উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ চাই-জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি
বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত একটু তড়িঘড়ি করেই নিল কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কারণ, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রা সহনীয় রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভবত সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত হলো না।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে, শিল্প-কারখানায় ও পরিবহন খাতে জ্বালানি তেলের যে দুটি ধরন সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয়, সেই ফার্নেস তেল ও ডিজেলের দাম এখন লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪২ টাকা ও ৪৬ টাকা করা হলো। এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে ফার্নেস তেলের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে, পণ্য পরিবহনের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষত বিদ্যুৎ খাত যখন সম্প্রসারিত হচ্ছে, এবং এ খাতে জ্বালানির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, তখন ফার্নেস তেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি সমস্যা বটে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফার্নেস তেলের চাহিদা ছিল ৩৯ হাজার টন, আর এপ্রিল মাসেই চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার টনের বেশি, জুলাই-আগস্ট নাগাদ আরও কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র চালু হলে এই চাহিদা বেড়ে দেড় লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেলের চাহিদাও বাড়ছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে এবং তার প্রভাবে শিল্প উৎপাদনের ব্যয়বৃদ্ধি অর্থনীতির নানা খাতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচও বাড়বে; বিশেষত পণ্য পরিবহনের ব্যয় বৃদ্ধি দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
আবার এ-ও এক কঠিন বাস্তবতা যে সব ধরনের জ্বালানি তেলের ওপর সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। বর্তমানে এক লিটার ডিজেলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয় ৩৩ টাকারও বেশি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই খাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই তেলের দাম বাড়ানোর বিকল্পও তেমন নেই। তবে যেহেতু এর প্রভাব খুব দ্রুতই জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই অতি দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রথম গুরুত্বটা দেওয়া উচিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে। এই খাতে জ্বালানি সরবরাহ বাড়িয়ে শিল্পে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করা খুব জরুরি। আর প্রয়োজন কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ। কীভাবে অধিকসংখ্যক মানুষ কাজ পায়, কীভাবে তাদের আয় বৃদ্ধি পেতে পারে, সেসব দিকে দৃষ্টি দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া বিশ্বমন্দার অনিশ্চয়তা, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতার মধ্যে বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দেশে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিকল্প খুব বেশি নেই।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে, শিল্প-কারখানায় ও পরিবহন খাতে জ্বালানি তেলের যে দুটি ধরন সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয়, সেই ফার্নেস তেল ও ডিজেলের দাম এখন লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪২ টাকা ও ৪৬ টাকা করা হলো। এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে ফার্নেস তেলের দাম লিটারপ্রতি দুই টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে, পণ্য পরিবহনের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষত বিদ্যুৎ খাত যখন সম্প্রসারিত হচ্ছে, এবং এ খাতে জ্বালানির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, তখন ফার্নেস তেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি সমস্যা বটে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফার্নেস তেলের চাহিদা ছিল ৩৯ হাজার টন, আর এপ্রিল মাসেই চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার টনের বেশি, জুলাই-আগস্ট নাগাদ আরও কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র চালু হলে এই চাহিদা বেড়ে দেড় লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেলের চাহিদাও বাড়ছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে এবং তার প্রভাবে শিল্প উৎপাদনের ব্যয়বৃদ্ধি অর্থনীতির নানা খাতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচও বাড়বে; বিশেষত পণ্য পরিবহনের ব্যয় বৃদ্ধি দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
আবার এ-ও এক কঠিন বাস্তবতা যে সব ধরনের জ্বালানি তেলের ওপর সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। বর্তমানে এক লিটার ডিজেলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয় ৩৩ টাকারও বেশি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই খাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই তেলের দাম বাড়ানোর বিকল্পও তেমন নেই। তবে যেহেতু এর প্রভাব খুব দ্রুতই জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই অতি দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রথম গুরুত্বটা দেওয়া উচিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে। এই খাতে জ্বালানি সরবরাহ বাড়িয়ে শিল্পে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করা খুব জরুরি। আর প্রয়োজন কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ। কীভাবে অধিকসংখ্যক মানুষ কাজ পায়, কীভাবে তাদের আয় বৃদ্ধি পেতে পারে, সেসব দিকে দৃষ্টি দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া বিশ্বমন্দার অনিশ্চয়তা, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতার মধ্যে বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দেশে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিকল্প খুব বেশি নেই।
No comments