আলোচনার জন্য জান্তার প্রতি টিন ওর আহ্বান
মিয়ানমারের বিরোধী দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট টিন ও মুক্তি পাওয়ার পরদিনই তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য দেশটির জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচনের আগে তাঁর ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীকে শিগগির মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
ইয়াঙ্গুনের বিখ্যাত শউই ডাগোন প্যাগোডায় গতকাল রোববার এক বিশেষ প্রার্থনা শেষে এনএলডির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একজন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি এখানে এসেছি আমার দেশের সব নাগরিকের জন্য শান্তি প্রার্থনা করতে। এ সময় টিন ওর স্ত্রীসহ দলীয় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন। প্রায় সাত বছর গৃহবন্দী রাখার পর জান্তা সরকার গত শনিবার টিনকে মুক্তি দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে গতকাল দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে টিন বলেন, ‘সব মিয়ানমারবাসী যাতে ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন, এই লক্ষ্যে জান্তা সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। দুই পক্ষের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা শান্তিপূর্ণ উপায় বের করতে চাই। সফল রাস্তা তৈরি করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যদি সব বিষয়ের সফল সমাধান করতে পারি, তাহলে আমার দেশের সব নাগরিক খুশি হবেন।’
টিন আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য গৃহবন্দিত্ব থেকে তাঁর মুক্তি পাওয়া বড় কথা নয়; যদি না সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিসহ তাঁর দলের বন্দী প্রায় দুই হাজার এক শ নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়। টিন জোর দিয়ে বলেন, এসব নেতা-কর্মীকে আটক রেখে নির্বাচন করা হলে তা হবে অর্থহীন। তিনি বলেন, ‘মুক্তি পেয়ে আমি কী করে খুশি হব, যখন আমার অনেক নেতা-কর্মী যাবজ্জীবন গৃহবন্দিত্ব ভোগ করছেন?’
টিন ওর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তাঁর মুক্তির খবরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাপানের পক্ষ থেকেও স্বাগত জানানো হয়েছে।
ইয়াঙ্গুনের বিখ্যাত শউই ডাগোন প্যাগোডায় গতকাল রোববার এক বিশেষ প্রার্থনা শেষে এনএলডির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একজন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি এখানে এসেছি আমার দেশের সব নাগরিকের জন্য শান্তি প্রার্থনা করতে। এ সময় টিন ওর স্ত্রীসহ দলীয় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন। প্রায় সাত বছর গৃহবন্দী রাখার পর জান্তা সরকার গত শনিবার টিনকে মুক্তি দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে গতকাল দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে টিন বলেন, ‘সব মিয়ানমারবাসী যাতে ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন, এই লক্ষ্যে জান্তা সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। দুই পক্ষের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা শান্তিপূর্ণ উপায় বের করতে চাই। সফল রাস্তা তৈরি করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যদি সব বিষয়ের সফল সমাধান করতে পারি, তাহলে আমার দেশের সব নাগরিক খুশি হবেন।’
টিন আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য গৃহবন্দিত্ব থেকে তাঁর মুক্তি পাওয়া বড় কথা নয়; যদি না সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিসহ তাঁর দলের বন্দী প্রায় দুই হাজার এক শ নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়। টিন জোর দিয়ে বলেন, এসব নেতা-কর্মীকে আটক রেখে নির্বাচন করা হলে তা হবে অর্থহীন। তিনি বলেন, ‘মুক্তি পেয়ে আমি কী করে খুশি হব, যখন আমার অনেক নেতা-কর্মী যাবজ্জীবন গৃহবন্দিত্ব ভোগ করছেন?’
টিন ওর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তাঁর মুক্তির খবরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাপানের পক্ষ থেকেও স্বাগত জানানো হয়েছে।
No comments