তেভেজের চোখে ট্রফির ছবি
মাঠের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বিদ্যুৎ চমকের মতো দৌড়ে যান তিনি। দলের প্রয়োজনে খেলা তৈরি করেন, আবার বিপক্ষের রক্ষণকে স্রেফ চুরমার করে দেন। এমনকি প্রয়োজন হলে দু-একটা গোলও করে ফেলতে পারেন।
শৈশবে দারিদ্র্য, হানাহানি দেখে বড় হয়ে ওঠা এই ফুটবলারটির মধ্যে কোথায় যেন একটা বাড়তি আকর্ষণ লুকানো আছে। যে কারণে লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগুয়েইন, সার্জিও আগুয়েরোদের ছাপিয়ে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয়তম ফুটবলার হয়ে ওঠেন কার্লোস তেভেজ।
তেভেজের জনপ্রিয়তা, তাঁকে দলে খেলানোর জন্য মানুষের চাপ দেখে বিস্মিত ডিয়েগো ম্যারাডোনা ঘোষণা করেছেন, তেভেজ ‘জনগণের খেলোয়াড়’! ঘোষণাটা শুনে যারপরনাই আপ্লুত ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকারটি।
কোচ কিংবদন্তি ম্যারাডোনার কাছ থেকে এই খেতাব পেয়ে নিজেকে যেন নতুন করে বুঝতে পারছেন তেভেজ, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি। আমি যেভাবে খেলি, যেভাবে প্রতিটি বলের জন্য, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিই; সেটা লোকেরা বুঝতে পেরেছে বলেই আমাকে এটা বলা হয়। আশা করি, বাকি সবার সঙ্গে মিলে আমাদের দেশের মানুষের জন্য সত্যিকার একটা উৎসবের উপলক্ষ নিয়ে আসব।’
নিজের বর্তমান ফর্ম দিয়ে, বিশেষ করে, সর্বশেষ ম্যাচটায় মেক্সিকোর বিপক্ষে যা খেলেছেন, তাতে এমন আশা করতেই পারেন ‘এল অ্যাপাচি’। জোড়া গোল করা ওই ম্যাচটার আনন্দ এখনো ভুলছেন না তেভেজ, ‘আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার সেরা ম্যাচ। কারণ, আমি দুই গোল করেছি এবং সেটা বিশ্বকাপের একটা ম্যাচে করেছি। কিন্তু এই নিয়ে আমি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আমি দলের জন্য আরও অনেক কিছু করতে চাচ্ছি।’
সেই ‘অনেক কিছু’টা কী, তা নিয়ে কোনো রাখঢাক নেই তেভেজের মুখে। এখন প্রতিরাতে নাকি একটাই স্বপ্ন দেখছেন তেভেজ—বিশ্বকাপ ট্রফির স্বপ্ন, ‘প্রতিরাতে আমি স্বপ্ন দেখি মাথার ওপর ট্রফিটা উঁচু করে ধরেছি, আমার কাছ থেকে কেউ সেটা নিতে পারছে না। কিন্তু কি জানেন, এই বিশ্বকাপে আগে আমরা ছাড়া আমাদের নিয়ে এই স্বপ্ন কেউ দেখেনি। আর এখন? সবাই, বিশেষ করে, হেভিওয়েট দলগুলো পর্যন্ত বলছে, আমরাই নাকি ফেবারিট!’
কিন্তু তেভেজের এই স্বপ্ন বাস্তব করতে গেলে যে জার্মানির বাধাটা আগে পার হতে হবে! গতবার তেভেজ নিজেই তো এই জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরে ফেরার সাক্ষী হয়ে আছেন। আরেকবার সেই কষ্টে পুড়তে হবে না তো?
তেভেজ এই কথা শুনতে রাজি নন, ‘আমি কেন ভাবব না, আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হব? ট্রফি ছাড়া অন্য সবকিছুই হবে আমার জন্য প্রচণ্ড কষ্টের হবে। শনিবার যদি কোনো কারণে হেরে যাই, সে কষ্ট আমি সহ্য করতে পারব না।’
শৈশবে দারিদ্র্য, হানাহানি দেখে বড় হয়ে ওঠা এই ফুটবলারটির মধ্যে কোথায় যেন একটা বাড়তি আকর্ষণ লুকানো আছে। যে কারণে লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগুয়েইন, সার্জিও আগুয়েরোদের ছাপিয়ে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয়তম ফুটবলার হয়ে ওঠেন কার্লোস তেভেজ।
তেভেজের জনপ্রিয়তা, তাঁকে দলে খেলানোর জন্য মানুষের চাপ দেখে বিস্মিত ডিয়েগো ম্যারাডোনা ঘোষণা করেছেন, তেভেজ ‘জনগণের খেলোয়াড়’! ঘোষণাটা শুনে যারপরনাই আপ্লুত ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকারটি।
কোচ কিংবদন্তি ম্যারাডোনার কাছ থেকে এই খেতাব পেয়ে নিজেকে যেন নতুন করে বুঝতে পারছেন তেভেজ, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি। আমি যেভাবে খেলি, যেভাবে প্রতিটি বলের জন্য, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিই; সেটা লোকেরা বুঝতে পেরেছে বলেই আমাকে এটা বলা হয়। আশা করি, বাকি সবার সঙ্গে মিলে আমাদের দেশের মানুষের জন্য সত্যিকার একটা উৎসবের উপলক্ষ নিয়ে আসব।’
নিজের বর্তমান ফর্ম দিয়ে, বিশেষ করে, সর্বশেষ ম্যাচটায় মেক্সিকোর বিপক্ষে যা খেলেছেন, তাতে এমন আশা করতেই পারেন ‘এল অ্যাপাচি’। জোড়া গোল করা ওই ম্যাচটার আনন্দ এখনো ভুলছেন না তেভেজ, ‘আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার সেরা ম্যাচ। কারণ, আমি দুই গোল করেছি এবং সেটা বিশ্বকাপের একটা ম্যাচে করেছি। কিন্তু এই নিয়ে আমি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আমি দলের জন্য আরও অনেক কিছু করতে চাচ্ছি।’
সেই ‘অনেক কিছু’টা কী, তা নিয়ে কোনো রাখঢাক নেই তেভেজের মুখে। এখন প্রতিরাতে নাকি একটাই স্বপ্ন দেখছেন তেভেজ—বিশ্বকাপ ট্রফির স্বপ্ন, ‘প্রতিরাতে আমি স্বপ্ন দেখি মাথার ওপর ট্রফিটা উঁচু করে ধরেছি, আমার কাছ থেকে কেউ সেটা নিতে পারছে না। কিন্তু কি জানেন, এই বিশ্বকাপে আগে আমরা ছাড়া আমাদের নিয়ে এই স্বপ্ন কেউ দেখেনি। আর এখন? সবাই, বিশেষ করে, হেভিওয়েট দলগুলো পর্যন্ত বলছে, আমরাই নাকি ফেবারিট!’
কিন্তু তেভেজের এই স্বপ্ন বাস্তব করতে গেলে যে জার্মানির বাধাটা আগে পার হতে হবে! গতবার তেভেজ নিজেই তো এই জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরে ফেরার সাক্ষী হয়ে আছেন। আরেকবার সেই কষ্টে পুড়তে হবে না তো?
তেভেজ এই কথা শুনতে রাজি নন, ‘আমি কেন ভাবব না, আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হব? ট্রফি ছাড়া অন্য সবকিছুই হবে আমার জন্য প্রচণ্ড কষ্টের হবে। শনিবার যদি কোনো কারণে হেরে যাই, সে কষ্ট আমি সহ্য করতে পারব না।’
No comments