তাঁদের বোঝাপড়া
কাকার চোখের ভাষা সবচেয়ে ভালো পড়তে পারেন কে? ক্যারোলিন নাকি লুইস ফ্যাবিয়ানো!
জীবনসঙ্গিনী ক্যারোলিন শুনে মন খারাপ করতে পারেন, তবে আপাতত মনে হচ্ছে, কাকার চোখের ভাষা সবচেয়ে ভালো পড়তে পারছেন সতীর্থ ফ্যাবিয়ানোই। এক পলক চাহনি, ছোট্ট একটা পাস এবং গোল—এরই মধ্যে ফ্যাবিয়ানোর দুটো গোল দেখা গেছে এই দৃশ্য।
‘আমাদের দুজনের মধ্যে অদ্ভুত একটা যোগসূত্র আছে। আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। আমাকে শুধু ঠিক পজিশনটা নিতে হয়। জানি, কাকা ঠিকই আমার কাছে বল বাড়িয়ে দেবে’—দুজনের বোঝাপড়া এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন ফ্যাবিয়ানো।
আইভরিকোস্টের বিপক্ষে ব্রাজিলের ৩-১ গোলের জয়ে কাকার থ্রু পাসে চমৎকার একটি গোল করেন ফ্যাবিয়ানো। দ্বিতীয় রাউন্ডে চিলির বিপক্ষেও কাকার ওয়ান-টাচ পাস থেকে বল পেয়ে জালে ঠেলে দেন।
দুজনের জার্সির নম্বর যেমন পাশাপাশি, তেমনই মাঠেও পাশাপাশি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে কাকা-ফ্যাবিয়ানোকে। দুজন দুজনের খেলার ধরনটা ভালো করে জানেন বলেই বোঝাপড়াটাও ভালো হচ্ছে বলে মন্তব্য কাকার, ‘আমরা দুজনই দীর্ঘ সময় সাও পাওলোতে খেলেছি। একবার তাকালেই আমরা বুঝে যাই, কী করতে হবে। আশা করি, বিশ্বকাপের বাকিটা সময়ও ওকে আরও অনেক গোল বানিয়ে দিতে পারব। আশা করি, ও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হবে।’
কাকা তো সাও পাওলোরই আবিষ্কার। ব্রাজিলের এই ক্লাবটির যুবদলের হয়ে খেলেছেন ১৯৯৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত। পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ২০০১ সালে। ওই বছরেই ফ্যাবিয়ানো যোগ দেন সাও পাওলোতে। ২০০৩ সালে কাকা চলে যান এসি মিলানে। ২০০৯ পর্যন্ত মিলানের হয়েই তাঁর মহাতারকা হয়ে ওঠা। এর পর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখন স্প্যানিশ লিগে। ফ্যাবিয়ানোও খেলেন লা লিগাতেই। ২০০৫ সালে যোগ দিয়েছেন সেভিয়াতে। স্পেনে আসার আগে একটা মৌসুম কাটিয়ে এসেছেন পোর্তোয়।
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ফ্যাবিয়ানোর দুর্ধর্ষ ফর্মের নেপথ্য কারিগর কাকাই। এবারও কাকার আড়ালেই থাকছেন তিনি। কাকার মতো তারকার কি অন্যের উজ্জ্বলতায় ম্লান থাকা মানায়! এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তিনটি গোলে অবদান রাখা কাকা কিন্তু বলেছেন, তিনি গোল করিয়েই খুশি, ‘বিশ্বকাপে গোল করতে কে না চায় বলুন! তবে সত্যি বলতে কী, গোল যে পাচ্ছি না, এটা নিয়ে আমি মোটেও উদ্বিগ্ন নই। সতীর্থদের গোল করিয়ে, দলের জয়ে অবদান রেখেই আমি খুশি।’
কাকা গোল পাচ্ছেন না এটা নিয়ে তিনি নিজে উদ্বিগ্ন হোন আর না-ই হোন দুঙ্গাকে নিশ্চয়ই ভাবাচ্ছে। কাকা যেন ‘মেসিন্ড্রোমে’ আক্রান্ত। মেসির মতোই গত ম্যাচে দুর্দান্ত শট নিয়েও গোলের দেখা পাননি। কাকার হলুদ কার্ড দেখা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছে দল। বরাবরই মাথা ঠান্ডা রেখে খেলার সুখ্যাতি ছিল যাঁর, সেই কাকা এরই মধ্যে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন। এর মধ্যে একটা ম্যাচে তো বসে থাকলেন মাঠের বাইরে।
দ্বিতীয় রাউন্ডেও হলুদ কার্ড দেখেছেন। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে উনিশ-বিশ হয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত দল উঠলেও কাকার সেমিফাইনাল খেলা হবে না। এই প্লে-মেকার নিজেও সতর্ক, ‘আমি এখন থেকে অনেক বেশি সতর্ক থাকার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল মিস করার মতো বোকামি আমি করতে চাই না।’
জীবনসঙ্গিনী ক্যারোলিন শুনে মন খারাপ করতে পারেন, তবে আপাতত মনে হচ্ছে, কাকার চোখের ভাষা সবচেয়ে ভালো পড়তে পারছেন সতীর্থ ফ্যাবিয়ানোই। এক পলক চাহনি, ছোট্ট একটা পাস এবং গোল—এরই মধ্যে ফ্যাবিয়ানোর দুটো গোল দেখা গেছে এই দৃশ্য।
‘আমাদের দুজনের মধ্যে অদ্ভুত একটা যোগসূত্র আছে। আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। আমাকে শুধু ঠিক পজিশনটা নিতে হয়। জানি, কাকা ঠিকই আমার কাছে বল বাড়িয়ে দেবে’—দুজনের বোঝাপড়া এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন ফ্যাবিয়ানো।
আইভরিকোস্টের বিপক্ষে ব্রাজিলের ৩-১ গোলের জয়ে কাকার থ্রু পাসে চমৎকার একটি গোল করেন ফ্যাবিয়ানো। দ্বিতীয় রাউন্ডে চিলির বিপক্ষেও কাকার ওয়ান-টাচ পাস থেকে বল পেয়ে জালে ঠেলে দেন।
দুজনের জার্সির নম্বর যেমন পাশাপাশি, তেমনই মাঠেও পাশাপাশি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে কাকা-ফ্যাবিয়ানোকে। দুজন দুজনের খেলার ধরনটা ভালো করে জানেন বলেই বোঝাপড়াটাও ভালো হচ্ছে বলে মন্তব্য কাকার, ‘আমরা দুজনই দীর্ঘ সময় সাও পাওলোতে খেলেছি। একবার তাকালেই আমরা বুঝে যাই, কী করতে হবে। আশা করি, বিশ্বকাপের বাকিটা সময়ও ওকে আরও অনেক গোল বানিয়ে দিতে পারব। আশা করি, ও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হবে।’
কাকা তো সাও পাওলোরই আবিষ্কার। ব্রাজিলের এই ক্লাবটির যুবদলের হয়ে খেলেছেন ১৯৯৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত। পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ২০০১ সালে। ওই বছরেই ফ্যাবিয়ানো যোগ দেন সাও পাওলোতে। ২০০৩ সালে কাকা চলে যান এসি মিলানে। ২০০৯ পর্যন্ত মিলানের হয়েই তাঁর মহাতারকা হয়ে ওঠা। এর পর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখন স্প্যানিশ লিগে। ফ্যাবিয়ানোও খেলেন লা লিগাতেই। ২০০৫ সালে যোগ দিয়েছেন সেভিয়াতে। স্পেনে আসার আগে একটা মৌসুম কাটিয়ে এসেছেন পোর্তোয়।
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ফ্যাবিয়ানোর দুর্ধর্ষ ফর্মের নেপথ্য কারিগর কাকাই। এবারও কাকার আড়ালেই থাকছেন তিনি। কাকার মতো তারকার কি অন্যের উজ্জ্বলতায় ম্লান থাকা মানায়! এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তিনটি গোলে অবদান রাখা কাকা কিন্তু বলেছেন, তিনি গোল করিয়েই খুশি, ‘বিশ্বকাপে গোল করতে কে না চায় বলুন! তবে সত্যি বলতে কী, গোল যে পাচ্ছি না, এটা নিয়ে আমি মোটেও উদ্বিগ্ন নই। সতীর্থদের গোল করিয়ে, দলের জয়ে অবদান রেখেই আমি খুশি।’
কাকা গোল পাচ্ছেন না এটা নিয়ে তিনি নিজে উদ্বিগ্ন হোন আর না-ই হোন দুঙ্গাকে নিশ্চয়ই ভাবাচ্ছে। কাকা যেন ‘মেসিন্ড্রোমে’ আক্রান্ত। মেসির মতোই গত ম্যাচে দুর্দান্ত শট নিয়েও গোলের দেখা পাননি। কাকার হলুদ কার্ড দেখা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছে দল। বরাবরই মাথা ঠান্ডা রেখে খেলার সুখ্যাতি ছিল যাঁর, সেই কাকা এরই মধ্যে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন। এর মধ্যে একটা ম্যাচে তো বসে থাকলেন মাঠের বাইরে।
দ্বিতীয় রাউন্ডেও হলুদ কার্ড দেখেছেন। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে উনিশ-বিশ হয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত দল উঠলেও কাকার সেমিফাইনাল খেলা হবে না। এই প্লে-মেকার নিজেও সতর্ক, ‘আমি এখন থেকে অনেক বেশি সতর্ক থাকার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল মিস করার মতো বোকামি আমি করতে চাই না।’
No comments