পাকিস্তানে সামরিক-সহায়তা স্থগিতই রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পাকিস্তানকে ৮০ কোটি ডলার সামরিক-সহায়তা স্থগিত রাখার যে সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে, তা তারা বহাল রাখবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নুল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানে বেসামরিক-সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা ও সামরিক ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয়টি পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সামরিক-সহায়তা অব্যাহত রাখতে হলে পাকিস্তানে আমাদের সামরিক প্রশিক্ষকের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ওই প্রতিবেদনে নতুন কিছু নেই। আমাদের চাওয়া হলো, সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের এই আকাঙ্ক্ষা নতুন কিছু নয়। এই কারণে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহায়তা করে থাকি। নুল্যান্ড বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা ‘খুব সহজ নয়’। কিন্তু দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত মাসে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ বিল ডালে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক-সহায়তা হিসাবে ওই ৮০ কোটি ডলার সহায়তা স্থগিত রাখার কথা জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ করতে গিয়ে দেশটিকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন পাকিস্তান এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে তাদের প্রতি মার্কিন-সহায়তা স্থগিতের প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান দেশটি থেকে মার্কিন প্রশিক্ষক-সেনাদের সরিয়ে দিয়েছে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ জঙ্গিদের দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দূরে সরে এসেছে। ইসলামাবাদের এই আচরণ ওয়াশিংটনের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়টিকে বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত হন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। পাকিস্তানকে না জানিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এর একপর্যায়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ইসলামাবাদে থাকা মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পাকিস্তান সরকার। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তানে সামরিক-সহায়তার ওই ৮০ কোটি ডলার স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
নুল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানে বেসামরিক-সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা ও সামরিক ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয়টি পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সামরিক-সহায়তা অব্যাহত রাখতে হলে পাকিস্তানে আমাদের সামরিক প্রশিক্ষকের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ওই প্রতিবেদনে নতুন কিছু নেই। আমাদের চাওয়া হলো, সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের এই আকাঙ্ক্ষা নতুন কিছু নয়। এই কারণে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহায়তা করে থাকি। নুল্যান্ড বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা ‘খুব সহজ নয়’। কিন্তু দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত মাসে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ বিল ডালে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক-সহায়তা হিসাবে ওই ৮০ কোটি ডলার সহায়তা স্থগিত রাখার কথা জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ করতে গিয়ে দেশটিকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন পাকিস্তান এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে তাদের প্রতি মার্কিন-সহায়তা স্থগিতের প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান দেশটি থেকে মার্কিন প্রশিক্ষক-সেনাদের সরিয়ে দিয়েছে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ জঙ্গিদের দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দূরে সরে এসেছে। ইসলামাবাদের এই আচরণ ওয়াশিংটনের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়টিকে বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত হন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। পাকিস্তানকে না জানিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এর একপর্যায়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ইসলামাবাদে থাকা মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পাকিস্তান সরকার। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তানে সামরিক-সহায়তার ওই ৮০ কোটি ডলার স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
No comments