নিউজিল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ৭৫ নিখোঁজ তিন শতাধিক
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। তিন শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য কর্তৃপক্ষ ক্রাইস্টচার্চের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রাতের বেলায় কারফিউ জারি করেছে। এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই দেশটির একটি হিমবাহ থেকে তিন কোটি টন ওজনের এক বিশাল বরফের চাঁই খসে পড়েছে।
দেশটির পাঁচ শতাধিক উদ্ধারকর্মী, পুলিশ, দমকলকর্মী, সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ধংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে সারা রাত প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান। এমনকি কাউকে কাউকে খালি হাতেই ধংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সেন্টারবুরি টেলিভিশন ভবন এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের আঞ্চলিক কমান্ডার পরিদর্শক ডেভ লরি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এ এলাকায় ধংসস্তূপের নিচে এখন আর কেউ জীবিত নেই। এ কথাটা জানাতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি সব স্বজনহারাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রাসেল গিবসন বলেন, ‘আমরা কোনো কোনো ধসে পড়া ভবন থেকে শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এখন সেগুলোর দিকেই পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এমন কিছু মানুষ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের গায়ে এতটুকু আঁচড়ও লাগেনি।’ কতসংখ্যক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে তিনি মনে করেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ১০০ বা তারও বেশি হতে পারে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় নিখোঁজ লোকজনের তালিকাটা সেভাবে করা যাচ্ছে না।
ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভবন গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর হোটেল উদ্ধারকর্মীরা ঘিরে রেখেছেন। কারণ, ভূমিকম্পে এটি এক পাশে মিটারখানেক হেলে পড়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। ক্যাসেল স্ট্রিট থেকে একটি আহত শিশুকে ধংসস্তূপে চাপা পড়া তার মৃত মায়ের কোল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া লোকদের জন্য শহরের পার্ক, বিদ্যালয় ও কমিউনিটি হলে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রেডক্রস গৃহহীন লোকজনকে তাবু ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ছাউনিতে ঠাঁই করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নিউজিল্যান্ডের রাষ্টপ্রধান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ভূমিকম্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর শোকবার্তায় নিউজিল্যান্ডবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দেশটির আরোকি মাউন্ট থেকে বিশাল একটি বরফের চাঁই খসে পড়েছে। তিন থেকে চার কোটি টন ওজনের এ চাঁইটি বিকট শব্দে আরোকি মাউন্ট কক ন্যাশনাল পার্কে ধসে পড়ে। ওই এলাকার পর্যটন ব্যবস্থাপক ডেনিস কালেসেন জানান, বরফ খণ্ডটি গলে পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
দেশটির পাঁচ শতাধিক উদ্ধারকর্মী, পুলিশ, দমকলকর্মী, সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ধংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে সারা রাত প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান। এমনকি কাউকে কাউকে খালি হাতেই ধংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সেন্টারবুরি টেলিভিশন ভবন এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের আঞ্চলিক কমান্ডার পরিদর্শক ডেভ লরি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এ এলাকায় ধংসস্তূপের নিচে এখন আর কেউ জীবিত নেই। এ কথাটা জানাতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি সব স্বজনহারাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রাসেল গিবসন বলেন, ‘আমরা কোনো কোনো ধসে পড়া ভবন থেকে শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এখন সেগুলোর দিকেই পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এমন কিছু মানুষ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের গায়ে এতটুকু আঁচড়ও লাগেনি।’ কতসংখ্যক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে তিনি মনে করেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ১০০ বা তারও বেশি হতে পারে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় নিখোঁজ লোকজনের তালিকাটা সেভাবে করা যাচ্ছে না।
ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভবন গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর হোটেল উদ্ধারকর্মীরা ঘিরে রেখেছেন। কারণ, ভূমিকম্পে এটি এক পাশে মিটারখানেক হেলে পড়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। ক্যাসেল স্ট্রিট থেকে একটি আহত শিশুকে ধংসস্তূপে চাপা পড়া তার মৃত মায়ের কোল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া লোকদের জন্য শহরের পার্ক, বিদ্যালয় ও কমিউনিটি হলে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রেডক্রস গৃহহীন লোকজনকে তাবু ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ছাউনিতে ঠাঁই করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নিউজিল্যান্ডের রাষ্টপ্রধান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ভূমিকম্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর শোকবার্তায় নিউজিল্যান্ডবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দেশটির আরোকি মাউন্ট থেকে বিশাল একটি বরফের চাঁই খসে পড়েছে। তিন থেকে চার কোটি টন ওজনের এ চাঁইটি বিকট শব্দে আরোকি মাউন্ট কক ন্যাশনাল পার্কে ধসে পড়ে। ওই এলাকার পর্যটন ব্যবস্থাপক ডেনিস কালেসেন জানান, বরফ খণ্ডটি গলে পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
No comments