অবৈধ আবাসন প্রকল্প -আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন
রাজউক যে কাজটি সম্প্রতি শুরু করল, সেটি আরও আগে শুরু করলে রাজধানীর নাগরিক জীবন অনেক স্বস্তি লাভ করত। ঢাকা ও এর আশপাশে ছোট-বড় যে ২০০টি আবাসন প্রকল্প রয়েছে, তার মধ্যে শতকরা মাত্র ১৩ ভাগ, অর্থাৎ ২৬টি অনুমোদিত, বাকি ১৭৪টি প্রকল্প অননুমোদিত; সোজা ভাষায় অবৈধ। এ তথ্য রাজউক সূত্রেই পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার প্রথম আলোয় তা ছাপা হয়েছে। এত দিন এই হিসাব রাজউকের খাতা-কলমে সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এখন তারা অননুমোদিত প্রকল্পগুলোকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিতে শুরু করেছে। ৫৬টি প্রকল্পকে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে রাজউকের অনুসন্ধান চলছে।
প্রশ্ন হলো, এই অবৈধ প্রকল্পের কাজ কি রাজউকের জানার বাইরে ঘটেছে? আইন অনুযায়ী যথাসময়ে কঠোর অবস্থান না নেওয়ায় অশুভ ব্যবসায়িক স্বার্থ সুযোগ পেয়েছে। রাজউক বলেছে যে তারা বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবৈধ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছে। কিন্তু সেটা কি যথেষ্ট? কোনো আবাসিক প্রকল্প যদি আইন না মেনে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তাহলে রাজউকের দায়িত্ব হলো তা যথাসময়ে বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যেন সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয়। এখন পরিষ্কারভাবে বলা উচিত, কেন তারা নিজেদের কাজ সুচারুরূপে পালন করতে পারেনি।
রাজউকের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশের যেসব অভিযোগ বিভিন্ন সময় উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কারণ, প্রতিষ্ঠান নিষ্কলুষ না হলে আজকের রাজউক যত কঠোর অবস্থানই গ্রহণ করুক না কেন, দুদিন পর দেখা যাবে আগের মতোই হয়তো তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, যারা অবৈধ আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার পাহাড় বানিয়েছে, তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে দুর্বল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাথা উঁচু করে চলা কঠিন হতে পারে।
কোন প্রকল্পটি বৈধ আর কোনটি নয়, তার একটি তালিকা প্রথম আলোয় ছাপানো হয়েছে। মানুষ এখন জমি বা বাড়ি কেনার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে মহানগর ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) গেজেট আকারে ছাপানো হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে ড্যাপের তীব্র সমালোচনা ও এর ১৮টি ত্রুটি উল্লেখ করে একটি বক্তব্য বিতরণ করা হয়েছে। কারও যুক্তিগ্রাহ্য আপত্তি থাকলে তা বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিয়ে গঠিত কমিটিতে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এরপর সার্বিক বিবেচনায় অবৈধ প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
অননুমোদিত কয়েকটি প্রকল্পের মালিক তাঁদের প্লট-ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করেননি। তাঁরা প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন। কিন্তু যাঁরা অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বিক্রি করেছেন, তাঁদের বেলায় দেখতে হবে যেন প্রকল্প বাতিল হওয়ার কারণে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাঁরা যে টাকায় জমি বা বাড়ি কিনেছিলেন, এখন ক্ষতিপূরণসহ তাঁদের মূল টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের অনমনীয় অবস্থান কাম্য। আবাসন ব্যবসায়ীদের অবৈধ প্রকল্পের খেসারত যেন সাধারণ মানুষকে দিতে না হয়।
প্রশ্ন হলো, এই অবৈধ প্রকল্পের কাজ কি রাজউকের জানার বাইরে ঘটেছে? আইন অনুযায়ী যথাসময়ে কঠোর অবস্থান না নেওয়ায় অশুভ ব্যবসায়িক স্বার্থ সুযোগ পেয়েছে। রাজউক বলেছে যে তারা বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবৈধ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছে। কিন্তু সেটা কি যথেষ্ট? কোনো আবাসিক প্রকল্প যদি আইন না মেনে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তাহলে রাজউকের দায়িত্ব হলো তা যথাসময়ে বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যেন সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয়। এখন পরিষ্কারভাবে বলা উচিত, কেন তারা নিজেদের কাজ সুচারুরূপে পালন করতে পারেনি।
রাজউকের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশের যেসব অভিযোগ বিভিন্ন সময় উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কারণ, প্রতিষ্ঠান নিষ্কলুষ না হলে আজকের রাজউক যত কঠোর অবস্থানই গ্রহণ করুক না কেন, দুদিন পর দেখা যাবে আগের মতোই হয়তো তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, যারা অবৈধ আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার পাহাড় বানিয়েছে, তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে দুর্বল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাথা উঁচু করে চলা কঠিন হতে পারে।
কোন প্রকল্পটি বৈধ আর কোনটি নয়, তার একটি তালিকা প্রথম আলোয় ছাপানো হয়েছে। মানুষ এখন জমি বা বাড়ি কেনার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে মহানগর ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) গেজেট আকারে ছাপানো হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে ড্যাপের তীব্র সমালোচনা ও এর ১৮টি ত্রুটি উল্লেখ করে একটি বক্তব্য বিতরণ করা হয়েছে। কারও যুক্তিগ্রাহ্য আপত্তি থাকলে তা বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিয়ে গঠিত কমিটিতে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এরপর সার্বিক বিবেচনায় অবৈধ প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
অননুমোদিত কয়েকটি প্রকল্পের মালিক তাঁদের প্লট-ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করেননি। তাঁরা প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন। কিন্তু যাঁরা অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বিক্রি করেছেন, তাঁদের বেলায় দেখতে হবে যেন প্রকল্প বাতিল হওয়ার কারণে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাঁরা যে টাকায় জমি বা বাড়ি কিনেছিলেন, এখন ক্ষতিপূরণসহ তাঁদের মূল টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের অনমনীয় অবস্থান কাম্য। আবাসন ব্যবসায়ীদের অবৈধ প্রকল্পের খেসারত যেন সাধারণ মানুষকে দিতে না হয়।
No comments