লোর ‘ফেবারিট’ আর্জেন্টিনা
কী বলবেন একে? অক্টোপাসের দেশপ্রেম! নাকি সত্যি সত্যিই ত্রিকালদর্শী ক্ষমতা আছে ওটার? প্রমাণ হয়ে যাবে আগামী পরশু। কোয়ার্টার ফাইনালে যদি আর্জেন্টিনা জেতে, বোঝা যাবে, পল নামের এরই মধ্যে বিখ্যাত হয়ে ওঠা ওই অক্টোপাস আসলে ‘নুন খাই যার, গুণ গাই তার’ নীতিতে বিশ্বাসী। আর জার্মানি জিতলে বোঝা যাবে, গুণিন অক্টোপাসের ক্ষমতা আছে বটে! ওয়েবসাইট।
জার্মানির অক্টোপাস পল এখন পর্যন্ত নাকি ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে শতভাগ নির্ভুল। এমনকি জার্মানি যে সার্বিয়ার কাছে হারবে তারও আগাম বার্তা দিয়ে রেখেছিল আট-পেয়ো জন্তুটা। আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচ নিয়ে পলের ভবিষ্যদ্বাণী, ম্যাচটা জিতবে জার্মানরাই!
জ্যোতিষী অক্টোপাস নয়, জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর আস্থা তাঁর তরুণ তুর্কিদের ওপর। জার্মানির এই দলটার গড় বয়স ২৪-এর মতো। বেশির ভাগ ফুটবলারই গত বছর অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে জিতেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ইনজুরির কারণে দলের অভিজ্ঞদের বাধ্য হয়েই বাদ দিতে হয়েছে লোকে। এখন তো দেখা যাচ্ছে ইনজুরি জার্মানদের জন্য শাপেবর হয়েই এসেছে। গত ম্যাচে তারকাবহুল ইংল্যান্ড দলটাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল জার্মানির ছেলেরা!
লো তাই বলছেন, ‘দলের মধ্যে বেশ ইতিবাচক একটা আবহ বিরাজ করছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসও অর্জন করেছি। দলের অনেক ফুটবলারই অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন দলটিতে ছিল। ফলে এ ধরনের টুর্নামেন্টে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস ওদের মধ্যে আছে।’
তা-ই তো দেখা যাচ্ছে! অনেকেই ভেবেছিল, তারুণ্যের জয়গান গেয়ে প্রথম রাউন্ড পেরোনো যায়, কিন্তু নকআউট পর্ব শুরু হলে প্রয়োজন পড়ে অভিজ্ঞতার। স্নায়ুর লড়াইও যে এখানে কখনো কখনো ফল নিয়ন্তা হয়ে দাঁড়ায়! জার্মানরা তাই দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছিটকে পড়বে। কিন্তু পলের মতো ভবিষ্যদ্বাণী কজনই বা করতে পারে?
দ্বিতীয় রাউন্ড পেরিয়ে জার্মানি এখন কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করেছে যারা। স্বাভাবিকভাবেই লো খানিকটা বিচলিত। তবে এ নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা তো চলে না। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডদের রুখে দেওয়ার কৌশলও নাকি বের করে ফেলেছেন তিনি। শিষ্যদের পেনাল্টি শ্যুটআউট অনুশীলন করাচ্ছেন। কে জানে, গত বিশ্বকাপের মতো এবারও হয়তো টাইব্রেকেই গড়াবে ম্যাচ। আর টাইব্রেক মানেই তো জার্মানির জয়!
ম্যারাডোনার দলকে যে যথেষ্ট সমীহ করছেন, সেটি লুকোনোর কোনো চেষ্টাই করেননি লো, ‘ওদের দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়। আমার চোখে ওরা টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। শুধু লিওনেল মেসি আছে বলেই নয়, ওদের ফরোয়ার্ডরা সবাই ভয়ংকর। আমরা অবশ্য ওদের দুর্বলতাও খুঁজে বের করেছি। সেটি কী, সেই তথ্য আপাতত আমার খেলোয়াড়দের জন্যই তোলা থাক।’
আর্জেন্টিনাকে লো ফেবারিট মানছেন আরেকটি কারণে, ‘এই দলের কোচ হচ্ছেন ম্যারাডোনা, যিনি পুরো দলের জন্য প্রেরণা। দলের সবার হিরো। তাঁর দলও তাই অনেক আত্মবিশ্বাস আর আত্মগৌরবের জন্য খেলে। এদের হারানো কঠিন।’
কোচ যখন প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ভালো বাক্য আউড়ে যাচ্ছেন, জার্মান মিডফিল্ডার বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার কিন্তু কথার তোপই দাগালেন। গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে এই দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গিয়েছিল প্রায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বললেন, আর্জেন্টিনা দলটি প্রতিপক্ষকে প্রাপ্য সম্মান দিতে জানে না।
জার্মানির অক্টোপাস পল এখন পর্যন্ত নাকি ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে শতভাগ নির্ভুল। এমনকি জার্মানি যে সার্বিয়ার কাছে হারবে তারও আগাম বার্তা দিয়ে রেখেছিল আট-পেয়ো জন্তুটা। আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচ নিয়ে পলের ভবিষ্যদ্বাণী, ম্যাচটা জিতবে জার্মানরাই!
জ্যোতিষী অক্টোপাস নয়, জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর আস্থা তাঁর তরুণ তুর্কিদের ওপর। জার্মানির এই দলটার গড় বয়স ২৪-এর মতো। বেশির ভাগ ফুটবলারই গত বছর অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে জিতেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ইনজুরির কারণে দলের অভিজ্ঞদের বাধ্য হয়েই বাদ দিতে হয়েছে লোকে। এখন তো দেখা যাচ্ছে ইনজুরি জার্মানদের জন্য শাপেবর হয়েই এসেছে। গত ম্যাচে তারকাবহুল ইংল্যান্ড দলটাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল জার্মানির ছেলেরা!
লো তাই বলছেন, ‘দলের মধ্যে বেশ ইতিবাচক একটা আবহ বিরাজ করছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসও অর্জন করেছি। দলের অনেক ফুটবলারই অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন দলটিতে ছিল। ফলে এ ধরনের টুর্নামেন্টে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস ওদের মধ্যে আছে।’
তা-ই তো দেখা যাচ্ছে! অনেকেই ভেবেছিল, তারুণ্যের জয়গান গেয়ে প্রথম রাউন্ড পেরোনো যায়, কিন্তু নকআউট পর্ব শুরু হলে প্রয়োজন পড়ে অভিজ্ঞতার। স্নায়ুর লড়াইও যে এখানে কখনো কখনো ফল নিয়ন্তা হয়ে দাঁড়ায়! জার্মানরা তাই দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছিটকে পড়বে। কিন্তু পলের মতো ভবিষ্যদ্বাণী কজনই বা করতে পারে?
দ্বিতীয় রাউন্ড পেরিয়ে জার্মানি এখন কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করেছে যারা। স্বাভাবিকভাবেই লো খানিকটা বিচলিত। তবে এ নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা তো চলে না। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডদের রুখে দেওয়ার কৌশলও নাকি বের করে ফেলেছেন তিনি। শিষ্যদের পেনাল্টি শ্যুটআউট অনুশীলন করাচ্ছেন। কে জানে, গত বিশ্বকাপের মতো এবারও হয়তো টাইব্রেকেই গড়াবে ম্যাচ। আর টাইব্রেক মানেই তো জার্মানির জয়!
ম্যারাডোনার দলকে যে যথেষ্ট সমীহ করছেন, সেটি লুকোনোর কোনো চেষ্টাই করেননি লো, ‘ওদের দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়। আমার চোখে ওরা টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। শুধু লিওনেল মেসি আছে বলেই নয়, ওদের ফরোয়ার্ডরা সবাই ভয়ংকর। আমরা অবশ্য ওদের দুর্বলতাও খুঁজে বের করেছি। সেটি কী, সেই তথ্য আপাতত আমার খেলোয়াড়দের জন্যই তোলা থাক।’
আর্জেন্টিনাকে লো ফেবারিট মানছেন আরেকটি কারণে, ‘এই দলের কোচ হচ্ছেন ম্যারাডোনা, যিনি পুরো দলের জন্য প্রেরণা। দলের সবার হিরো। তাঁর দলও তাই অনেক আত্মবিশ্বাস আর আত্মগৌরবের জন্য খেলে। এদের হারানো কঠিন।’
কোচ যখন প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ভালো বাক্য আউড়ে যাচ্ছেন, জার্মান মিডফিল্ডার বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার কিন্তু কথার তোপই দাগালেন। গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে এই দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গিয়েছিল প্রায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বললেন, আর্জেন্টিনা দলটি প্রতিপক্ষকে প্রাপ্য সম্মান দিতে জানে না।
No comments