জাতিসংঘের মানবাধিকার বৈঠকে বিতর্কের জন্য প্রস্তুত ইরান ও পশ্চিমা বিশ্ব
ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকে মুখোমুখি হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব ও তেহরান। কাউন্সিলের মানবাধিকারবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনের ওপর ৪৭টি সদস্য-দেশের প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবে। গত বৃহস্পতিবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবের বার্ষিকীতে বিরোধীদের ওপর দমন-নিপীড়নের ঘটনা এ বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
গণগ্রেপ্তার, বন্দী নির্যাতন, লোক-দেখানো বিচার ও রাজনৈতিক কারণে বিরোধীদের হত্যা এবং তথ্য আদান-প্রদান ও সংবাদমাধ্যমের মত-প্রকাশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইরানের সরকারকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও কয়েক বছর ধরে উদ্বেগ জানিয়ে এসেছে। ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীদের ইরানে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না সে দেশের সরকার।
ইরানবিষয়ক মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী জন লিমবার্ট জানান, ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেনেভায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সরকারবিরোধীরা রাজতন্ত্রের সমর্থক নয়, তারা দীর্ঘমেয়াদি বিরোধীপক্ষও নয়, তারা সমাজেরই অংশ।’
মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সরকার সে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছে। দেশের ভেতর তারা বিষয়টি (সমালোচনা) নিয়ে নেতিবাচক আবহ তৈরি করতে পেরেছে। ইরানের সমাজ একটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সফল মডেল।
এতে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নিয়মিতভাবেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো ইরানকেও বেশ কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।
চীন ও রাশিয়াও আজকের বৈঠকে অংশ নেবে। জাতিসংঘের সব সদস্য-রাষ্ট্রকেই চার বছরের মানবাধিকার পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় ইরানের ব্যর্থতাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছে সদস্য-দেশগুলো। গত শুক্রবার ইরানের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী শিরিন এবাদি ইরানে এই মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি বিষয়ে কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণগ্রেপ্তার, বন্দী নির্যাতন, লোক-দেখানো বিচার ও রাজনৈতিক কারণে বিরোধীদের হত্যা এবং তথ্য আদান-প্রদান ও সংবাদমাধ্যমের মত-প্রকাশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইরানের সরকারকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও কয়েক বছর ধরে উদ্বেগ জানিয়ে এসেছে। ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীদের ইরানে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না সে দেশের সরকার।
ইরানবিষয়ক মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী জন লিমবার্ট জানান, ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেনেভায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সরকারবিরোধীরা রাজতন্ত্রের সমর্থক নয়, তারা দীর্ঘমেয়াদি বিরোধীপক্ষও নয়, তারা সমাজেরই অংশ।’
মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সরকার সে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছে। দেশের ভেতর তারা বিষয়টি (সমালোচনা) নিয়ে নেতিবাচক আবহ তৈরি করতে পেরেছে। ইরানের সমাজ একটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সফল মডেল।
এতে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নিয়মিতভাবেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো ইরানকেও বেশ কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।
চীন ও রাশিয়াও আজকের বৈঠকে অংশ নেবে। জাতিসংঘের সব সদস্য-রাষ্ট্রকেই চার বছরের মানবাধিকার পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় ইরানের ব্যর্থতাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছে সদস্য-দেশগুলো। গত শুক্রবার ইরানের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী শিরিন এবাদি ইরানে এই মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি বিষয়ে কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments