মুম্বাইয়ে ইতিহাসের হাতছানি
মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদেই মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরেকটি ইতিহাস গড়ার নাটক মঞ্চস্থ হবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এই লড়াই আবেগে উত্তেজনায় উন্মাতাল করে দেবে গোটা উপমহাদেশকে। উত্তেজনা নিহিত থাকবে বিশ্বসেরা ক্রিকেট দল হওয়ার যুদ্ধে। আর সবাইকে আবেগ ছুঁয়ে যাবে ক্রিকেট ইতিহাসের দুই গ্রেটের ‘শেষ লড়াই’। মুত্তিয়া মুরালিধরন আর শচীন টেন্ডুলকার যে আজই শেষবারের মতো শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন। ক্রিকেট রোমান্টিকদের জন্য এর চেয়ে আবেগের উপলক্ষ আর কীই-বা হতে পারে!
গত দুই বছর ভারত আর শ্রীলঙ্কা বেশ কয়েকবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। অন্য সময় হলে আরেকটি ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটামোদীদের বিরক্তির উদ্রেক করত। কিন্তু মুম্বাইয়ের আজকের লড়াই যে সব লড়াইয়ের ব্যতিক্রম। এ যে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এ লড়াই যে বিশ্ব শ্রেষ্ঠ হওয়ার লড়াই। ক্রিকেট ইতিহাস এর চেয়ে বড় ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই দেখেছে কি না সন্দেহ !
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত ছিল সন্দেহাতীত ফেবারিট। শ্রীলঙ্কার শরীর থেকে তখনো ছোট দলের লেবেলটা মুছে যায়নি। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন বাজিকরদের বাজির পাল্লা ভারতের দিকেই ঝুঁকে ছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত যখন ২৭০ রানের বেশি স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলল, তখন শ্রীলঙ্কার জয় নিয়ে বলতে গেলে কেউ ভাবেইনি। কিন্তু শ্রীনাথ, প্রসাদ, প্রভাকরদের তুলোধুনো করে রমেশ কালুভিতারানা ও জয়সুরিয়া সেদিন ক্রিকেটের ব্যাকরণগুলো নতুন করেই লিখলেন। বিশ ওভার যেতে না যেতেই ২৭০ রান করা ভারত নিজেদের অসহায় পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করল। মনোজ প্রভাকরের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল এ একটি ম্যাচেই। তত্কালীন ভারতীয় উদ্বোধনী বোলার প্রভাকর ‘ইজ্জত বাঁচাতে’ সেদিন অফ স্পিন করেছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসেও এ ঘটনা স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ভারতের বিপক্ষে সেদিন এক সহজ জয়, শ্রীলঙ্কাকে তুলে এনেছিল মর্যাদার আসনে। সেবার সেমিতে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আবার শ্রীলঙ্কার কাছে ভারতের পরাজয় শ্রীলঙ্কাকে সত্যিই পরিণত করেছিল ফেবারিটে। পেছনের সারি থেকে ছুটে এসে বিশ্বকাপ জিতে সেবার শ্রীলঙ্কারও শুরু হয়েছিল নতুন এক অগ্রযাত্রা।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে দুবার পরাজয়ের স্বাদ পেলেও তার পরের দুই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারত নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করেছিল। ’৯৯ সালে সৌরভ গাঙ্গুলির অনবদ্য ১৮৩ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ভারতের সহজ জয় ’৯৬-এর ক্ষততে কিছুটা হলেও আরাম অনুভূত হয়েছিল। ২০০৩ সালে দারুণ পেশাদার ভারতীয় দল পেয়েছিল আরেকটি সহজ জয়। কেবল ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের পর এ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেই সুপার এইটে আর ওঠা হয়নি ভারতের। ভারতীয় ক্রিকেটেও সেটি এক দগদগে ক্ষত হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
’৯৬-এর বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অনেকেই তাদের সেবারের সাফল্যকে ‘ফ্লুক’ হিসেবে আখ্যা দিলেও শ্রীলঙ্কার অদম্য ক্রিকেট সৈনিকেরা পরের বছরগুলোতে নিজেদের প্রমাণ করেই মর্যাদার বলয়ে নিজেদের স্থান করে নিয়েছিল। এবার নিয়ে সর্বশেষ পাঁচটি বিশ্বকাপের তিনটি আসরে ফাইনালে খেলার সুযোগ করে নিয়ে শ্রীলঙ্কাও নিজেদের তৈরি করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল হিসেবে।
বিশ্বকাপে এ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যানটা শ্রীলঙ্কার দিকেই ঝুঁকে আছে। ১৯৭৯ সালে প্রথম মোকাবিলাতেই ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল তত্কালীন অ-টেস্ট খেলুড়ে দেশ শ্রীলঙ্কা। এরপর ’৯৬-এ দুবার হারের পর ভারত ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। ২০০৭ সালে এসে আবার শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয় ভারতকে। মোট ছয়টি খেলায় শ্রীলঙ্কা জিতেছে চারবার আর ভারত দুবার। তবে, পরিসংখ্যান যা-ই থাকুক না কেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে প্রথমবারের মতো এ দুই দলের মোকাবিলাটা অন্য আর সব লড়াইয়ের চেয়ে আলাদা হবে—তা বলাই বাহুল্য।
২০০৩ সালে সর্বশেষ ভারত যখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে খেলেছিল, তখন ফাইনালে খেলার অনভিজ্ঞতাই শেষ করে দিয়েছিল ভারতীয় দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেবারের ফাইনালটি ম্যাচের প্রথমার্ধেই শেষ করে দিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। কিন্তু সাত বছর বাদে এবারের ভারতীয় দল অনেক বেশি পরিণত, অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা বিশ্বাস করছে, এবারের বিশ্বকাপ যেন অপেক্ষাই করছে তাদের জন্য।
’৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই অস্ট্রেলিয়াকে সহজে কুপোকাত করেছিল শ্রীলঙ্কা। অরবিন্দ ডি সিলভা, আসাঙ্কা গুরুসিংহে আর অর্জুনা রানাতুঙ্গা সেবার লঙ্কান সাফল্যে রেখেছিলেন বিরাট ভূমিকা। ২০০৭ সালে বৃষ্টি আইনের মারপ্যাঁচে পরে সাফল্য-বঞ্চিত শ্রীলঙ্কা এবার তাই বড় বেশি বুভুক্ষু। এবার তাদের দলে হয়তো, অরবিন্দ ডি সিলভার মতো তারকা নেই, কিন্তু দিলশান, সাঙ্গাকারার মতো তারকারাও শ্রীলঙ্কাকে বিশ্ব জয়ের সম্মান এনে দেওয়ায় পারদর্শী। যার প্রমাণ তাঁরা রাখতে চাইবেন ওয়াংখেড়ের সবুজ উদ্যানে।
ওয়াংখেড়ের ফাইনাল আজ সম্মানিত হবে এবারের বিশ্বকাপে এ দুই সেরা দলের মোকাবিলায়। পরিসংখ্যানই বলছে, এক চমত্কার লড়াইই অপেক্ষমাণ ক্রিকেটামোদীদের জন্য। কোনো দলের পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ থেকে ফাইনাল যুদ্ধ উপভোগই মনে হয় সর্বোত্কৃষ্ট পন্থা। কারণ, সাফল্য যারই আসুক, আজকের ম্যাচে শেষ অবধি ক্রিকেটেরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যে সবচেয়ে বেশি।
আচ্ছা, এমন যদি হতো, দুই গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার আর মুত্তিয়া মুরালিধরন একই সঙ্গে জিতলেন, তাহলে কত ভালোই না হতো! ক্রিকেটের এত ঋণ যে দুজনের কাছে, তাঁরা আজ একজন হাসবেন, একজন কাঁদবেন—এটা কি এক নিদারুণ নিষ্ঠুরতা নয়!
গত দুই বছর ভারত আর শ্রীলঙ্কা বেশ কয়েকবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। অন্য সময় হলে আরেকটি ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটামোদীদের বিরক্তির উদ্রেক করত। কিন্তু মুম্বাইয়ের আজকের লড়াই যে সব লড়াইয়ের ব্যতিক্রম। এ যে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এ লড়াই যে বিশ্ব শ্রেষ্ঠ হওয়ার লড়াই। ক্রিকেট ইতিহাস এর চেয়ে বড় ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই দেখেছে কি না সন্দেহ !
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত ছিল সন্দেহাতীত ফেবারিট। শ্রীলঙ্কার শরীর থেকে তখনো ছোট দলের লেবেলটা মুছে যায়নি। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন বাজিকরদের বাজির পাল্লা ভারতের দিকেই ঝুঁকে ছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত যখন ২৭০ রানের বেশি স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলল, তখন শ্রীলঙ্কার জয় নিয়ে বলতে গেলে কেউ ভাবেইনি। কিন্তু শ্রীনাথ, প্রসাদ, প্রভাকরদের তুলোধুনো করে রমেশ কালুভিতারানা ও জয়সুরিয়া সেদিন ক্রিকেটের ব্যাকরণগুলো নতুন করেই লিখলেন। বিশ ওভার যেতে না যেতেই ২৭০ রান করা ভারত নিজেদের অসহায় পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করল। মনোজ প্রভাকরের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল এ একটি ম্যাচেই। তত্কালীন ভারতীয় উদ্বোধনী বোলার প্রভাকর ‘ইজ্জত বাঁচাতে’ সেদিন অফ স্পিন করেছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসেও এ ঘটনা স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ভারতের বিপক্ষে সেদিন এক সহজ জয়, শ্রীলঙ্কাকে তুলে এনেছিল মর্যাদার আসনে। সেবার সেমিতে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আবার শ্রীলঙ্কার কাছে ভারতের পরাজয় শ্রীলঙ্কাকে সত্যিই পরিণত করেছিল ফেবারিটে। পেছনের সারি থেকে ছুটে এসে বিশ্বকাপ জিতে সেবার শ্রীলঙ্কারও শুরু হয়েছিল নতুন এক অগ্রযাত্রা।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে দুবার পরাজয়ের স্বাদ পেলেও তার পরের দুই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারত নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করেছিল। ’৯৯ সালে সৌরভ গাঙ্গুলির অনবদ্য ১৮৩ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ভারতের সহজ জয় ’৯৬-এর ক্ষততে কিছুটা হলেও আরাম অনুভূত হয়েছিল। ২০০৩ সালে দারুণ পেশাদার ভারতীয় দল পেয়েছিল আরেকটি সহজ জয়। কেবল ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের পর এ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেই সুপার এইটে আর ওঠা হয়নি ভারতের। ভারতীয় ক্রিকেটেও সেটি এক দগদগে ক্ষত হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
’৯৬-এর বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অনেকেই তাদের সেবারের সাফল্যকে ‘ফ্লুক’ হিসেবে আখ্যা দিলেও শ্রীলঙ্কার অদম্য ক্রিকেট সৈনিকেরা পরের বছরগুলোতে নিজেদের প্রমাণ করেই মর্যাদার বলয়ে নিজেদের স্থান করে নিয়েছিল। এবার নিয়ে সর্বশেষ পাঁচটি বিশ্বকাপের তিনটি আসরে ফাইনালে খেলার সুযোগ করে নিয়ে শ্রীলঙ্কাও নিজেদের তৈরি করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল হিসেবে।
বিশ্বকাপে এ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যানটা শ্রীলঙ্কার দিকেই ঝুঁকে আছে। ১৯৭৯ সালে প্রথম মোকাবিলাতেই ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল তত্কালীন অ-টেস্ট খেলুড়ে দেশ শ্রীলঙ্কা। এরপর ’৯৬-এ দুবার হারের পর ভারত ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। ২০০৭ সালে এসে আবার শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয় ভারতকে। মোট ছয়টি খেলায় শ্রীলঙ্কা জিতেছে চারবার আর ভারত দুবার। তবে, পরিসংখ্যান যা-ই থাকুক না কেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে প্রথমবারের মতো এ দুই দলের মোকাবিলাটা অন্য আর সব লড়াইয়ের চেয়ে আলাদা হবে—তা বলাই বাহুল্য।
২০০৩ সালে সর্বশেষ ভারত যখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে খেলেছিল, তখন ফাইনালে খেলার অনভিজ্ঞতাই শেষ করে দিয়েছিল ভারতীয় দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেবারের ফাইনালটি ম্যাচের প্রথমার্ধেই শেষ করে দিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। কিন্তু সাত বছর বাদে এবারের ভারতীয় দল অনেক বেশি পরিণত, অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা বিশ্বাস করছে, এবারের বিশ্বকাপ যেন অপেক্ষাই করছে তাদের জন্য।
’৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই অস্ট্রেলিয়াকে সহজে কুপোকাত করেছিল শ্রীলঙ্কা। অরবিন্দ ডি সিলভা, আসাঙ্কা গুরুসিংহে আর অর্জুনা রানাতুঙ্গা সেবার লঙ্কান সাফল্যে রেখেছিলেন বিরাট ভূমিকা। ২০০৭ সালে বৃষ্টি আইনের মারপ্যাঁচে পরে সাফল্য-বঞ্চিত শ্রীলঙ্কা এবার তাই বড় বেশি বুভুক্ষু। এবার তাদের দলে হয়তো, অরবিন্দ ডি সিলভার মতো তারকা নেই, কিন্তু দিলশান, সাঙ্গাকারার মতো তারকারাও শ্রীলঙ্কাকে বিশ্ব জয়ের সম্মান এনে দেওয়ায় পারদর্শী। যার প্রমাণ তাঁরা রাখতে চাইবেন ওয়াংখেড়ের সবুজ উদ্যানে।
ওয়াংখেড়ের ফাইনাল আজ সম্মানিত হবে এবারের বিশ্বকাপে এ দুই সেরা দলের মোকাবিলায়। পরিসংখ্যানই বলছে, এক চমত্কার লড়াইই অপেক্ষমাণ ক্রিকেটামোদীদের জন্য। কোনো দলের পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ থেকে ফাইনাল যুদ্ধ উপভোগই মনে হয় সর্বোত্কৃষ্ট পন্থা। কারণ, সাফল্য যারই আসুক, আজকের ম্যাচে শেষ অবধি ক্রিকেটেরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যে সবচেয়ে বেশি।
আচ্ছা, এমন যদি হতো, দুই গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার আর মুত্তিয়া মুরালিধরন একই সঙ্গে জিতলেন, তাহলে কত ভালোই না হতো! ক্রিকেটের এত ঋণ যে দুজনের কাছে, তাঁরা আজ একজন হাসবেন, একজন কাঁদবেন—এটা কি এক নিদারুণ নিষ্ঠুরতা নয়!
No comments