মিসবাহর কণ্ঠে দলীয় সংহতির জয়গান
বড় কোনো টুর্নামেন্টে ভারতকে সামনে পেলে মিসবাহ-উল-হকেরও হয়তো মনে পড়ে ওই সর্বনাশা স্কুপ। মনে না পড়লেই কী, কেউ না-কেউ ঠিকই মনে করিয়ে দেন। প্রশ্নটা যে হবেই, মিসবাহও বোধহয় তা জানেন। উত্তরটাও হয়তো অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করে রেখেছেন।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা ভেবে এই ম্যাচটা কি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? মিসবাহর কণ্ঠে যেন রেকর্ড বাজল, ‘অতীত তো অতীতই। সব ম্যাচেই এমন কিছু না-কিছু থাকে। বাকি সব ম্যাচের মতোই এখানেও ভালো কিছু করতে চাই।’
বাকি সব ম্যাচের মতো? ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল আর বাকি সব ম্যাচ এক নাকি! মিসবাহও নিশ্চয়ই তা মনে করেন না। বলার জন্য বলা। তিনি ভালোমতোই জানেন, এই একটা ক্রিকেট ম্যাচ যা খেলা ছাড়িয়ে সব সময়ই ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায়। এখানে জয়-পরাজয় শুধুই একটা ম্যাচ জেতা-হারা নয়। ডারবানের ওই দুঃস্মৃতি মুছে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা মনে মনে রাখলেও পাক-ভারত লড়াইয়ের আলাদা তাৎপর্যটা ঠিকই বললেন, ‘এই ম্যাচ ঘিরে দর্শক-সমর্থকদের আগ্রহটাই এটিকে আলাদা করে দেয়। শুধু এই দুই দেশ কেন, অন্য দেশের মানুষও এই একটা ম্যাচের রেজাল্ট জানতে চায়।’
এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সেই বিরল প্রজাতির পাকিস্তানি ক্রিকেটার, খেলার সঙ্গে লেখাপড়াটাকেও যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভেবেছেন। সেটির ছাপ কথাবার্তাতেও পড়ে। সবচেয়ে বেশি পড়ল, যখন এক সাংবাদিক বললেন—পাকিস্তানের বোলিং খুবই ভালো। কিন্তু ব্যাটিং তো খুব খারাপ। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পক্ষে একটিও সেঞ্চুরি নেই। সেরা বিশে নেই পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান। মিসবাহ উত্তর দিলেন, ‘সেঞ্চুরি দিয়ে কী হবে? আসল ব্যাপার হলো জেতা। একটা সেঞ্চুরি না করেও যদি আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি তাতেই খুশি। অনেক সেঞ্চুরি-টেঞ্চুরি করেও যদি বাইরে চলে যাই, সেই সেঞ্চুরির কী দাম! সময়মতো ২০-৩০ রানও অনেক সময় সেঞ্চুরির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তবে মিসবাহর কাছে আসল প্রশ্ন এর কোনোটাই নয়। টেস্ট দলের অধিনায়ক তিনি। এই বিশ্বকাপের কিছুদিন আগ পর্যন্তও কে অধিনায়ক—শহীদ আফ্রিদি, না মিসবাহ-উল-হক দোলাচল। দলে আছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খান। বাইরে বসে আছেন শোয়েব আখতার। অথচ পাকিস্তান দল শুধু মাঠের খেলার কারণেই খবর হচ্ছে—না, এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে একদমই পাকিস্তানের মতো লাগছে না! ঘটনা কী ভাই?
রমিজ রাজা পাকিস্তান দলে নতুন যে সংস্কৃতির আগমনী গান শুনছেন, মিসবাহও সেটিই শুনিয়ে গেলেন কাল সংবাদ সম্মেলনে। মতান্তর মানেই যে মনান্তর নয়—সেটি জানিয়ে বললেন, ‘মতের পার্থক্য তো হয়ই। তবে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। অধিনায়ক কোচের সঙ্গে যেমন কথা বলেন, তেমনি সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গেও।’
অতীতের দলগুলোর সঙ্গে এই দলের বড় একটা পার্থক্যও তাই ধরা পড়ছে মিসবাহর চোখে, ‘আমরা এবার সত্যিকার একটা টিম হয়ে খেলছি। ব্যক্তিগতভাবে কেউই এমন বিরাট কিছু করে ফেলেনি, তার পরও দেখুন আমরা সেমিফাইনালে। কারণ একটাই, আমরা টিম হিসেবে খেলছি, যাতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের ভূমিকা সম্পর্কে জানে।’
পাকিস্তান দলে এই সৌহার্দ্যের বাজনা এমনই উচ্চ স্বরে বেজে যাচ্ছে যে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিসবাহর কণ্ঠে আবেগ ছুঁয়ে যায়, ‘আক্রমণাত্মক মেজাজটাই ওর সবচেয়ে বড় শক্তি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। এই বিশ্বকাপেই দেখুন না, একেবারে ঠিক সময়ে উইকেট নিয়ে নিচ্ছে। অধিনায়ক এমন পারফর্ম করলে দলের বাকিরাও পারফর্ম করতে চায়।’
ম্যাচটাকে পাকিস্তানের বোলিং বনাম ভারতের ব্যাটিং বলছেন অনেকে। পাকিস্তানের বোলিংয়ে যদি শোয়েব আখতারও যোগ হয়ে যান? মিসবাহ ‘এটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার’ বলে প্রথমে নিরাপদ পথে হেঁটেও গুরুত্বপূর্ণ দুটি লাইন যোগ করে দিলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার। সেই ’৯৯ বিশ্বকাপে পর্যন্ত খেলেছে। ওকে নামিয়ে দিলে মনস্তাত্ত্বিক একটা সুবিধা হলেও হতে পারে।’
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা ভেবে এই ম্যাচটা কি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? মিসবাহর কণ্ঠে যেন রেকর্ড বাজল, ‘অতীত তো অতীতই। সব ম্যাচেই এমন কিছু না-কিছু থাকে। বাকি সব ম্যাচের মতোই এখানেও ভালো কিছু করতে চাই।’
বাকি সব ম্যাচের মতো? ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল আর বাকি সব ম্যাচ এক নাকি! মিসবাহও নিশ্চয়ই তা মনে করেন না। বলার জন্য বলা। তিনি ভালোমতোই জানেন, এই একটা ক্রিকেট ম্যাচ যা খেলা ছাড়িয়ে সব সময়ই ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায়। এখানে জয়-পরাজয় শুধুই একটা ম্যাচ জেতা-হারা নয়। ডারবানের ওই দুঃস্মৃতি মুছে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা মনে মনে রাখলেও পাক-ভারত লড়াইয়ের আলাদা তাৎপর্যটা ঠিকই বললেন, ‘এই ম্যাচ ঘিরে দর্শক-সমর্থকদের আগ্রহটাই এটিকে আলাদা করে দেয়। শুধু এই দুই দেশ কেন, অন্য দেশের মানুষও এই একটা ম্যাচের রেজাল্ট জানতে চায়।’
এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সেই বিরল প্রজাতির পাকিস্তানি ক্রিকেটার, খেলার সঙ্গে লেখাপড়াটাকেও যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভেবেছেন। সেটির ছাপ কথাবার্তাতেও পড়ে। সবচেয়ে বেশি পড়ল, যখন এক সাংবাদিক বললেন—পাকিস্তানের বোলিং খুবই ভালো। কিন্তু ব্যাটিং তো খুব খারাপ। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পক্ষে একটিও সেঞ্চুরি নেই। সেরা বিশে নেই পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান। মিসবাহ উত্তর দিলেন, ‘সেঞ্চুরি দিয়ে কী হবে? আসল ব্যাপার হলো জেতা। একটা সেঞ্চুরি না করেও যদি আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি তাতেই খুশি। অনেক সেঞ্চুরি-টেঞ্চুরি করেও যদি বাইরে চলে যাই, সেই সেঞ্চুরির কী দাম! সময়মতো ২০-৩০ রানও অনেক সময় সেঞ্চুরির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তবে মিসবাহর কাছে আসল প্রশ্ন এর কোনোটাই নয়। টেস্ট দলের অধিনায়ক তিনি। এই বিশ্বকাপের কিছুদিন আগ পর্যন্তও কে অধিনায়ক—শহীদ আফ্রিদি, না মিসবাহ-উল-হক দোলাচল। দলে আছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খান। বাইরে বসে আছেন শোয়েব আখতার। অথচ পাকিস্তান দল শুধু মাঠের খেলার কারণেই খবর হচ্ছে—না, এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে একদমই পাকিস্তানের মতো লাগছে না! ঘটনা কী ভাই?
রমিজ রাজা পাকিস্তান দলে নতুন যে সংস্কৃতির আগমনী গান শুনছেন, মিসবাহও সেটিই শুনিয়ে গেলেন কাল সংবাদ সম্মেলনে। মতান্তর মানেই যে মনান্তর নয়—সেটি জানিয়ে বললেন, ‘মতের পার্থক্য তো হয়ই। তবে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। অধিনায়ক কোচের সঙ্গে যেমন কথা বলেন, তেমনি সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গেও।’
অতীতের দলগুলোর সঙ্গে এই দলের বড় একটা পার্থক্যও তাই ধরা পড়ছে মিসবাহর চোখে, ‘আমরা এবার সত্যিকার একটা টিম হয়ে খেলছি। ব্যক্তিগতভাবে কেউই এমন বিরাট কিছু করে ফেলেনি, তার পরও দেখুন আমরা সেমিফাইনালে। কারণ একটাই, আমরা টিম হিসেবে খেলছি, যাতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের ভূমিকা সম্পর্কে জানে।’
পাকিস্তান দলে এই সৌহার্দ্যের বাজনা এমনই উচ্চ স্বরে বেজে যাচ্ছে যে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিসবাহর কণ্ঠে আবেগ ছুঁয়ে যায়, ‘আক্রমণাত্মক মেজাজটাই ওর সবচেয়ে বড় শক্তি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। এই বিশ্বকাপেই দেখুন না, একেবারে ঠিক সময়ে উইকেট নিয়ে নিচ্ছে। অধিনায়ক এমন পারফর্ম করলে দলের বাকিরাও পারফর্ম করতে চায়।’
ম্যাচটাকে পাকিস্তানের বোলিং বনাম ভারতের ব্যাটিং বলছেন অনেকে। পাকিস্তানের বোলিংয়ে যদি শোয়েব আখতারও যোগ হয়ে যান? মিসবাহ ‘এটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার’ বলে প্রথমে নিরাপদ পথে হেঁটেও গুরুত্বপূর্ণ দুটি লাইন যোগ করে দিলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার। সেই ’৯৯ বিশ্বকাপে পর্যন্ত খেলেছে। ওকে নামিয়ে দিলে মনস্তাত্ত্বিক একটা সুবিধা হলেও হতে পারে।’
No comments