বিপির চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
মেক্সিকো উপসাগরের তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে তেল বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তেলেক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের পর থেকে বিপিকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার বিভিন্ন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম। ব্রিটেনের অনেক রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী ওবামার বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বিপির চেয়ারম্যান কার্ল হেনরিক এসভানবার্গকে আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণকাজে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্যাড অ্যালেনকে। উপকূলে তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়সহ নানা বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির মধ্যে এই দুই কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসে ডেকে পাঠানো হলো। এরই মধ্যে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার বলেছেন, এ ঘটনায় ওয়াশিংটন কাউকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেবে না। কারণ, এই বিপর্যয়ের জন্য বিপি দায়ী। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দুর্ঘটনার পর বিপির সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের পরিচালক মার্সিয়া এননুট গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে দিনে প্রায় ৪০ হাজার ব্যারেল তেল বেরিয়ে যাচ্ছে। এর আগে বেরিয়ে যাওয়া তেলের পরিমাণ ২০ হাজার ব্যারেল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিপি বলছে, সাগরে ছড়িয়ে পড়া তেল থেকে তারা প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার ব্যারেল তেল সংগ্রহ করছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে বিপিকে উদ্দেশ্য করে প্রেসিডেন্ট ওবামার বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘যুদ্ধংদেহী’ বলে আখ্যা দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম। দ্য টাইমস ওয়াশিংটনের মন্তব্যেকে ‘সতর্ক সংকেত’ বলে অভিহিত করেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কার্টুনে দেখানো হয়েছে, বিপিকে ফুটবল বানিয়ে তাতে লাথি দিচ্ছেন বারাক ওবামা। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ শিরোনাম করেছে ‘বিপিকে নিয়ে ওবামার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যর্থ ক্যামেরন’। ডেইলি মেইল-এর শিরোনাম ‘মি. ক্যামেরন, দেশের পক্ষে অবস্থান নিন’। এ ছাড়া দ্য ফিন্যন্সিয়াল টাইমস ও দি ডেইলি এক্সপ্রেস-এ প্রেসিডেন্ট ওবামার সমালোচনা ও বিপির পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানানো হয়।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পিজে ক্রাউলি বলেন, তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি হচ্ছে বিপি। তাই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও বিপির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরের ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে অনবরত তেল বেরিয়ে সাগরের পানিতে মিশছে। এতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের পরিচালক মার্সিয়া এননুট গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে দিনে প্রায় ৪০ হাজার ব্যারেল তেল বেরিয়ে যাচ্ছে। এর আগে বেরিয়ে যাওয়া তেলের পরিমাণ ২০ হাজার ব্যারেল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিপি বলছে, সাগরে ছড়িয়ে পড়া তেল থেকে তারা প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার ব্যারেল তেল সংগ্রহ করছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে বিপিকে উদ্দেশ্য করে প্রেসিডেন্ট ওবামার বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘যুদ্ধংদেহী’ বলে আখ্যা দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম। দ্য টাইমস ওয়াশিংটনের মন্তব্যেকে ‘সতর্ক সংকেত’ বলে অভিহিত করেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কার্টুনে দেখানো হয়েছে, বিপিকে ফুটবল বানিয়ে তাতে লাথি দিচ্ছেন বারাক ওবামা। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ শিরোনাম করেছে ‘বিপিকে নিয়ে ওবামার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যর্থ ক্যামেরন’। ডেইলি মেইল-এর শিরোনাম ‘মি. ক্যামেরন, দেশের পক্ষে অবস্থান নিন’। এ ছাড়া দ্য ফিন্যন্সিয়াল টাইমস ও দি ডেইলি এক্সপ্রেস-এ প্রেসিডেন্ট ওবামার সমালোচনা ও বিপির পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানানো হয়।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পিজে ক্রাউলি বলেন, তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি হচ্ছে বিপি। তাই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও বিপির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাছে মেক্সিকো উপসাগরের ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে অনবরত তেল বেরিয়ে সাগরের পানিতে মিশছে। এতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
No comments