বাথ পার্টির শাসন অবসানের দাবিতে উত্তাল সিরিয়া
সিরিয়ার ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির শাসন অবসানের দাবিতে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশটির রাজধানী দামেস্কসহ অন্তত তিনটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জাতির উদ্দেশে ভাষণে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে বিদেশি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করার ঠিক দুই দিনের মাথায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো।
গতকাল জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দামেস্কের রাজপথে নেমে আসে। এ সময় দামেস্কের উপকণ্ঠে দুমা শহরে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও গুলি চালায়। এতে চার বিক্ষোভকারী নিহত ও বহু আহত হয়। এ ছাড়া উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া ও বানিয়াতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। রাজনৈতিক সংস্কার ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার-সম্পর্কিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমরা এ ধরনের কথা শুনে আসছি। আসল কথা হলো, আমরা ৪০ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার।’ এর আগে গতকাল অনলাইনে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় সিরিয়ার মানবাধিকার কর্মী ও বিশিষ্ট আইনজীবী হায়তাম মালেহ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। সিরিয়া রেভল্যুশন ২০১১ নামে একটি গ্রুপ ফেসবুকে জুমার নামাজের পর প্রতিটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার আহ্বান জানায়।
সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সেনাদের গুলিতে এ পর্যন্ত ১৬০ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ প্রাণ হারিয়েছে জর্ডান সীমান্ত-সংলগ্ন দেরা ও উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায়। সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য মৃতের সংখ্যা ৩০ বলে জানিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেন, এরা সেনাদের গুলিতে নয়, বরং মুসলিম চরমপন্থীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ গত বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি দেশে ৫০ বছর ধরে চলা জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। সিরিয়ায় ১৯৬৩ সালে বাথ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জরুরি অবস্থা বলবৎ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার তাঁর ১১ বছরের শাসনকালে বর্তমানে সবচেয়ে চাপের মুখে আছেন।
সিরিয়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ: যুক্তরাষ্ট্র গত বৃহস্পতিবার সে দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া সিরিয়া ভ্রমণ না করতে এবং সেখানে অবস্থানরত মার্কিনদের দেশটি ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে। দেশটিতে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন নাগরিকদেরকে সিরিয়ার অস্থির এলাকাগুলোয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল। এসব এলাকায় নিরাপত্তাকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার সঙ্গে অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক চলছে। সিরিয়া হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো জঙ্গি দলগুলোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আসাদ দেশটি থেকে জরুরি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা না দেওয়ায় বিক্ষোভ ও সহিংসতা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দামেস্কের রাজপথে নেমে আসে। এ সময় দামেস্কের উপকণ্ঠে দুমা শহরে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও গুলি চালায়। এতে চার বিক্ষোভকারী নিহত ও বহু আহত হয়। এ ছাড়া উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া ও বানিয়াতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। রাজনৈতিক সংস্কার ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার-সম্পর্কিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমরা এ ধরনের কথা শুনে আসছি। আসল কথা হলো, আমরা ৪০ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার।’ এর আগে গতকাল অনলাইনে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় সিরিয়ার মানবাধিকার কর্মী ও বিশিষ্ট আইনজীবী হায়তাম মালেহ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। সিরিয়া রেভল্যুশন ২০১১ নামে একটি গ্রুপ ফেসবুকে জুমার নামাজের পর প্রতিটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার আহ্বান জানায়।
সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সেনাদের গুলিতে এ পর্যন্ত ১৬০ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ প্রাণ হারিয়েছে জর্ডান সীমান্ত-সংলগ্ন দেরা ও উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায়। সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য মৃতের সংখ্যা ৩০ বলে জানিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেন, এরা সেনাদের গুলিতে নয়, বরং মুসলিম চরমপন্থীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ গত বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি দেশে ৫০ বছর ধরে চলা জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। সিরিয়ায় ১৯৬৩ সালে বাথ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জরুরি অবস্থা বলবৎ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার তাঁর ১১ বছরের শাসনকালে বর্তমানে সবচেয়ে চাপের মুখে আছেন।
সিরিয়া ভ্রমণ না করার পরামর্শ: যুক্তরাষ্ট্র গত বৃহস্পতিবার সে দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া সিরিয়া ভ্রমণ না করতে এবং সেখানে অবস্থানরত মার্কিনদের দেশটি ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে। দেশটিতে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন নাগরিকদেরকে সিরিয়ার অস্থির এলাকাগুলোয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল। এসব এলাকায় নিরাপত্তাকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার সঙ্গে অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক চলছে। সিরিয়া হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো জঙ্গি দলগুলোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আসাদ দেশটি থেকে জরুরি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা না দেওয়ায় বিক্ষোভ ও সহিংসতা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
No comments