চট্টগ্রাম বন্দরের অচলাবস্থা -স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরে একধরনের অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অর্থনীতির জীবনপ্রবাহ বলে পরিচিত এই বন্দরের কাজকর্মে যে গতি এসেছিল, তা ব্যাহত করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। হালে সাধারণ পণ্যবাহী জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য।
বন্দরের পণ্য খালাসে গতি ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ডক ওয়ার্কার্স ব্যবস্থাপনা বোর্ড ভেঙে দিয়ে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা তার সুফলও পেয়েছিলেন। কিন্তু স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বর্তমান সরকার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ছয়টি বেসরকারি অপারেটর কোম্পানি নিয়োগ দেয়। অপারেটররা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেটি দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ডক শ্রমিক ফেডারেশনের নামে একশ্রেণীর শ্রমিকনেতা অপারেটরদের কাজে বাধা দিচ্ছেন এবং তাঁদের তালিকা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগের আবদার তুলেছেন, আইন অনুযায়ী যা তাঁরা করতে পারেন না।
এ ব্যাপারে দেশের ব্যবসায়ী মহল তো বটেই, সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন। বন্দরে পণ্য খালাসে বিলম্ব হলে শেষ পর্যন্ত তার দায় গিয়ে পড়ে ভোক্তাসাধারণের ওপর। ব্যবসায়ীরা নৌ ও পরিবহনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না। বন্দরের সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল আগেও বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। যখন চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন তথা এর দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন এই অশুভ তৎপরতা কিসের ইঙ্গিত দেয়? আশা করি, সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করবে এবং স্বার্থান্বেষী মহলের অশুভ তৎপরতা বন্ধে যেকোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।
বন্দরের পণ্য খালাসে গতি ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ডক ওয়ার্কার্স ব্যবস্থাপনা বোর্ড ভেঙে দিয়ে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা তার সুফলও পেয়েছিলেন। কিন্তু স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বর্তমান সরকার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ছয়টি বেসরকারি অপারেটর কোম্পানি নিয়োগ দেয়। অপারেটররা ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেটি দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ডক শ্রমিক ফেডারেশনের নামে একশ্রেণীর শ্রমিকনেতা অপারেটরদের কাজে বাধা দিচ্ছেন এবং তাঁদের তালিকা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগের আবদার তুলেছেন, আইন অনুযায়ী যা তাঁরা করতে পারেন না।
এ ব্যাপারে দেশের ব্যবসায়ী মহল তো বটেই, সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন। বন্দরে পণ্য খালাসে বিলম্ব হলে শেষ পর্যন্ত তার দায় গিয়ে পড়ে ভোক্তাসাধারণের ওপর। ব্যবসায়ীরা নৌ ও পরিবহনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না। বন্দরের সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল আগেও বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। যখন চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন তথা এর দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন এই অশুভ তৎপরতা কিসের ইঙ্গিত দেয়? আশা করি, সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করবে এবং স্বার্থান্বেষী মহলের অশুভ তৎপরতা বন্ধে যেকোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।
No comments