ইংলিশ মিডিয়ার চোখে তাঁরা গর্দভ!
স্বপ্নটা খুব বেশি উজ্জ্বল হয়তো ছিল না। কিন্তু তা ভেঙে গেল বড় নির্মমভাবে, ১০ উইকেটের পরাজয়ে। ইংলিশ মিডিয়ায় অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দলের মুণ্ডপাত যে চলবে, জানাই ছিল। তবে সমালোচনার ধরনটায় এবার যেন একটু বদলের রং। কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে অপমানজনক হারে বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গের দায়টা ইংলিশ মিডিয়া চাপাচ্ছে অধিনায়ক স্ট্রাউস ও ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচির কাঁধে।
ইংলিশ মিডিয়ার প্রথম কোপটাই অধিনায়ক স্ট্রাউসের ঘাড়ে। স্বপ্নের ফানুস উড়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরার আগেই স্ট্রাউস শুনতে পাচ্ছেন ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে সরে যাওয়ার ডাক! ইংলিশ ক্রিকেটের অলিখিত রীতিটাই যে এমন! ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায়ে অধিনায়কত্ব হারান অ্যালেক স্টুয়ার্ট। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর নাসের হুসেইন এবং সর্বশেষ ২০০৭ বিশ্বকাপের পর মাইকেল ভন। এবার তো স্ট্রাউসের পালাই আসার কথা!
সানডে টেলিগ্রাফ-এর কলাম লেখক স্টিভ জেমস সরাসরিই বলে দিয়েছেন, স্ট্রাউসের সরে দাঁড়ানো উচিত এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত অ্যালিস্টার কুককে। অবজারভার অবশ্য অধিনায়কত্ব নিয়ে পড়ে গেছে সংশয়ে। লিখেছে, ‘এই পরাজয় অধিনায়ক স্ট্রাউসের বিদায় দাবি করে। কিন্তু তাঁর নিশ্চিত কোনো বিকল্পও নেই।’ পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ জয়—‘বিস্ময়কর একটি বছর’ কাটানোর পরও অক্টোবর থেকে টানা সূচির কারণে বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের ‘দুর্ভাবনাপীড়িত’ দেখাচ্ছিল।
ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির জন্য ইংলিশ ক্রিকেট কর্তাদের অবজারভার-এর চেয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন সানডে টেলিগ্রাফ-এর কলাম লেখক জেমস। অ্যাশেজের পর বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ও সাতটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সমালোচনা করে জেমস বলেছেন, ‘শুধুই টাকার জন্য, শুধুই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পেট ভরানোর জন্য, এবং এর বিনিময়ে নিজেদেরও পকেট ভরানোর জন্য।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার সমালোচনা আসলে কতটা কড়া হতে পারে, সেটা ছোট্ট একটা শিরোনামে বুঝিয়ে দিয়েছে সানডে টাইমস—‘গর্দভদের ক্লান্ত পা বাড়ির পথ ধরেছে।’
এদিকে এক অ্যান্ড্রুর চরম সময়ে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন আরেক অ্যান্ড্রু। মিডিয়া স্ট্রাউসের পতন অবশ্যম্ভাবী মনে করলেও ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ বলছেন, স্ট্রাউস তাঁর জায়গায় ঠিকই আছেন, আসল সমস্যা ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পদ্ধতিতে, ‘অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসই পদটির জন্য সঠিক লোক। সব সাবেক খেলোয়াড়ই হয়তো মিছিল করে এই দলটার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু আসল কথা হলো, ১৯৯২ সালের পর থেকেই আমরা ওয়ানডেতে দুর্বল দল।’
ব্যস্ত সূচি নিয়ে সমালোচনা অধিনায়ক স্ট্রাউসও করেছেন। তাতে সুর মেলালেন এই বিশ্বকাপে শেষের ম্যাচগুলোয় সাইডলাইনে বসে কাটানো অলরাউন্ডার পল কলিংউডও। তাঁর কথা, এই সূচির কারণেই ইংলিশ ক্রিকেটাররা ফর্ম ও ফিটনেস হারিয়ে ফেলেছেন।
ইংলিশ মিডিয়ার প্রথম কোপটাই অধিনায়ক স্ট্রাউসের ঘাড়ে। স্বপ্নের ফানুস উড়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরার আগেই স্ট্রাউস শুনতে পাচ্ছেন ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে সরে যাওয়ার ডাক! ইংলিশ ক্রিকেটের অলিখিত রীতিটাই যে এমন! ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায়ে অধিনায়কত্ব হারান অ্যালেক স্টুয়ার্ট। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর নাসের হুসেইন এবং সর্বশেষ ২০০৭ বিশ্বকাপের পর মাইকেল ভন। এবার তো স্ট্রাউসের পালাই আসার কথা!
সানডে টেলিগ্রাফ-এর কলাম লেখক স্টিভ জেমস সরাসরিই বলে দিয়েছেন, স্ট্রাউসের সরে দাঁড়ানো উচিত এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত অ্যালিস্টার কুককে। অবজারভার অবশ্য অধিনায়কত্ব নিয়ে পড়ে গেছে সংশয়ে। লিখেছে, ‘এই পরাজয় অধিনায়ক স্ট্রাউসের বিদায় দাবি করে। কিন্তু তাঁর নিশ্চিত কোনো বিকল্পও নেই।’ পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ জয়—‘বিস্ময়কর একটি বছর’ কাটানোর পরও অক্টোবর থেকে টানা সূচির কারণে বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের ‘দুর্ভাবনাপীড়িত’ দেখাচ্ছিল।
ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির জন্য ইংলিশ ক্রিকেট কর্তাদের অবজারভার-এর চেয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন সানডে টেলিগ্রাফ-এর কলাম লেখক জেমস। অ্যাশেজের পর বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ও সাতটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সমালোচনা করে জেমস বলেছেন, ‘শুধুই টাকার জন্য, শুধুই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পেট ভরানোর জন্য, এবং এর বিনিময়ে নিজেদেরও পকেট ভরানোর জন্য।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার সমালোচনা আসলে কতটা কড়া হতে পারে, সেটা ছোট্ট একটা শিরোনামে বুঝিয়ে দিয়েছে সানডে টাইমস—‘গর্দভদের ক্লান্ত পা বাড়ির পথ ধরেছে।’
এদিকে এক অ্যান্ড্রুর চরম সময়ে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন আরেক অ্যান্ড্রু। মিডিয়া স্ট্রাউসের পতন অবশ্যম্ভাবী মনে করলেও ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ বলছেন, স্ট্রাউস তাঁর জায়গায় ঠিকই আছেন, আসল সমস্যা ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পদ্ধতিতে, ‘অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসই পদটির জন্য সঠিক লোক। সব সাবেক খেলোয়াড়ই হয়তো মিছিল করে এই দলটার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু আসল কথা হলো, ১৯৯২ সালের পর থেকেই আমরা ওয়ানডেতে দুর্বল দল।’
ব্যস্ত সূচি নিয়ে সমালোচনা অধিনায়ক স্ট্রাউসও করেছেন। তাতে সুর মেলালেন এই বিশ্বকাপে শেষের ম্যাচগুলোয় সাইডলাইনে বসে কাটানো অলরাউন্ডার পল কলিংউডও। তাঁর কথা, এই সূচির কারণেই ইংলিশ ক্রিকেটাররা ফর্ম ও ফিটনেস হারিয়ে ফেলেছেন।
No comments