আফগানিস্তান সমস্যা -সময়ের আবর্তে by ফারুক চৌধুরী
যুক্তরাষ্ট্রে দুই মাস অবস্থানের পর ফিরে এসেই জানলাম, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র তথা ন্যাটো বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংগত কারণেই তাঁকে বরখাস্ত করা ছাড়া উপায় ছিল না প্রেসিডেন্ট ওবামার। একজন কর্তব্যরত উর্দিপরা সামরিক কর্মকর্তা হয়ে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা, ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তাঁদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এই অবস্থা একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোতে গ্রহণযোগ্য নয়। গুরু পাপেই গুরু দণ্ড হয়েছে তাঁর।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলেছে, ঘটনাটি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতিটি কী? মূলত জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলের উদ্যোগে গৃহীত সুপারিশেই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র তথা ন্যাটোর সেনাসংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজারে বাড়ানো হয়েছে। আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের মারজায় বড় আকারের তালেবানবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। কান্দাহারের চারপাশে সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। তালেবানবিরোধী সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। আমার যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানকালেই দেখলাম, প্রেসিডেন্ট কারজাই জনাবিশেক পাত্র-মিত্র নিয়ে ওয়াশিংটন সফর করলেন, দেখা করলেন প্রেসিডেন্ট ওবামাসমেত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক বাহিনীর হোমরাচোমরাদের সঙ্গে। আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নববলে বলিয়ান কারজাই কাবুলে ফিরলেন। এসবের মধ্যে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলের প্রকাশ্যে তাঁর রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা অপরিণামদর্শিতা বলে অভিহিত করাটা বাস্তবধর্মী হবে না। জেনেশুনেই জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল বিষপান করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। খুদে তালপাতার সিপাহি নন তিনি। আফগানিস্তানে হালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনাদের সংখ্যা বাড়ানোর ছকটি তিনি এবং তাঁর নবনিযুক্ত উত্তরসূরি ইরাক যুদ্ধখ্যাত জেনারেল পেট্রিয়াস যুগ্মভাবেই প্রণয়ন করেছিলেন—তাঁদের সহযোগিতা করেছিলেন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেনারেল অ্যাকেনবেরি। প্রেসিডেন্ট ওবামা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনার চুলচেরা বিচার করেছিলেন। অনুমোদনের পরই সরেজমিনে তার বাস্তবায়নের ভার দেওয়া হয়েছিল জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলকে। তাহলে বিরোধটি কোথায় এবং জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল হঠাৎ সমালোচনায় মেতে উঠলেন কেন?
এক কথায় তার উত্তর হলো আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে গোত্রীয় কোন্দল, আঞ্চলিক ও স্থানীয় রাজনীতি মিশে আছে; মিশে আছে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কলাকৌশল—আর বিরোধের উৎপত্তি সেখানেই।
প্রথম সমস্যাই হলো আফগানিস্তানে রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ডে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের অবস্থান নিয়ে। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই; নিধিরাম সর্দার তিনি। তবে এও সত্য, আফগানিস্তান মানচিত্রে চিহ্নিত একটি দেশ এবং মহাকারচুপি করে হলেও কারজাই এর নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। তাঁর গুরুত্ব রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। একবার তো কারজাই রেগেমেগে বলেই ফেলেছিলেন, অবহেলা করলে তিনি তালেবানদের সঙ্গেই যোগ দেবেন। এই কারজাইকে নিয়েই দ্বিমত রয়েছে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের হোমরাচোমরাদের মধ্যে। রাষ্ট্রদূত অ্যাকেনবেরি মনে করেন, কারজাই এমন কোনো কাজের মানুষ নন যে তাঁকে অর্থবহ দায়িত্ব অর্পণ করা যেতে পারে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তালেবানবিরোধী সংঘাতের বিকেন্দ্রীকরণ। অর্থাৎ তাঁর মতে, বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় কোন্দল এবং অবস্থাদৃষ্টেই যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নেবে, কেন্দ্রনির্ভর সিদ্ধান্ত সেখানে অপ্রয়োজনীয় ও অবান্তর। অন্যদিকে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল ছিলেন কারজাইকে সঙ্গে নিয়েই পথচলার পক্ষপাতী। দুজনের মধ্যে বিরোধের উৎপত্তি ছিল সেখানে এবং তা সর্বজনবিদিত।
অতএব, জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলের প্রস্থানে যে ওবামা সত্যিকার অর্থে ব্যথিত, তা বলা যাবে না; যদিও ওবামা বারবারই বলেছেন, কারজাইকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন বাঞ্ছনীয়। তবে ম্যাকক্রিস্টেলের উত্তরসূরি পেট্রিয়াস জেনারেল হয়েও যে আঞ্চলিক ও স্থানীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন, তার প্রমাণ তিনি ইরাকে রেখেছেন। তবে ইরাক আর আফগানিস্তানের আর্থসামাজিক, আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান একেবারেই ভিন্ন। ইরাকে যে স্ট্র্যাটেজি কাজ করছে অথবা করেছে, তা যে আফগানিস্তানে করবে এমন কোনো কথা নেই।
আফগানিস্তানের সমস্যা আঞ্চলিক। বর্তমান পশ্চিম পাকিস্তানের একটি বৃহৎ অংশ এতে জড়িয়ে রয়েছে। তালেবানদের একটি অংশের প্রতি পাকিস্তানের সহানুভূতি রয়েছে। এদিকে কারজাই রয়েছেন ভারতের নেক নজরে। কারজাইয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব বিস্তার পাকিস্তান মেনে নেবে না। অতীতে আফগানিস্তান সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে আমি সেই দেশে ভারত আর পাকিস্তানের ভিন্নমুখী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছি এ জন্য যে ভারত-পাকিস্তান সমঝোতা এবং সহযোগিতা ছাড়া সেই অঞ্চলে সার্বিকভাবে তালেবান তথা সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হবে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমানে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব এবং অতঃপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফলে সম্প্রীতির যে হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তা আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রাথমিক হলেও একটি কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ২০১১ সালের জুলাই থেকে তিনি আফগানিস্তান হতে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবেন। ওয়াশিংটন ‘থিংক ট্যাংক’-এর প্রভাবশালী একজন সদস্য, টেইজি শেফার আমাকে বলেছেন, আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট ওবামার ভূমিকার সার্থকতা ও মূল্যায়ন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবান্বিত করবে। ওবামার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ধারিত হবে আফগানিস্তানে। ২০১১ সালের জুলাই মাস খুব দূরে নয়, যে সময় থেকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার ওবামা করেছেন। তাই তালেবান তথা আঞ্চলিক সন্ত্রাসের সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট ওবামা কি প্রকাশ্যে ভারত আর পাকিস্তানকে নিয়ে কোনো আঞ্চলিক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন? সেই প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।
ফারুক চৌধুরী: সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। কলাম লেখক।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলেছে, ঘটনাটি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতিটি কী? মূলত জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলের উদ্যোগে গৃহীত সুপারিশেই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র তথা ন্যাটোর সেনাসংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজারে বাড়ানো হয়েছে। আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের মারজায় বড় আকারের তালেবানবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। কান্দাহারের চারপাশে সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। তালেবানবিরোধী সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। আমার যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানকালেই দেখলাম, প্রেসিডেন্ট কারজাই জনাবিশেক পাত্র-মিত্র নিয়ে ওয়াশিংটন সফর করলেন, দেখা করলেন প্রেসিডেন্ট ওবামাসমেত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক বাহিনীর হোমরাচোমরাদের সঙ্গে। আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নববলে বলিয়ান কারজাই কাবুলে ফিরলেন। এসবের মধ্যে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলের প্রকাশ্যে তাঁর রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা অপরিণামদর্শিতা বলে অভিহিত করাটা বাস্তবধর্মী হবে না। জেনেশুনেই জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল বিষপান করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। খুদে তালপাতার সিপাহি নন তিনি। আফগানিস্তানে হালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনাদের সংখ্যা বাড়ানোর ছকটি তিনি এবং তাঁর নবনিযুক্ত উত্তরসূরি ইরাক যুদ্ধখ্যাত জেনারেল পেট্রিয়াস যুগ্মভাবেই প্রণয়ন করেছিলেন—তাঁদের সহযোগিতা করেছিলেন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেনারেল অ্যাকেনবেরি। প্রেসিডেন্ট ওবামা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনার চুলচেরা বিচার করেছিলেন। অনুমোদনের পরই সরেজমিনে তার বাস্তবায়নের ভার দেওয়া হয়েছিল জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলকে। তাহলে বিরোধটি কোথায় এবং জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল হঠাৎ সমালোচনায় মেতে উঠলেন কেন?
এক কথায় তার উত্তর হলো আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রণনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে গোত্রীয় কোন্দল, আঞ্চলিক ও স্থানীয় রাজনীতি মিশে আছে; মিশে আছে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কলাকৌশল—আর বিরোধের উৎপত্তি সেখানেই।
প্রথম সমস্যাই হলো আফগানিস্তানে রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ডে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের অবস্থান নিয়ে। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই; নিধিরাম সর্দার তিনি। তবে এও সত্য, আফগানিস্তান মানচিত্রে চিহ্নিত একটি দেশ এবং মহাকারচুপি করে হলেও কারজাই এর নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। তাঁর গুরুত্ব রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। একবার তো কারজাই রেগেমেগে বলেই ফেলেছিলেন, অবহেলা করলে তিনি তালেবানদের সঙ্গেই যোগ দেবেন। এই কারজাইকে নিয়েই দ্বিমত রয়েছে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের হোমরাচোমরাদের মধ্যে। রাষ্ট্রদূত অ্যাকেনবেরি মনে করেন, কারজাই এমন কোনো কাজের মানুষ নন যে তাঁকে অর্থবহ দায়িত্ব অর্পণ করা যেতে পারে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তালেবানবিরোধী সংঘাতের বিকেন্দ্রীকরণ। অর্থাৎ তাঁর মতে, বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় কোন্দল এবং অবস্থাদৃষ্টেই যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নেবে, কেন্দ্রনির্ভর সিদ্ধান্ত সেখানে অপ্রয়োজনীয় ও অবান্তর। অন্যদিকে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেল ছিলেন কারজাইকে সঙ্গে নিয়েই পথচলার পক্ষপাতী। দুজনের মধ্যে বিরোধের উৎপত্তি ছিল সেখানে এবং তা সর্বজনবিদিত।
অতএব, জেনারেল ম্যাকক্রিস্টেলের প্রস্থানে যে ওবামা সত্যিকার অর্থে ব্যথিত, তা বলা যাবে না; যদিও ওবামা বারবারই বলেছেন, কারজাইকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন বাঞ্ছনীয়। তবে ম্যাকক্রিস্টেলের উত্তরসূরি পেট্রিয়াস জেনারেল হয়েও যে আঞ্চলিক ও স্থানীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন, তার প্রমাণ তিনি ইরাকে রেখেছেন। তবে ইরাক আর আফগানিস্তানের আর্থসামাজিক, আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান একেবারেই ভিন্ন। ইরাকে যে স্ট্র্যাটেজি কাজ করছে অথবা করেছে, তা যে আফগানিস্তানে করবে এমন কোনো কথা নেই।
আফগানিস্তানের সমস্যা আঞ্চলিক। বর্তমান পশ্চিম পাকিস্তানের একটি বৃহৎ অংশ এতে জড়িয়ে রয়েছে। তালেবানদের একটি অংশের প্রতি পাকিস্তানের সহানুভূতি রয়েছে। এদিকে কারজাই রয়েছেন ভারতের নেক নজরে। কারজাইয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব বিস্তার পাকিস্তান মেনে নেবে না। অতীতে আফগানিস্তান সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে আমি সেই দেশে ভারত আর পাকিস্তানের ভিন্নমুখী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছি এ জন্য যে ভারত-পাকিস্তান সমঝোতা এবং সহযোগিতা ছাড়া সেই অঞ্চলে সার্বিকভাবে তালেবান তথা সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হবে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমানে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব এবং অতঃপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফলে সম্প্রীতির যে হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তা আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রাথমিক হলেও একটি কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ২০১১ সালের জুলাই থেকে তিনি আফগানিস্তান হতে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবেন। ওয়াশিংটন ‘থিংক ট্যাংক’-এর প্রভাবশালী একজন সদস্য, টেইজি শেফার আমাকে বলেছেন, আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট ওবামার ভূমিকার সার্থকতা ও মূল্যায়ন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবান্বিত করবে। ওবামার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ধারিত হবে আফগানিস্তানে। ২০১১ সালের জুলাই মাস খুব দূরে নয়, যে সময় থেকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার ওবামা করেছেন। তাই তালেবান তথা আঞ্চলিক সন্ত্রাসের সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট ওবামা কি প্রকাশ্যে ভারত আর পাকিস্তানকে নিয়ে কোনো আঞ্চলিক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন? সেই প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।
ফারুক চৌধুরী: সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। কলাম লেখক।
No comments