সমস্যার আবর্তে ঢাকা চিড়িয়াখানা -অযত্ন-অবহেলার অবসান চাই
ঢাকা চিড়িয়াখানা দেশের প্রধানতম চিড়িয়াখানা। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি যে কতটা অযত্ন আর অবহেলার শিকার, তা ফুটে উঠেছে গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদনে। সেখানের দুই হাজার ৮২টি প্রাণীর বেশির ভাগই রুগ্ণ ও অসুস্থ। চিড়িয়াখানার জীবন্ত প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ প্রতিদিনের। কিন্তু ঢাকা চিড়িয়াখানায় এটা যে কোনো চ্যালেঞ্জই নয়, সেটা বোঝা গেল চিড়িয়াখানার একমাত্র পশুচিকিৎসক (ভেটেরিনারি সার্জন) ছুটিতে যাওয়ার পর প্রাণী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চিকিৎসার কাজও চালিয়ে যাওয়ার ঘটনায়।
আধুনিক চিড়িয়াখানাগুলো পশুচিকিৎসায় ন্যূনতম কতগুলো মানদণ্ড মেনে চলে। চিড়িয়াখানায় প্রযুক্তিগত দক্ষতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত পশুচিকিৎসক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পশুরোগ প্রযুক্তিবিদ ও সহায়ক কর্মী থাকার পাশাপাশি এমন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়া থাকতে হয়, যেখানে পশুর স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট দায়দায়িত্ব পশুচিকিৎসকদের ওপর বর্তায়। আর তাঁদের সহযোগিতা করেন রক্ষক, কিউরেটর, পুষ্টিবিদ ও অন্য কর্মীরা। অথচ অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের চিড়িয়াখানাগুলোতে এখনো পশুচিকিৎসার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা যায়নি। ঢাকা চিড়িয়াখানায় পর্যাপ্ত লোকবল, রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং ওষুধ মজুদের মতো জরুরি বিষয়েরও অভাব রয়ে গেছে। এতে প্রাণীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে, অনেক প্রাণী মারাও যাচ্ছে।
সারা দুনিয়ার চিড়িয়াখানাগুলো বদলে গেছে এবং ক্রমাগত বদলাচ্ছে। এককালের বিচিত্র কতগুলো প্রাণীর নিছক সংগ্রহশালা হিসেবে না থেকে চিড়িয়াখানা হয়ে উঠছে প্রাণিবিজ্ঞান, প্রাণীর রোগজীবাণু, চিকিৎসা ও প্রতিষেধকের বিষয়ে গবেষণার একেকটি কেন্দ্র। বিরল ও বিপন্নপ্রায় প্রাণীগুলোর সংরক্ষণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। চিড়িয়াখানার ধারণার ক্ষেত্রে এমন বদল আধুনিক সমাজে চিড়িয়াখানা থাকার ন্যায্যতা দিতেও বড় ভূমিকা রাখছে। অথচ আমাদের চিড়িয়াখানাগুলো যেন এক জায়গায়ই আটকে আছে। এগুলোতে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে দর্শনার্থীরা কিছু বিনোদনের খোরাক পায় আর প্রাণীর জীবন শুধু বিপন্নই হতে থাকে।
চিড়িয়াখানা বিষয়ে দীর্ঘদিন সরকার মনোযোগী না হওয়াতেই এমন দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। বন্দিত্বের মধ্যে থাকা জীবজন্তুর শারীরিক ও মানসিক চাহিদা সম্পর্কে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া দরকার। মানসম্পন্ন চিড়িয়াখানা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই অযত্ন আর অবহেলার অবসান ঘটাতে হবে। পাশাপাশি সমাজে চিড়িয়াখানা কী ভূমিকা পালন করবে, সে বিষয়েও নতুন করে ভাবা দরকার।
আধুনিক চিড়িয়াখানাগুলো পশুচিকিৎসায় ন্যূনতম কতগুলো মানদণ্ড মেনে চলে। চিড়িয়াখানায় প্রযুক্তিগত দক্ষতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত পশুচিকিৎসক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পশুরোগ প্রযুক্তিবিদ ও সহায়ক কর্মী থাকার পাশাপাশি এমন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়া থাকতে হয়, যেখানে পশুর স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট দায়দায়িত্ব পশুচিকিৎসকদের ওপর বর্তায়। আর তাঁদের সহযোগিতা করেন রক্ষক, কিউরেটর, পুষ্টিবিদ ও অন্য কর্মীরা। অথচ অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের চিড়িয়াখানাগুলোতে এখনো পশুচিকিৎসার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা যায়নি। ঢাকা চিড়িয়াখানায় পর্যাপ্ত লোকবল, রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং ওষুধ মজুদের মতো জরুরি বিষয়েরও অভাব রয়ে গেছে। এতে প্রাণীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে, অনেক প্রাণী মারাও যাচ্ছে।
সারা দুনিয়ার চিড়িয়াখানাগুলো বদলে গেছে এবং ক্রমাগত বদলাচ্ছে। এককালের বিচিত্র কতগুলো প্রাণীর নিছক সংগ্রহশালা হিসেবে না থেকে চিড়িয়াখানা হয়ে উঠছে প্রাণিবিজ্ঞান, প্রাণীর রোগজীবাণু, চিকিৎসা ও প্রতিষেধকের বিষয়ে গবেষণার একেকটি কেন্দ্র। বিরল ও বিপন্নপ্রায় প্রাণীগুলোর সংরক্ষণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। চিড়িয়াখানার ধারণার ক্ষেত্রে এমন বদল আধুনিক সমাজে চিড়িয়াখানা থাকার ন্যায্যতা দিতেও বড় ভূমিকা রাখছে। অথচ আমাদের চিড়িয়াখানাগুলো যেন এক জায়গায়ই আটকে আছে। এগুলোতে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে দর্শনার্থীরা কিছু বিনোদনের খোরাক পায় আর প্রাণীর জীবন শুধু বিপন্নই হতে থাকে।
চিড়িয়াখানা বিষয়ে দীর্ঘদিন সরকার মনোযোগী না হওয়াতেই এমন দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। বন্দিত্বের মধ্যে থাকা জীবজন্তুর শারীরিক ও মানসিক চাহিদা সম্পর্কে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া দরকার। মানসম্পন্ন চিড়িয়াখানা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই অযত্ন আর অবহেলার অবসান ঘটাতে হবে। পাশাপাশি সমাজে চিড়িয়াখানা কী ভূমিকা পালন করবে, সে বিষয়েও নতুন করে ভাবা দরকার।
No comments