একাদশ নিয়ে নির্ভার ভারত
বিশ্বকাপ সাধারণত সেই দলই জেতে যে দলের খেলোয়াড় নির্বাচনে স্থিতিশীলতা থাকে। অতিমাত্রায় পরিবর্তন, একে নেওয়া, আরেকজনকে বাদ দেওয়ার ব্যাপার যে দলে থাকে, তারা বিশ্বকাপ জিততে পারে না। এটা ধ্রুব সত্য।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের প্রথমদিকে এ পরিবর্তনের ব্যাপারটি পুরোমাত্রাতেই ছিল। গ্রুপ পর্যায়ের বেশির ভাগ ম্যাচে ভারত যে একাদশ খেলিয়েছে, তাতে সাফল্যের অনুষঙ্গ ছিল না। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ছিল না আস্থার ছাপ। যাঁরা একাদশে খেলছিলেন, তাঁদের অনেকের পারফরম্যান্সে ছিল যথেষ্ট উত্থান-পতন। আর সে কারণেই একাদশ নির্বাচনে নির্বাচকেরা বাধ্য হয়েছেন হস্তক্ষেপ করতে।
পীযূষ চাওলার অন্তর্ভুক্তি প্রথম থেকেই প্রশ্নের উদ্রেক করেছিল। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বসিয়ে রাখা, সুরেশ রায়নার বিনিময়ে ইউসুফ পাঠানকে বারবার খেলিয়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। পেসার আশিস নেহরা ও শ্রীশান্তও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি একেবারেই।
তবে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের জয়টিই এক ধাক্কায় সবকিছু বদলে দিয়েছে। এ জয় কেবল ভারতের সেমিফাইনালই নিশ্চিত করেনি, ভারতকে একটি সেরা একাদশ বেছে নিতেও দারুণ সহায়তা করেছে। এটা নিশ্চিত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে একাদশটি খেলিয়ে ভারত জয় পেয়েছে সেমিফাইনালে এটিই হবে ভারতের জন্য একাদশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা পছন্দ। আর, সেমিফাইনালে জিতে ভারত যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়, তাহলে এ ১১ জনই ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ে রাখবেন প্রধান ভূমিকা।
পীযূষ চাওলার পরিবর্তে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অন্তর্ভুক্তি একাদশ নিয়ে বিতর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। সুরেশ রায়নাও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে ভারতের ব্যাটিংয়ের সাত নম্বর স্থানটিতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন আত্মবিশ্বাস।
আহমেদাবাদ ম্যাচের পর ভারতের একাদশ মোটামুটি স্থিতিশীল চেহারায় থাকলেও মুনাফ প্যাটেল এই একাদশে নিজের অবস্থান নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না। মুনাফ ভারতের কন্ডিশনে এখন পর্যন্ত নিজেকে কার্যকরী প্রমাণ করতে পারেননি। সেমিফাইনালে মোহালিতে তাঁর স্থান শেষ মুহূর্তে অন্য কেউ নিয়ে নিলেও নিতে পারেন। তবে এ পর্যন্ত নেহরা কিংবা শ্রীশান্তও পারফরম্যান্সে মুনাফকে ছাড়িয়ে যেতে না পারায় মুনাফ কিছুটা নিরাপদ বোধ করলেও করতে পারেন।
ভারতের মূল একাদশে জহির খানকে নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তিনি তাঁর পারফরম্যান্স দিয়েই প্রমাণ করেছেন তিনিই ভারতের সেরা গতি অস্ত্র। মোহালির উইকেটে সন্ধ্যায় পেসাররা ঐতিহাসিকভাবেই সুবিধা আদায় করে নেন। এ ক্ষেত্রে গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মুনাফের পারফরম্যান্সের বিচারে তিনিই হতে পারেন ভারতের তুরুপের তাস। তবে নির্বাচকেরা জহির খানের সঙ্গী নির্বাচনে যে ব্যাপারটি ভাবছেন, তা হলো, কোন পেসার এই কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানকে ক্রিজে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সেদিক দিয়ে নেহরা ও শ্রীশান্তের চেয়ে কয়েক ক্রোশ এগিয়ে রয়েছেন মুনাফ প্যাটেল।
এ মুহূর্তে ভারতীয় দল অনেকটাই নির্ভার হয়ে বুধবারের ম্যাচের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। একাদশ মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কারণে টিম ম্যানেজমেন্টও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি-পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে পারছেন দারুণ নিশ্চিন্তে। চাপের এই ম্যাচের প্রাক্কালে একাদশের দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় দল অনেকটাই হালকা বোধ করতে পারে।
অন্যদিকে, নিজেদের নিয়ে নির্ভার পাকিস্তান দলও। চাপটাপ দূরে ঠেলে উপভোগ তত্ত্বেই আস্থা রাখছে শহীদ আফ্রিদির দল।
সব মিলিয়ে ক্রিকেটানুরাগীরা এবার নিয়ে নিতে পারেন জম্পেশ এক খেলা উপভোগের প্রস্তুতি। মোহালি আপনাদের নিরাশ করবে না
এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের প্রথমদিকে এ পরিবর্তনের ব্যাপারটি পুরোমাত্রাতেই ছিল। গ্রুপ পর্যায়ের বেশির ভাগ ম্যাচে ভারত যে একাদশ খেলিয়েছে, তাতে সাফল্যের অনুষঙ্গ ছিল না। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ছিল না আস্থার ছাপ। যাঁরা একাদশে খেলছিলেন, তাঁদের অনেকের পারফরম্যান্সে ছিল যথেষ্ট উত্থান-পতন। আর সে কারণেই একাদশ নির্বাচনে নির্বাচকেরা বাধ্য হয়েছেন হস্তক্ষেপ করতে।
পীযূষ চাওলার অন্তর্ভুক্তি প্রথম থেকেই প্রশ্নের উদ্রেক করেছিল। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বসিয়ে রাখা, সুরেশ রায়নার বিনিময়ে ইউসুফ পাঠানকে বারবার খেলিয়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। পেসার আশিস নেহরা ও শ্রীশান্তও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি একেবারেই।
তবে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের জয়টিই এক ধাক্কায় সবকিছু বদলে দিয়েছে। এ জয় কেবল ভারতের সেমিফাইনালই নিশ্চিত করেনি, ভারতকে একটি সেরা একাদশ বেছে নিতেও দারুণ সহায়তা করেছে। এটা নিশ্চিত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে একাদশটি খেলিয়ে ভারত জয় পেয়েছে সেমিফাইনালে এটিই হবে ভারতের জন্য একাদশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা পছন্দ। আর, সেমিফাইনালে জিতে ভারত যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়, তাহলে এ ১১ জনই ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ে রাখবেন প্রধান ভূমিকা।
পীযূষ চাওলার পরিবর্তে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অন্তর্ভুক্তি একাদশ নিয়ে বিতর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। সুরেশ রায়নাও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে ভারতের ব্যাটিংয়ের সাত নম্বর স্থানটিতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন আত্মবিশ্বাস।
আহমেদাবাদ ম্যাচের পর ভারতের একাদশ মোটামুটি স্থিতিশীল চেহারায় থাকলেও মুনাফ প্যাটেল এই একাদশে নিজের অবস্থান নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না। মুনাফ ভারতের কন্ডিশনে এখন পর্যন্ত নিজেকে কার্যকরী প্রমাণ করতে পারেননি। সেমিফাইনালে মোহালিতে তাঁর স্থান শেষ মুহূর্তে অন্য কেউ নিয়ে নিলেও নিতে পারেন। তবে এ পর্যন্ত নেহরা কিংবা শ্রীশান্তও পারফরম্যান্সে মুনাফকে ছাড়িয়ে যেতে না পারায় মুনাফ কিছুটা নিরাপদ বোধ করলেও করতে পারেন।
ভারতের মূল একাদশে জহির খানকে নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তিনি তাঁর পারফরম্যান্স দিয়েই প্রমাণ করেছেন তিনিই ভারতের সেরা গতি অস্ত্র। মোহালির উইকেটে সন্ধ্যায় পেসাররা ঐতিহাসিকভাবেই সুবিধা আদায় করে নেন। এ ক্ষেত্রে গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মুনাফের পারফরম্যান্সের বিচারে তিনিই হতে পারেন ভারতের তুরুপের তাস। তবে নির্বাচকেরা জহির খানের সঙ্গী নির্বাচনে যে ব্যাপারটি ভাবছেন, তা হলো, কোন পেসার এই কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানকে ক্রিজে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সেদিক দিয়ে নেহরা ও শ্রীশান্তের চেয়ে কয়েক ক্রোশ এগিয়ে রয়েছেন মুনাফ প্যাটেল।
এ মুহূর্তে ভারতীয় দল অনেকটাই নির্ভার হয়ে বুধবারের ম্যাচের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। একাদশ মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কারণে টিম ম্যানেজমেন্টও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি-পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে পারছেন দারুণ নিশ্চিন্তে। চাপের এই ম্যাচের প্রাক্কালে একাদশের দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় দল অনেকটাই হালকা বোধ করতে পারে।
অন্যদিকে, নিজেদের নিয়ে নির্ভার পাকিস্তান দলও। চাপটাপ দূরে ঠেলে উপভোগ তত্ত্বেই আস্থা রাখছে শহীদ আফ্রিদির দল।
সব মিলিয়ে ক্রিকেটানুরাগীরা এবার নিয়ে নিতে পারেন জম্পেশ এক খেলা উপভোগের প্রস্তুতি। মোহালি আপনাদের নিরাশ করবে না
No comments