবশেষে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
নয়-এগারোর সন্ত্রাসী হামলার এক দশক পূর্তির দিন আগামী রোববার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মারকস্তম্ভটি নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর পরদিন অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর সেটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ গ্রাউন্ড জিরোতে নির্মিত নতুন বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রটিকে (ডব্লিউটিসি) আর ‘গ্রাউন্ড জিরো’ না বলে সেটিকে ‘৯/১১ স্মারকস্তম্ভ’ হিসেবে অভিহিত করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
সন্ত্রাসী হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রটির মোট ১৬ একর জায়গার অর্ধেক নিয়ে নির্মিত হয়েছে ৯/১১ স্মারকস্তম্ভটি। মেয়র ব্লুমবার্গ বলেন, ‘গ্রাউন্ড জিরোর সেই ভয়াল স্মৃতি কখনোই আমাদের স্মৃতিপট থেকে মুছে যাবে না। কিন্তু এই ১৬ একর জায়গাকে প্রকৃত পরিচয়ে ডাকার সময় এসেছে: “বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র, জাতীয় ১১ সেপ্টেম্বর স্মারকস্তম্ভ এবং জাদুঘর”।’
ধ্বংস হয়ে যাওয়া টুইন টাওয়ার যে স্থানে দাঁড়িয়ে ছিল, ঠিক তার পদচিহ্নে নির্মিত হয়েছে জোড়া সুইমিং পুল। সেখানকার জলপ্রপাতটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলপ্রপাত। পুল দুটির পাড় বাঁধা হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে। সেখানে খোদাই করা হয়েছে ২০০১ সালে নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া ও পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নাম ছাড়াও ১৯৯৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে বোমা হামলায় নিহত ছয় ব্যক্তির নামও। পুল দুটির চারপাশে লাগানো হবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, যেগুলো আশা ও নবজীবনের (হোপ অ্যান্ড রিনিউয়াল) বার্তা বহন করবে। পুল দুটির বিষয়বস্তু (থিম) হচ্ছে—অনুপস্থিতির প্রতিবিম্ব (রিফ্লেকটিং অ্যাবসেন্স)।
স্মৃতিস্তম্ভের পাশে লাগানো হয়েছে একটি ‘সার্ভাইভর ট্রি’। এটি সেই নাশপাতিগাছ, যেটি সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র থেকে উদ্ধার করে একটি নার্সারিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। গত বছর সেটি পুনরায় সেখানে রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জায়গাটি পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে আরও কমপক্ষে ৪০০ গাছ রোপণ করা হবে।
স্মারকস্তম্ভটির নকশা এঁকেছেন স্থপতি মাইকেল অ্যারাড এবং সেখানকার ভূ-দৃশ্য স্থপতি পিটার ওয়াকার। মোট ৬৩টি দেশের পাঁচ হাজার ২০০-র বেশি নকশার মধ্য থেকে তাঁদের নকশা বাছাই করা হয়।
স্মারকস্তম্ভটির বাইরে ৯/১১ জাদুঘরটির নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। জাদুঘরটিতে স্থান পাবে নয়-এগারো হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে থাকবে স্থিরচিত্র, অডিও এবং ধারণকৃত ভিডিওচিত্র, সংরক্ষিত বিবৃতি, ডিজিটাল নথি, উদ্ধার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র, কাপড়চোপড়, হাতের লেখা চিঠি, ই-মেইল বার্তা ও ডায়েরি। সেগুলো হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের স্মৃতি বহন করে চলবে। জাদুঘরটি আগামী বছরের ১১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হতে পারে।
নয়-এগারোর সন্ত্রাসী হামলার এক দশক পূর্তির দিন আগামী রোববার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মারকস্তম্ভটি নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর পরদিন অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর সেটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ গ্রাউন্ড জিরোতে নির্মিত নতুন বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রটিকে (ডব্লিউটিসি) আর ‘গ্রাউন্ড জিরো’ না বলে সেটিকে ‘৯/১১ স্মারকস্তম্ভ’ হিসেবে অভিহিত করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
সন্ত্রাসী হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রটির মোট ১৬ একর জায়গার অর্ধেক নিয়ে নির্মিত হয়েছে ৯/১১ স্মারকস্তম্ভটি। মেয়র ব্লুমবার্গ বলেন, ‘গ্রাউন্ড জিরোর সেই ভয়াল স্মৃতি কখনোই আমাদের স্মৃতিপট থেকে মুছে যাবে না। কিন্তু এই ১৬ একর জায়গাকে প্রকৃত পরিচয়ে ডাকার সময় এসেছে: “বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র, জাতীয় ১১ সেপ্টেম্বর স্মারকস্তম্ভ এবং জাদুঘর”।’
ধ্বংস হয়ে যাওয়া টুইন টাওয়ার যে স্থানে দাঁড়িয়ে ছিল, ঠিক তার পদচিহ্নে নির্মিত হয়েছে জোড়া সুইমিং পুল। সেখানকার জলপ্রপাতটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলপ্রপাত। পুল দুটির পাড় বাঁধা হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে। সেখানে খোদাই করা হয়েছে ২০০১ সালে নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া ও পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের নাম ছাড়াও ১৯৯৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে বোমা হামলায় নিহত ছয় ব্যক্তির নামও। পুল দুটির চারপাশে লাগানো হবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, যেগুলো আশা ও নবজীবনের (হোপ অ্যান্ড রিনিউয়াল) বার্তা বহন করবে। পুল দুটির বিষয়বস্তু (থিম) হচ্ছে—অনুপস্থিতির প্রতিবিম্ব (রিফ্লেকটিং অ্যাবসেন্স)।
স্মৃতিস্তম্ভের পাশে লাগানো হয়েছে একটি ‘সার্ভাইভর ট্রি’। এটি সেই নাশপাতিগাছ, যেটি সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র থেকে উদ্ধার করে একটি নার্সারিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। গত বছর সেটি পুনরায় সেখানে রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জায়গাটি পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে আরও কমপক্ষে ৪০০ গাছ রোপণ করা হবে।
স্মারকস্তম্ভটির নকশা এঁকেছেন স্থপতি মাইকেল অ্যারাড এবং সেখানকার ভূ-দৃশ্য স্থপতি পিটার ওয়াকার। মোট ৬৩টি দেশের পাঁচ হাজার ২০০-র বেশি নকশার মধ্য থেকে তাঁদের নকশা বাছাই করা হয়।
স্মারকস্তম্ভটির বাইরে ৯/১১ জাদুঘরটির নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। জাদুঘরটিতে স্থান পাবে নয়-এগারো হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে থাকবে স্থিরচিত্র, অডিও এবং ধারণকৃত ভিডিওচিত্র, সংরক্ষিত বিবৃতি, ডিজিটাল নথি, উদ্ধার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র, কাপড়চোপড়, হাতের লেখা চিঠি, ই-মেইল বার্তা ও ডায়েরি। সেগুলো হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের স্মৃতি বহন করে চলবে। জাদুঘরটি আগামী বছরের ১১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হতে পারে।
No comments