নিয়ামুলের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন চাই by মিজানুর রহমান খান
শিশু নিয়ামুলকে আপনারা চেনেন। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম আলোসহ কয়েকটি পত্রিকায় খবর ছাপা হয় যে শিশুদের পঙ্গু করে নামানো হচ্ছে ভিক্ষায়। একেবারে হইচই ফেলে দেওয়া খবর। এ ঘটনা শুনে অনেকেই স্তম্ভিত হন। ভাবেন, আমরা কোথায় যাচ্ছি? আদালত ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন এ ঘটনা পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর। এই শিশুটিকে ঘিরে দুটো পরস্পরবিরোধী গল্প। এর তদন্ত চলছে। কিন্তু এটা এতই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর যে যাকে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ যথেষ্ট সংগত কারণেই ‘উচ্চ অগ্রাধিকার’ দেন। সন্দেহভাজন বলে যারা প্রচারিত, তাদের অন্যতম নাজমা আক্তার। তাকে বলা হচ্ছে ‘গডমাদার’।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) লালমাটিয়ার ভবনে কথা হলো পরিচালক নূর খানের সঙ্গে। প্রায় দেড় দশক ধরে তিনি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি আমাকে অনুযোগের সুরে বললেন, মিডিয়া মানবাধিকার প্রশ্নে সাধারণত ভালো ভূমিকা রাখে। কিন্তু কখনো কখনো গুরুতর বিভ্রাট ঘটে। তাঁর সঙ্গে আলোচনার নির্যাস হলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কখনো বিপত্তি ঘটাতে পারে। আমি এক উপকূলীয় জেলায় র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির কথা জানি। তারা দেখিয়েছে, একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। ওই ইটের ভাটা একজন সংখ্যালঘু কলেজশিক্ষক ও চিকিৎসক পরিবারের। সেই খবর প্রথম আলোয়ও ছাপা হয়েছে। পরে শুনেছি, তাতে প্রতিপক্ষের হাত ছিল। জব্দ করতে ডান্ডাবেড়ির ঘটনা সাজানো হয়।
নিয়ামুলের ঘটনা আরও বিশ্বাসযোগ্য ছিল। র্যাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। সেখানে কথিতমতে পঙ্গু করে ভিক্ষুক বানানো চক্রের সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে কুরবান হাজির হন। টিভি অনুষ্ঠান সূত্রে র্যাব অভিযান চালায়। ওই অনুষ্ঠান করেন এলিনা খান ও রোকেয়া প্রাচী। দুজনই স্বনামধন্য। তাঁরাই র্যাবের কাছে তথ্য-প্রমাণ হাজির করেন। তাঁরা সংবাদ সম্মেলনে হাজিরও ছিলেন। সুতরাং, দৃশ্যত মিডিয়া যথাসংগত কারণেই গুরুত্ব দিয়েছে।
আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো, আসক এ বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছে। অভিযুক্ত ও পার্শ্বচরিত্রগুলোর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। আর তা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য এবং বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। আমরা দেশের বরেণ্য মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালের মন্তব্য গুরুত্ব না দিয়ে পারি না। গতকাল তিনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছি যে অভিযুক্ত নাজমা আক্তার এর সঙ্গে জড়িত নন।’ আসকের অনুসন্ধান সত্য হলে পুরো বিষয়টি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে। আইনজীবী এলিনা খান গতকাল আমাকে বলেন, হাইকোর্টে গত ৯ মার্চ সর্বশেষ শুনানি হয়। সেদিন র্যাবের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এম এ বাতেন আদালতে বক্তব্য দেন। তিনি তথ্য দেন যে অভিযুক্তদের মধ্যে একমাত্র নাজমা আক্তারই পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রথম আলোর ৩০ ডিসেম্বরের প্রতিবেদনের বর্ণনায় আট-নয় বছরের এক শিশুকে জড়সড় করে আটকে রাখা হয়েছিল অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের ভেতর। টানা ছয় মাস। খাবার বলতে দিনে একবার। সামান্য ভাত কিংবা রুটি। দিনে দিনে শিশুটি হয়ে পড়ে কঙ্কালসার। এরপর তাকে ভাড়া দেওয়া হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে। ১৯ জানুয়ারি ২০১১ দৈনিক জনকণ্ঠ-এর শিরোনাম, সেই শিশুর অঙ্গহানির বিবরণ এলাকাবাসীর মতে সাজানো নাটক। সাজানো হলো ভিক্ষাবৃত্তির কাহিনি।
আসকের দুজন কর্মকর্তাও বিষয়টি অনুসন্ধান করেন। তাঁদের বর্ণনায়, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ তিন শিশু নিয়ামুল, রাসেল ও ইমরান মার্বেল খেলছিল। রাসেল ও ইমরান তার পুরুষাঙ্গ কাটে। এরপর তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ওমর ফারুকের কাছে বিচার দেয়। তিনি কামরাঙ্গীরচর থানাকে জানান। পুলিশ রাসেল ও ইমরানকে ধরে নিয়ে যায়। থানা ও আদালতে মামলা হয়। নিয়ামুল ও রাসেলের পরিবার নাজমার বাসায় ভাড়া থাকে।
পরে এই নাজমা বেগমকে আমরা পাই পত্রপত্রিকার রিপোর্টে। কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ওমর ফারুক ও নাজমা বেগমের নেতৃত্বে একটি চক্র শিশুদের বিকলাঙ্গ করে তাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির কাজ করাচ্ছে। টিভিতেও এর সম্প্রচার ঘটে।
কয়েকটি বিষয় দেখে মনে হয়েছে, বিষয়টি খুবই জটিল। প্রশ্নজাল তৈরি করে। প্রথমত, গত সেপ্টেম্বরে মার্বেল খেলার ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছিল কি না? এর প্রায় দুই মাস পর ইমরানের বড় ভাই কুরবান আলীকে র্যাব অপহরণ করেছিল কি না? র্যাব-১ তাঁকে আটক করেছিল কি না? তাকে নির্যাতন করে নিয়ামুলের ঘটনার মূল হোতা হিসেবে ওমর ফারুক, নাজমা বেগমসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তৈরি করেছিল কি না? পরে ওমর ফারুককে র্যাব চার দফায় মোট ১২ দিন রিমান্ডে নিয়েছিল কি না? সে সময় তাঁকে ইলেকট্রিক শক বা নিপীড়ন চালানো হয়েছিল কি না? এবং তাঁর কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করা হয়েছিল কি না?
আসকের কাছে কারাবন্দী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় আমি সালিস করেছিলাম। নিয়ামুলের বাবা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। তখন রাসেল ও ইমরানের বাবা বলেছেন, “আমরাও গরিব, এত টাকা দিতে পারব না।” তখন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। এরপর হঠাৎ করেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। আমাকে র্যাব আটক করে। র্যাব ১০ দিন ও পুলিশ দুই দিন রিমান্ডে নিয়েছে। নির্যাতনের কারণে র্যাব যা শিখিয়ে দিয়েছে, তা-ই বলেছি। নাজমা আক্তারকে ফুফু বলে জানি। তাঁর নাম আমাকে বলতে বাধ্য করেছে। ঘটনা হয়েছে বাচ্চাদের সঙ্গে বাচ্চাদের। অথচ টেলিভিশন ও পেপারে সাংবাদিকদের সামনে আমাকে দিয়ে বলতে বাধ্য করেছে, আমরা শিশুদের নুলা করে ভিক্ষা করাই। এসবই মিথ্যা ও বানোয়াট।’
কুরবান এই গল্পের মুখ্য চরিত্র। হাইকোর্টের আদেশেও এসেছে তাঁর নাম। ৯ জানুয়ারি আদালত লিখেছেন, ‘অভিযুক্ত কুরবানের বিবৃতিতে যাদের নাম এসেছে, সেই সব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে আইজিপি ও মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এবং যখন উপযুক্ত মনে হবে, তখন তাঁরা রিমান্ড প্রার্থনা করবেন।’ আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, ‘কদমতলীর ওসি যথাসম্ভব শিগগির ইনভেস্টিগেশন সম্পন্ন করবেন। আমরা অভিযুক্ত কুরবানকে গ্রেপ্তার এবং অশুভ চক্রের উদ্ঘাটন র্যাব সদস্যদের চমৎকারিত্বপূর্ণ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করছি।’
৬ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসকের কাছে তাঁর দাবি: ‘আমার নাম কুরবান আলী। অথচ র্যাব মামলায় আমার নাম দিয়েছে শরিফুল ইসলাম কুরবান। আমার নাম কোনো দিনও শরিফুল ইসলাম কুরবান ছিল না।’ গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম আলোর রিপোর্টেও “শরিফুল ইসলাম” দেখেছি। তিনি আসককে বলেন, ‘আমি একটি চায়ের দোকান চালাই। হঠাৎ একদিন কিছু লোক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। আমার চোখ বেঁধে ফেলে। চোখ খুলে দেখি একটি কক্ষ। চার-পাঁচজন লোক। একজনকে চিনি। তিনি এলিনা খান।’ এলিনা গতকাল তা অস্বীকার করেন। তবে কুরবান আসককে বলেন, নির্যাতিত হয়ে তাঁকে বলতে হয়, ‘পঙ্গু করে আরও অনেককে ভিক্ষাবৃত্তি করিয়েছি। তারা আমাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়েছে।’
শিশু নিয়ামুলের ঘটনায় অভিযুক্ত ইমরানের মা আয়েশা বেগম আসককে নিশ্চিত করেন যে ‘মার্বেলের ঘটনার পর পুলিশ ইমরান ও রাসেলকে আটক করেছিল। আদালত তাদের গাজীপুরের শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল। পক্ষকাল পর ইমরান জামিনে বের হয়ে আসে। এলিনা খান গতকাল আমাকে বলেন, ‘ওই আটক ও মামলা ছিল সাজানো।’ আরটিভির ক্রাইম রিপোর্টে ভিক্ষাবৃত্তির বিষয়টি প্রকাশ পায়। র্যাবের সন্দেহভাজন নাজমা আক্তার ২ মার্চ ২০১১ আসকের অফিসে যান। তিনি মার্বেল খেলা ও সেটা নিয়ে পরবর্তী ঘটনার বিবরণ দেন। বলেন, ‘নিয়ামুল ও রাসেলের পরিবার আমার বাড়িতে ভাড়া থাকে। তারা উভয়েই দরিদ্র পরিবারের শিশু। একটা আপস হয়েছিল। আপসনামায় সাক্ষীদের মধ্যে আমি প্রথম সই করি। ওমর ফারুকও সই করেন। কিন্তু নিয়ামুলের বাবা উমেদ ও অভিযুক্ত রাসেলের বাবা এতে সই দেননি। ওই সালিসের দুই দিন পর এলিনা খান ও রোকেয়া প্রাচী নিয়ামুলের ঘটনার বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেন।’
শিশু নিয়ামুলের ঘটনায় অভিযুক্ত ইমরানের বাবা আবদুল জব্বার ৮ মার্চ আসকের অফিসে যান। তিনিও মার্বেল ও মারামারির বিবরণ দেন। ইমরানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, নাজমা বেগমের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না। তাঁর কথা, ‘নিয়ামুলের ঘটনার আগে থেকে আজ পর্যন্ত আমি নাজমা খালাকে দেখিনি এবং তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কোনো কথা হয়নি।’
সবচেয়ে লক্ষণীয় হচ্ছে, কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম সিকদার জানান, মার্বেলের ঘটনায় রাসেল ও ইমরানকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। থানায় মামলা হওয়ার পর একই বিষয়ে নিয়ামুলের বাবা আদালতে আরেকটি মামলা করেন। তিনি বলেন, এ মামলার তদন্তভার পুলিশের কাছে নেই। র্যাব-১ তদন্ত করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এ কর্মরত এএসপি বাতেন আসকের কর্মীকে ফোনে জানান, ‘ভিকটিম শিশুকে আপনারা পাবেন না। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ২ জানুয়ারি ২০১১ একটি সুয়োমোটো রুল জারি করেন। সেই রুলের অন্যতম জিজ্ঞাসা ছিল অভিযুক্ত ‘কুরবান’কে রিমান্ডে নিতে তাঁরা কেন আবেদন করেননি। তাঁরা কেন রমজান, সাদ্দাম, ইমরান, রাসেল, ওমর ফারুক, সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ থেকে প্রশ্ন ওঠে, ইমরান ও রাসেলের পূর্ববর্তী গ্রেপ্তারের তথ্য আদালতের গোচরে আনা হয়েছিল কি।
৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, এসআই নুরুল আলমের ভূমিকা এই ‘বিয়োগান্ত উপাখ্যানে’ কী ছিল, সেটা উদ্ঘাটন প্রয়োজন। সেটা হয়তো একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত চক্রের অংশ হতে পারে। তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে তাঁকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এবং তাঁকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হবে।
হাইকোর্ট র্যাবকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এতে অভিযুক্তদের মনে বিচার লাভের অনুভূতি অনেক কম সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে হয়। আদালত বলেছেন, ‘একজন উপযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা, সেটা র্যাব থেকেই হলে ভালো হয়, পুরো সত্য ঘটনা উদ্ঘাটনে নিয়োগ করতে হবে। আমরা এ বিষয়টিকে উচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের নির্দেশনা দিচ্ছি। এটা হয়তো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গডফাদাররা হয়তো এ ক্ষেত্রে বহুসংখ্যক সংগঠিত চক্র গড়ে তুলেছে।’ এর পরও কোনো সরকারি তদন্তের ফলাফল বের হয়নি। অথচ আদালত বলেছেন, নিয়ামুল র্যাবের হেফাজতে থাকবে। কারণ, নিয়ামুল এই বিষয়ের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাই র্যাবের মহাপরিচালক নিয়ামুলের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন।’
আমরা মনে করি না যে র্যাব বা অন্য কোনো সংস্থার তদন্তে এর সুষ্ঠু সুরাহা মিলবে। শুনেছি ড. কামাল হোসেনকে নথিপত্র দিয়েছে আসক। তিনি নাকি একটু চোখ বুলিয়ে বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। জনকণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট আদালতের গোচরে এসেছে। আদালত বলেছেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আরও রিপোর্ট না করাই সমীচীন।’ নাজমা সম্পর্কে সুলতানা কামালের বক্তব্য গতকাল এলিনার নজরে আনি। তিনি সুলতানাকে সরাসরি নাকচ করেননি। তিনি বলেন, নাজমার ভূমিকা শুরু থেকেই বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ। এলিনা নিশ্চিত করেন যে, এ ঘটনার বিষয়ে আদালতের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শক্তিশালী কমিটি করেছে। কদমতলী থানাকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন। কেউ দেয়নি। তদন্ত বলতে এলিনার মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আদালতকে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে। এ জন্যই আমি একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন দ্বারা পুরো ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। স্বল্পতম সময়ে জনসমক্ষে তার প্রকাশ আশা করি। এলিনাও এই দাবির সঙ্গে একমত হন।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com
No comments