জাপানে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে ভূগর্ভস্থ পানিতেও
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে ভূগর্ভস্থ পানিতেও। কেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানি এখনো পানের অনুপযোগী হয়ে পড়েনি বলে জানায় টেপকো।
টেপকোর মুখপাত্র নাউয়োকি মাতসুমো জানান, কেন্দ্রের নিচে ভূগর্ভস্থ পানিতে তেজস্ক্রিয়তা নিরাপদ মাত্রার চেয়ে এক হাজার গুণ বেড়ে গেছে। একটি চুল্লির নিচে মাটির ৫০ ফুট গভীরের তেজস্ক্রিয় উপাদান আয়োডিন-১৩১ পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই তেজস্ক্রিয়তা এই মুহূর্তে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে দুভাবে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। চুল্লির নিচের ওই বিষাক্ত পানি যদি চুইয়ে চুইয়ে আশপাশের নলকূপের নাগালে চলে যায় এবং লোকজন সে পানি পান করে। বর্তমানে সেই হুমকি নেই, কেননা কেন্দ্রের আশপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িঘরের খোঁজখবর নিতে কিছু মানুষ চুরি করে এলাকায় ঢুকছে। এতে বিপদ হতে পারে।
এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানিতে তেজস্ক্রিয়তা যেভাবে হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তা হলো ওই পানি যদি চুইয়ে চুইয়ে আশপাশের নদী ও অন্য কোনো জলাধারে চলে যায় এবং মানুষ যদি তা পান করে।
তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানের অধ্যাপক সেইকি কাওয়াগোয়ি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি সমুদ্রের পানির মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে তেজস্ক্রিয়তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।
এর আগে ওই কেন্দ্রের আশপাশের মাটি ও সমুদ্রের পানিতে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সবজি, দুধ ও ট্যাপের পানিতেও তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান গতকাল শুক্রবার বলেছেন, মানুষ যতক্ষণ সরকারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলবে, ততক্ষণ তেজস্ক্রিয়তা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না।
কান আরও বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই ২০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছি। এর বাইরের লোকজনকে সরানোর দরকার নেই। আমরা লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন সরকারের পরামর্শ মেনে চলে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো হুমকি হবে না।’
তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গত বৃহস্পতিবার জানায়, ফুকুশিমা কেন্দ্রের ৪০ কিলোমিটার দূরে বিপজ্জনক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে। ফলে জাপান সরকারের উচিত, আরও বেশি এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করা।
টেপকোর মুখপাত্র নাউয়োকি মাতসুমো জানান, কেন্দ্রের নিচে ভূগর্ভস্থ পানিতে তেজস্ক্রিয়তা নিরাপদ মাত্রার চেয়ে এক হাজার গুণ বেড়ে গেছে। একটি চুল্লির নিচে মাটির ৫০ ফুট গভীরের তেজস্ক্রিয় উপাদান আয়োডিন-১৩১ পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই তেজস্ক্রিয়তা এই মুহূর্তে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে দুভাবে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। চুল্লির নিচের ওই বিষাক্ত পানি যদি চুইয়ে চুইয়ে আশপাশের নলকূপের নাগালে চলে যায় এবং লোকজন সে পানি পান করে। বর্তমানে সেই হুমকি নেই, কেননা কেন্দ্রের আশপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িঘরের খোঁজখবর নিতে কিছু মানুষ চুরি করে এলাকায় ঢুকছে। এতে বিপদ হতে পারে।
এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানিতে তেজস্ক্রিয়তা যেভাবে হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তা হলো ওই পানি যদি চুইয়ে চুইয়ে আশপাশের নদী ও অন্য কোনো জলাধারে চলে যায় এবং মানুষ যদি তা পান করে।
তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানের অধ্যাপক সেইকি কাওয়াগোয়ি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি সমুদ্রের পানির মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে তেজস্ক্রিয়তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।
এর আগে ওই কেন্দ্রের আশপাশের মাটি ও সমুদ্রের পানিতে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সবজি, দুধ ও ট্যাপের পানিতেও তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান গতকাল শুক্রবার বলেছেন, মানুষ যতক্ষণ সরকারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলবে, ততক্ষণ তেজস্ক্রিয়তা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না।
কান আরও বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই ২০ কিলোমিটার এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছি। এর বাইরের লোকজনকে সরানোর দরকার নেই। আমরা লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন সরকারের পরামর্শ মেনে চলে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো হুমকি হবে না।’
তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গত বৃহস্পতিবার জানায়, ফুকুশিমা কেন্দ্রের ৪০ কিলোমিটার দূরে বিপজ্জনক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে। ফলে জাপান সরকারের উচিত, আরও বেশি এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করা।
No comments