পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ ভারতের
আলোচনা শুরুর জন্য পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি এবং আইএসআইয়ের প্রধান সুজা পাশার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইসলামাবাদে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত।
নয়াদিল্লি সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সবুজসংকেত দিয়েছি।’ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক পুরো উপমহাদেশে গভীর প্রভাব ফেলে। ভারত এর আগেও কয়েকবার পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু তাদের সেই উদ্যোগের আন্তরিকতা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। কেননা, পাকিস্তানে এখন বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ক্ষমতার মূল ভরকেন্দ্র তাদের সেনানিবাস বা সেনাবাহিনী। আর ভারত কখনো আলোচনায় সেনাবাহিনীকে দেখতে চায়নি। কিন্তু এবার ভারত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিল।
আগামী বুধবার ভারতের মোহালিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। ওই খেলা দেখার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গিলানি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে খেলা দেখতে ভারতে যেতে রাজি হয়েছেন। এটা একটা ভালো অগ্রগতি। যদিও দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ ঘটনা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে না। তবে এতে সম্পর্কের গুমোট ভাব কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।
ভারতের দিক থেকে এই উদ্যোগের পুরোটাই মনমোহন সিংয়ের। মনমোহন মনেপ্রাণে চাইছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। কিন্তু এর আগে তাঁর কয়েকবারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। এবারও পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া ভারত এখনো পায়নি।
পাকিস্তানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়-পর্যায়ের আলোচনায় ভারত যে সেনাবাহিনীকে জড়াতে চায় না, তার কারণ দুই দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। বিশেষ করে ভারতের সেনাবাহিনী পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুগত। রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্তে তারা নাক গলাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সেখানে সেনাবাহিনীই সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেনাবাহিনীকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। কাজেই ভারতের হয়তো এই উপলব্ধি হয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে তারা যদি সত্যিই সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চায়, তাহলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে পাশে সরিয়ে রেখে সেটা সম্ভব হবে না।
নয়াদিল্লি সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সবুজসংকেত দিয়েছি।’ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক পুরো উপমহাদেশে গভীর প্রভাব ফেলে। ভারত এর আগেও কয়েকবার পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু তাদের সেই উদ্যোগের আন্তরিকতা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। কেননা, পাকিস্তানে এখন বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ক্ষমতার মূল ভরকেন্দ্র তাদের সেনানিবাস বা সেনাবাহিনী। আর ভারত কখনো আলোচনায় সেনাবাহিনীকে দেখতে চায়নি। কিন্তু এবার ভারত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিল।
আগামী বুধবার ভারতের মোহালিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। ওই খেলা দেখার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গিলানি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে খেলা দেখতে ভারতে যেতে রাজি হয়েছেন। এটা একটা ভালো অগ্রগতি। যদিও দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ ঘটনা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে না। তবে এতে সম্পর্কের গুমোট ভাব কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।
ভারতের দিক থেকে এই উদ্যোগের পুরোটাই মনমোহন সিংয়ের। মনমোহন মনেপ্রাণে চাইছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। কিন্তু এর আগে তাঁর কয়েকবারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। এবারও পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া ভারত এখনো পায়নি।
পাকিস্তানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়-পর্যায়ের আলোচনায় ভারত যে সেনাবাহিনীকে জড়াতে চায় না, তার কারণ দুই দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। বিশেষ করে ভারতের সেনাবাহিনী পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুগত। রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্তে তারা নাক গলাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সেখানে সেনাবাহিনীই সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেনাবাহিনীকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। কাজেই ভারতের হয়তো এই উপলব্ধি হয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে তারা যদি সত্যিই সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চায়, তাহলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে পাশে সরিয়ে রেখে সেটা সম্ভব হবে না।
No comments