পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়: আহমাদিনেজাদ
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভণ্ড বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থে পারমাণবিক অস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহারে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা চায় না অন্য কেউ এ প্রযুক্তির মালিক হোক। এমনকি অন্য কেউ পরমাণু জ্বালানির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করুক তাও তারা চায় না।
আহমাদিনেজাদ গতকাল শুক্রবার চীনের বাণিজ্যিক নগর সাংহাইয়ে বিশ্ব বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো পরমাণুবিষয়ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কেবল নিজেদের বস্তুগত স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়।
ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই দিনের মাথায় আহমাদিনেজাদ এসব কথা বললেন। তিনি বলেন, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে পরমাণু জ্বালানি ব্যবহারে ইচ্ছুক অন্য দেশগুলোর ওপর কীভাবে চাপ প্রয়োগ করে তা তাঁর বোধগম্য নয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্র হলো একমাত্র দেশ, যারা অন্যদের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে’—এমন একটি সন্দেহের বশে তারা কীভাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে পারে। তিনি বলেন, পরমাণু রাষ্ট্রের কেউ কেউ ইতিমধ্যে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। অথচ তারাই কিনা এ প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকে বাধা দিচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলকে রক্ষা করা যাবে না। এর ধ্বংস অনিবার্য। তেহরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নতুন করে অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নতুন করে অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক। আংকারা বলেছে, ব্রাজিলকে সঙ্গে নিয়ে তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরডোগান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের একটি ভুল কাজে অংশ নিতে পারি না; কেননা, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ গত বুধবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম ভেটো প্রদানকারী দুই দেশ চীন ও রাশিয়াও সমর্থন জানায়। ইরানের মিত্র বলে পরিচিত চীন এ পদক্ষেপ নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তেহরান। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারত।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি চীনের সমালোচনা করে বলেছেন, মুসলিম বিশ্বে শ্রদ্ধার আসন থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে চীন। তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপে বেইজিংয়ের সমর্থন দেওয়া মানে এই নয় যে, কূটনৈতিক সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ইরানকে নতুন করে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সবার প্রতি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের চীন সফরকালে সে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার পরিকল্পনা নেই। এমনকি রাজধানী বেইজিং সফরেরও কোনো সূচি নেই তাঁর।
আহমাদিনেজাদ গতকাল শুক্রবার চীনের বাণিজ্যিক নগর সাংহাইয়ে বিশ্ব বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো পরমাণুবিষয়ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কেবল নিজেদের বস্তুগত স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়।
ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই দিনের মাথায় আহমাদিনেজাদ এসব কথা বললেন। তিনি বলেন, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে পরমাণু জ্বালানি ব্যবহারে ইচ্ছুক অন্য দেশগুলোর ওপর কীভাবে চাপ প্রয়োগ করে তা তাঁর বোধগম্য নয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্র হলো একমাত্র দেশ, যারা অন্যদের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে’—এমন একটি সন্দেহের বশে তারা কীভাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে পারে। তিনি বলেন, পরমাণু রাষ্ট্রের কেউ কেউ ইতিমধ্যে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। অথচ তারাই কিনা এ প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকে বাধা দিচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলকে রক্ষা করা যাবে না। এর ধ্বংস অনিবার্য। তেহরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নতুন করে অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নতুন করে অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক। আংকারা বলেছে, ব্রাজিলকে সঙ্গে নিয়ে তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরডোগান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের একটি ভুল কাজে অংশ নিতে পারি না; কেননা, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ গত বুধবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম ভেটো প্রদানকারী দুই দেশ চীন ও রাশিয়াও সমর্থন জানায়। ইরানের মিত্র বলে পরিচিত চীন এ পদক্ষেপ নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তেহরান। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারত।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি চীনের সমালোচনা করে বলেছেন, মুসলিম বিশ্বে শ্রদ্ধার আসন থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে চীন। তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপে বেইজিংয়ের সমর্থন দেওয়া মানে এই নয় যে, কূটনৈতিক সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ইরানকে নতুন করে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সবার প্রতি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের চীন সফরকালে সে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার পরিকল্পনা নেই। এমনকি রাজধানী বেইজিং সফরেরও কোনো সূচি নেই তাঁর।
No comments