‘প্রকৃত অর্থনৈতিক সরকার’ চালুর প্রস্তাব সারকোজি-মেরকেলের
ইউরো অঞ্চলভুক্ত ১৭টি দেশে প্রকৃত অর্থনৈতিক সরকার চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল।
গত মঙ্গলবার প্যারিসে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রধান এ প্রস্তাব দেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণ-সংকট লাঘবে তাঁদের এ প্রস্তাব যথেষ্ট নয়।
বৈঠক শেষে সারকোজি ও মেরকেল সাংবাদিকদের জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে (ইইউ) অর্থনৈতিক লেনদেনের ওপর করারোপের প্রস্তাব করবেন তাঁরা। একই সঙ্গে ইইউ প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভন রমপির নেতৃত্বে ইউরো অঞ্চলের জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের চেষ্টা করবেন।
সারকোজি বলেন, ‘ইউরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংহতি আরও জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ তবে ইউরোভুক্ত ১৭টি দেশের ঋণ একীভূত করে ‘ইউরোবন্ড’ চালুর ধারণাকে সমর্থন না করে এবং সংকট সমাধানে ৪৪০ বিলিয়ন ইউরোর উদ্ধার প্যাকেজই যথেষ্ট বলে সারকোজি ও মেরকেলের বক্তব্যে অনেকে হতাশ হয়েছেন। এর পরিবর্তে দুই নেতা বলেছেন, দেশগুলোকে কঠোর রাজস্বনীতি চালু এবং আন্তঃসীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে হবে।
এলিসি প্রাসাদে সারকোজি সাংবাদিকদের বলেন, জার্মানির বহুল প্রশংসিত সংবিধানকে আদর্শ ধরে দেশের জন্য সমন্বিত বাজেট প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশগুলোর সরকারকে আগামী বছরের মাঝামাঝির মধ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সারকোজির প্রস্তাব ও পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসো। তিনি বলেন, ইউরো অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতির এ দুটি দেশের নেতাদের এ পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তবে ইউরোবন্ড চালুর ধারণাকে সমর্থন না করা এবং সংকট সমাধানে ঘোষিত উদ্ধার প্যাকেজই যথেষ্ট বলে সারকোজি-মেরকেলের ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক। তাঁদের মতে, ৪৪০ বিলিয়ন ইউরোর ওই উদ্ধার প্যাকেজ মোটেই পর্যাপ্ত নয়, যখন আরও নতুন নতুন দেশ সংকটের ঝুঁকির মধ্যে আছে।
অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ ও বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান রি-ডিফাইনের সনি কাপুর বলেছেন, ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানদের এ বৈঠক থেকে নতুন বা কার্যকর কোনো সিদ্ধান্তই পাওয়া গেল না। তাঁরা যদি শুধু এসব কথাই বলতে চাইবেন, তাহলে এ বৈঠকের কী প্রয়োজন ছিল।
সনি কাপুর বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারছি না, বাজেট সমন্বয়...বা আর্থিক লেনদেনের ওপর কর বসিয়ে ইউরোর এ সংকট কীভাবে সমাধান হতে পারে কিংবা ইইউয়ের দুর্বল ব্যাংক খাত কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে।’
তবে একই সঙ্গে সনি কাপুর স্বীকার করেন, অর্থনৈতিক সংহতি জোরদার করতে ইউরো অঞ্চলের জন্য নতুন প্রশাসন কাঠামো চালুর মধ্য দিয়ে ইউরোবন্ড চালুর পথ সুগম হবে; তবে বর্তমান সংকট সমাধান এর মাধ্যমে সম্ভব হবে না।
গত মঙ্গলবার প্যারিসে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রধান এ প্রস্তাব দেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণ-সংকট লাঘবে তাঁদের এ প্রস্তাব যথেষ্ট নয়।
বৈঠক শেষে সারকোজি ও মেরকেল সাংবাদিকদের জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে (ইইউ) অর্থনৈতিক লেনদেনের ওপর করারোপের প্রস্তাব করবেন তাঁরা। একই সঙ্গে ইইউ প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভন রমপির নেতৃত্বে ইউরো অঞ্চলের জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের চেষ্টা করবেন।
সারকোজি বলেন, ‘ইউরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংহতি আরও জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ তবে ইউরোভুক্ত ১৭টি দেশের ঋণ একীভূত করে ‘ইউরোবন্ড’ চালুর ধারণাকে সমর্থন না করে এবং সংকট সমাধানে ৪৪০ বিলিয়ন ইউরোর উদ্ধার প্যাকেজই যথেষ্ট বলে সারকোজি ও মেরকেলের বক্তব্যে অনেকে হতাশ হয়েছেন। এর পরিবর্তে দুই নেতা বলেছেন, দেশগুলোকে কঠোর রাজস্বনীতি চালু এবং আন্তঃসীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে হবে।
এলিসি প্রাসাদে সারকোজি সাংবাদিকদের বলেন, জার্মানির বহুল প্রশংসিত সংবিধানকে আদর্শ ধরে দেশের জন্য সমন্বিত বাজেট প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশগুলোর সরকারকে আগামী বছরের মাঝামাঝির মধ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সারকোজির প্রস্তাব ও পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসো। তিনি বলেন, ইউরো অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতির এ দুটি দেশের নেতাদের এ পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তবে ইউরোবন্ড চালুর ধারণাকে সমর্থন না করা এবং সংকট সমাধানে ঘোষিত উদ্ধার প্যাকেজই যথেষ্ট বলে সারকোজি-মেরকেলের ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক। তাঁদের মতে, ৪৪০ বিলিয়ন ইউরোর ওই উদ্ধার প্যাকেজ মোটেই পর্যাপ্ত নয়, যখন আরও নতুন নতুন দেশ সংকটের ঝুঁকির মধ্যে আছে।
অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ ও বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান রি-ডিফাইনের সনি কাপুর বলেছেন, ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানদের এ বৈঠক থেকে নতুন বা কার্যকর কোনো সিদ্ধান্তই পাওয়া গেল না। তাঁরা যদি শুধু এসব কথাই বলতে চাইবেন, তাহলে এ বৈঠকের কী প্রয়োজন ছিল।
সনি কাপুর বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারছি না, বাজেট সমন্বয়...বা আর্থিক লেনদেনের ওপর কর বসিয়ে ইউরোর এ সংকট কীভাবে সমাধান হতে পারে কিংবা ইইউয়ের দুর্বল ব্যাংক খাত কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে।’
তবে একই সঙ্গে সনি কাপুর স্বীকার করেন, অর্থনৈতিক সংহতি জোরদার করতে ইউরো অঞ্চলের জন্য নতুন প্রশাসন কাঠামো চালুর মধ্য দিয়ে ইউরোবন্ড চালুর পথ সুগম হবে; তবে বর্তমান সংকট সমাধান এর মাধ্যমে সম্ভব হবে না।
No comments