আল-শাবাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে
সোমালিয়ার আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী দেশটির খরা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলে বিদেশি সংস্থাগুলোর খাদ্যদ্রব্য বিতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা ধর্মীয় মূল্যবোধের ধোঁয়া তুলে সেখানে প্রায় ২০টির মতো মানবিক সাহায্য দানকারী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে দিয়েছে আল-শাবাব জঙ্গিরা। এ ছাড়া সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসল ও গবাদিপশু কেড়ে নিচ্ছে তারা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি গত সোমবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেশী কেনিয়ার উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নেওয়া সোমালিদের কাছ থেকে গত এপ্রিলে নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাবাব জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসল ও গবাদিপশু লুট ছাড়াও তাদের ওপর কর আরোপ করেছে, যে কারণে তাদের এখন বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে ‘নাস্তিক’ অভিহিত করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করার আহ্বান জানিয়েছে। ক্ষুধার জ্বালায় যারা দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের পালাতেও বাধা দিচ্ছে জঙ্গিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাবাব জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় খাদ্যসহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফল সেখানকার অধিবাসীদের ওপর খুবই মারাত্মক।
শাবাব জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত সাকোহ এলাকা থেকে পালিয়ে আসা একজন বলেছেন, ‘আমার মতে, তারা (জঙ্গিরা) চাইছে সবাই মারা যাক।’
আফমাদৌ এলাকার একজন বলেছেন, ‘জঙ্গিরা প্রচার করছে, “যারা ত্রাণ বিতরণ করছে, তারা নাস্তিক। আমরা তাদের কিছুই নিতে চাই না।”’
দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চল থেকে আসা আরও একজন বলেছেন, জঙ্গিরা তাদের বিদেশি ত্রাণকর্মীদের ওপর নির্ভরশীলতার কথা ভুলে যেতে এবং শুধু সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করতে বলেছে।
নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে সাক্ষাৎকার দেওয়া উদ্বাস্তুদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী শাবাব জঙ্গিরা এর আগে গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ত্রাণ সংস্থাগুলোর খাদ্য বিতরণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে। কিন্তু পরে তারা তা আর করেনি।
সম্প্রতি খরাপীড়িত সোমালিয়ার পাঁচটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এ ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর রূপ নেবে বলেও সতর্ক করে জাতিসংঘ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, শাবাব গোষ্ঠীর আরোপিত করের কারণেই দক্ষিণ সোমালিয়ার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে দিয়েছে আল-শাবাব জঙ্গিরা। এ ছাড়া সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসল ও গবাদিপশু কেড়ে নিচ্ছে তারা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি গত সোমবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেশী কেনিয়ার উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নেওয়া সোমালিদের কাছ থেকে গত এপ্রিলে নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাবাব জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসল ও গবাদিপশু লুট ছাড়াও তাদের ওপর কর আরোপ করেছে, যে কারণে তাদের এখন বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে ‘নাস্তিক’ অভিহিত করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করার আহ্বান জানিয়েছে। ক্ষুধার জ্বালায় যারা দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের পালাতেও বাধা দিচ্ছে জঙ্গিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাবাব জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় খাদ্যসহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফল সেখানকার অধিবাসীদের ওপর খুবই মারাত্মক।
শাবাব জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত সাকোহ এলাকা থেকে পালিয়ে আসা একজন বলেছেন, ‘আমার মতে, তারা (জঙ্গিরা) চাইছে সবাই মারা যাক।’
আফমাদৌ এলাকার একজন বলেছেন, ‘জঙ্গিরা প্রচার করছে, “যারা ত্রাণ বিতরণ করছে, তারা নাস্তিক। আমরা তাদের কিছুই নিতে চাই না।”’
দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চল থেকে আসা আরও একজন বলেছেন, জঙ্গিরা তাদের বিদেশি ত্রাণকর্মীদের ওপর নির্ভরশীলতার কথা ভুলে যেতে এবং শুধু সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করতে বলেছে।
নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে সাক্ষাৎকার দেওয়া উদ্বাস্তুদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী শাবাব জঙ্গিরা এর আগে গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ত্রাণ সংস্থাগুলোর খাদ্য বিতরণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে। কিন্তু পরে তারা তা আর করেনি।
সম্প্রতি খরাপীড়িত সোমালিয়ার পাঁচটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এ ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর রূপ নেবে বলেও সতর্ক করে জাতিসংঘ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, শাবাব গোষ্ঠীর আরোপিত করের কারণেই দক্ষিণ সোমালিয়ার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
No comments