দুর্নীতি মোকাবিলায় অনশন কাজে আসবে না: মনমোহন
ভারতের স্বাধীনতা দিবস ছিল গতকাল ১৫ আগস্ট। দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় এই দিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, দুর্নীতি মোকাবিলায় অনশন কোনো কাজে আসবে না। দুর্নীতি রুখতে তাঁর সরকার ‘সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোরতম’ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়নে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে প্রখ্যাত সমাজকর্মী আন্না হাজারের আমরণ অনশন শুরুর এক দিন আগে এই মন্তব্য করলেন মনমোহন সিং। নয়াদিল্লির জেপি পার্কে আজ মঙ্গলবার থেকে হাজারের অনশন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু গতকাল সোমবার অনশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ।
গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে মনমোহন বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সম্ভাব্য অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আজ বিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ওই অবস্থায় পৌঁছানোর জন্য আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় অন্তরায় দুর্নীতি। কাজেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সবচেয়ে কঠোরতম সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।’
তবে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমন কোনো জাদুদণ্ড নেই, যার ছোঁয়ায় নিমেষেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তাই অধিকতর স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া, কার্যকর বিচারব্যবস্থা চালু করা, সরকারি ক্রয়ের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিচার ও তদন্তের জন্য লোকপাল নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন মনমোহন সিং।
দুর্নীতি প্রতিরোধে লোকপাল নিয়োগের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সুপরিচিত সমাজকর্মী আন্না হাজারে। তিনি বেশ কয়েকবার টানা অনশনও করেছেন। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে সরকার কিছুদিন আগে লোকপাল বিলের খসড়া উপস্থাপন করেছে পার্লামেন্টে। কিন্তু এতে প্রধানমন্ত্রী ও বিচারপতিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু আন্না হাজারে এই খসড়া বিলকে দেশের মানুষের সঙ্গে ‘নির্মম পরিহাস’ বলে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু সরকার গত রোববার বলেছে, হাজারে অনশন শুরু করলে তা হবে অগণতান্ত্রিক এবং পার্লামেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, আন্না হাজারে নিজেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বেসরকারি সংস্থা অবৈধভাবে অর্থ খরচ করেছে এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সঙ্গে যাঁরা সঙ্গী হয়েছেন, তাঁদের অনেকেও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তবে হাজারে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্ত করে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আমরণ অনশন নিয়ে আন্না হাজারে ও সরকার প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে।
আর গতকালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, ‘লোকপাল বিল নিয়ে অনেকের ভিন্ন মত আছে, তা আমি জানি। যাঁরা এর সঙ্গে একমত হতে পারছেন না, তাঁরা বিষয়গুলো পার্লামেন্টে তুলতে পারেন, সে রাজনৈতিক দল বা গণমাধ্যম হোক। আমি মনে করি, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা অনশন বা আমরণ অনশন শুরু করতে পারেন না।’
এদিকে, আন্না হাজারের অনশন কর্মসূচি গতকাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ। নয়াদিল্লি পুলিশের মুখপাত্র রাজন ভগত জানিয়েছেন, ‘অনশনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেননা, তাঁরা যেখানে অনশন কর্মসূচি পালন করতে চান, সে পার্কটি কেন্দ্রীয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে। অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আন্না হাজারে এবং তাঁর সমর্থকেরা তিন দিনের জন্য পার্কটি পেতে পারেন এবং সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবে না।
ভারতের প্রথম শীর্ষ নারী-পুলিশ কর্মকর্তা এবং বর্তমান সমাজকর্মী কিরণ বেদি আছেন আন্না হাজারের আন্দোলনের পক্ষে। গতকাল তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্না হাজারে এবং তাঁর সমর্থকেরা মঙ্গলবার অনশনে যাবেন। পুলিশ যদি তাঁদের গ্রেপ্তার করে তার পরও তাঁরা কর্মসূচি শুরু করবেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়নে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে প্রখ্যাত সমাজকর্মী আন্না হাজারের আমরণ অনশন শুরুর এক দিন আগে এই মন্তব্য করলেন মনমোহন সিং। নয়াদিল্লির জেপি পার্কে আজ মঙ্গলবার থেকে হাজারের অনশন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু গতকাল সোমবার অনশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ।
গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে মনমোহন বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সম্ভাব্য অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আজ বিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ওই অবস্থায় পৌঁছানোর জন্য আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় অন্তরায় দুর্নীতি। কাজেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সবচেয়ে কঠোরতম সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।’
তবে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমন কোনো জাদুদণ্ড নেই, যার ছোঁয়ায় নিমেষেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তাই অধিকতর স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া, কার্যকর বিচারব্যবস্থা চালু করা, সরকারি ক্রয়ের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিচার ও তদন্তের জন্য লোকপাল নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন মনমোহন সিং।
দুর্নীতি প্রতিরোধে লোকপাল নিয়োগের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সুপরিচিত সমাজকর্মী আন্না হাজারে। তিনি বেশ কয়েকবার টানা অনশনও করেছেন। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে সরকার কিছুদিন আগে লোকপাল বিলের খসড়া উপস্থাপন করেছে পার্লামেন্টে। কিন্তু এতে প্রধানমন্ত্রী ও বিচারপতিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু আন্না হাজারে এই খসড়া বিলকে দেশের মানুষের সঙ্গে ‘নির্মম পরিহাস’ বলে উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু সরকার গত রোববার বলেছে, হাজারে অনশন শুরু করলে তা হবে অগণতান্ত্রিক এবং পার্লামেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, আন্না হাজারে নিজেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বেসরকারি সংস্থা অবৈধভাবে অর্থ খরচ করেছে এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সঙ্গে যাঁরা সঙ্গী হয়েছেন, তাঁদের অনেকেও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তবে হাজারে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্ত করে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আমরণ অনশন নিয়ে আন্না হাজারে ও সরকার প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে।
আর গতকালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, ‘লোকপাল বিল নিয়ে অনেকের ভিন্ন মত আছে, তা আমি জানি। যাঁরা এর সঙ্গে একমত হতে পারছেন না, তাঁরা বিষয়গুলো পার্লামেন্টে তুলতে পারেন, সে রাজনৈতিক দল বা গণমাধ্যম হোক। আমি মনে করি, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা অনশন বা আমরণ অনশন শুরু করতে পারেন না।’
এদিকে, আন্না হাজারের অনশন কর্মসূচি গতকাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ। নয়াদিল্লি পুলিশের মুখপাত্র রাজন ভগত জানিয়েছেন, ‘অনশনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেননা, তাঁরা যেখানে অনশন কর্মসূচি পালন করতে চান, সে পার্কটি কেন্দ্রীয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে। অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আন্না হাজারে এবং তাঁর সমর্থকেরা তিন দিনের জন্য পার্কটি পেতে পারেন এবং সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবে না।
ভারতের প্রথম শীর্ষ নারী-পুলিশ কর্মকর্তা এবং বর্তমান সমাজকর্মী কিরণ বেদি আছেন আন্না হাজারের আন্দোলনের পক্ষে। গতকাল তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্না হাজারে এবং তাঁর সমর্থকেরা মঙ্গলবার অনশনে যাবেন। পুলিশ যদি তাঁদের গ্রেপ্তার করে তার পরও তাঁরা কর্মসূচি শুরু করবেন।
No comments