দুই দ্বৈরথে দুটি ফেরার গল্প
এক দিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর এসি মিলানের দৃষ্টিনন্দন লড়াই। আরেক দিকে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লিওঁর খেলা। একই সময়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই মহারণ। টিভির পর্দায় কোন ম্যাচের দিকে চোখ রাখবেন আজ! দোনোমনা না হয়ে উপায় কী! দুটি লড়াইয়েই রোমাঞ্চকর দ্বৈরথের ইতিহাসের সঙ্গে আছে দুটি ফেরার গল্প।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানইউ-মিলানের সর্বশেষ চারটি দ্বৈরথের গল্পটা অদ্ভুত। চারটি লড়াইয়ের তিনটিতেই নিজেদের মাঠে মিলানকে হারিয়েছে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল। কিন্তু একবারও মিলানকে পেছনে ফেলে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি ‘অল রেড’রা। চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচে মিলানের কাছে হেরেছে তারা।
শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তার পরও শেষ ষোলোর ড্রতে ম্যানইউকে পেয়ে খুশিই হয়েছিল মিলানের কর্মকর্তারা। ইংল্যান্ডের এই দলটিকে তারা যে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই নিয়েছে। এর কারণটাও পরিষ্কার—চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা লড়াইয়ের পথে যতবারই ম্যানইউ সামনে পড়েছে তাদের, ততবারই ফাইনালে উঠেছে মিলান। যদিও এই দুদলের গত চারটি লড়াইয়ের তিনটিই ছিল সেমিফাইনালে।
এবার অবশ্য প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিগত বছরগুলোয় ম্যানইউকে পেছনে ফেলতে যাদের বড় অবদান ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাকা। এবার ম্যানইউর সঙ্গে লড়াইয়ে নেই এ মৌসুমেই মিলান ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার। আর ক্লারেন্স সিডর্ফ, আন্দ্রে পিরলো, জেনারো গাত্তুসো, আলেসান্দ্রো নেস্তারা বিগতযৌবন। ত্রিশ অতিক্রান্ত এই কজনার সোনালি দিন আর নেই।
তবে মিলান কোচ লিওনার্দোর ভরসা হয়ে আছেন নিজেকে ফিরে পাওয়া রোনালদিনহো এবং ম্যানইউর সাবেক ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ ডেভিড বেকহাম। ফেরার গল্পটাও এখানেই। ম্যানইউ ছেড়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। এই প্রথম ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার আগে আবেগাক্রান্ত তিনি। প্রিয় ওল্ড ট্রাফোর্ড তাঁকে কখনোই বিমুখ করেনি। বেকহামের বিশ্বাস, এবারও এই মাঠ তাঁকে খালি হাতে ফেরাবে না।
ওয়েইন রুনিও তাঁর সতীর্থদের মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই কথা, ‘মিলানের দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। পিরলো আর বেক তো গ্রেট খেলোয়াড়। রোনালদিনহো বিশেষ একজন। আর আমার কাছে সিডর্ফও বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’
রিয়াল মাদ্রিদ-লিওঁ ম্যাচে ফেরার গল্পগাথা করিম বেনজেমাকে নিয়ে। লিওঁ থেকে এ মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। তারপর এই প্রথম ফিরছেন লিওঁর মাঠে। এ ম্যাচের আগে আবেগ এসে ঘিরে ধরেছে বেনজেমাকে। তবে সেই আবেগের কাছে ভেঙে পড়েননি তিনি। একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের কাছে যে আবেগের চেয়ে দল বড়, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাই।
বেনজেমার ফেরার সঙ্গে আজ সবার মনে পড়বে রিয়াল-লিওঁ দ্বৈরথে লিওঁর এগিয়ে থাকার গল্পও। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবগুলোর একটি রিয়াল। ৩১ বার স্প্যানিশ লিগ জয়ের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৯টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে লিওঁকে একবারও হারাতে পারেনি রিয়াল। লিওঁর স্টাডে জেরাল্ড স্টেডিয়ামে আগের দুটি লড়াইয়ের একটিতে ৩-০ এবং অন্যটিতে ২-০ গোলে হেরেছে রিয়াল।
এবার আর এটা হতে দিতে চান না রিয়ালের নতুন তারকাত্রয়ী রোনালদো-কাকা-বেনজেমা। তিনজনের কণ্ঠেই জয়ের প্রত্যয়। অভিন্ন কণ্ঠে তাঁরা উচ্চারণ করেছেন—‘ইতিহাসটা এবার পাল্টে দিতে চাই আমরা।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানইউ-মিলানের সর্বশেষ চারটি দ্বৈরথের গল্পটা অদ্ভুত। চারটি লড়াইয়ের তিনটিতেই নিজেদের মাঠে মিলানকে হারিয়েছে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল। কিন্তু একবারও মিলানকে পেছনে ফেলে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি ‘অল রেড’রা। চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচে মিলানের কাছে হেরেছে তারা।
শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তার পরও শেষ ষোলোর ড্রতে ম্যানইউকে পেয়ে খুশিই হয়েছিল মিলানের কর্মকর্তারা। ইংল্যান্ডের এই দলটিকে তারা যে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই নিয়েছে। এর কারণটাও পরিষ্কার—চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা লড়াইয়ের পথে যতবারই ম্যানইউ সামনে পড়েছে তাদের, ততবারই ফাইনালে উঠেছে মিলান। যদিও এই দুদলের গত চারটি লড়াইয়ের তিনটিই ছিল সেমিফাইনালে।
এবার অবশ্য প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিগত বছরগুলোয় ম্যানইউকে পেছনে ফেলতে যাদের বড় অবদান ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাকা। এবার ম্যানইউর সঙ্গে লড়াইয়ে নেই এ মৌসুমেই মিলান ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার। আর ক্লারেন্স সিডর্ফ, আন্দ্রে পিরলো, জেনারো গাত্তুসো, আলেসান্দ্রো নেস্তারা বিগতযৌবন। ত্রিশ অতিক্রান্ত এই কজনার সোনালি দিন আর নেই।
তবে মিলান কোচ লিওনার্দোর ভরসা হয়ে আছেন নিজেকে ফিরে পাওয়া রোনালদিনহো এবং ম্যানইউর সাবেক ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ ডেভিড বেকহাম। ফেরার গল্পটাও এখানেই। ম্যানইউ ছেড়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। এই প্রথম ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার আগে আবেগাক্রান্ত তিনি। প্রিয় ওল্ড ট্রাফোর্ড তাঁকে কখনোই বিমুখ করেনি। বেকহামের বিশ্বাস, এবারও এই মাঠ তাঁকে খালি হাতে ফেরাবে না।
ওয়েইন রুনিও তাঁর সতীর্থদের মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই কথা, ‘মিলানের দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। পিরলো আর বেক তো গ্রেট খেলোয়াড়। রোনালদিনহো বিশেষ একজন। আর আমার কাছে সিডর্ফও বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’
রিয়াল মাদ্রিদ-লিওঁ ম্যাচে ফেরার গল্পগাথা করিম বেনজেমাকে নিয়ে। লিওঁ থেকে এ মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। তারপর এই প্রথম ফিরছেন লিওঁর মাঠে। এ ম্যাচের আগে আবেগ এসে ঘিরে ধরেছে বেনজেমাকে। তবে সেই আবেগের কাছে ভেঙে পড়েননি তিনি। একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের কাছে যে আবেগের চেয়ে দল বড়, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাই।
বেনজেমার ফেরার সঙ্গে আজ সবার মনে পড়বে রিয়াল-লিওঁ দ্বৈরথে লিওঁর এগিয়ে থাকার গল্পও। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবগুলোর একটি রিয়াল। ৩১ বার স্প্যানিশ লিগ জয়ের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৯টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে লিওঁকে একবারও হারাতে পারেনি রিয়াল। লিওঁর স্টাডে জেরাল্ড স্টেডিয়ামে আগের দুটি লড়াইয়ের একটিতে ৩-০ এবং অন্যটিতে ২-০ গোলে হেরেছে রিয়াল।
এবার আর এটা হতে দিতে চান না রিয়ালের নতুন তারকাত্রয়ী রোনালদো-কাকা-বেনজেমা। তিনজনের কণ্ঠেই জয়ের প্রত্যয়। অভিন্ন কণ্ঠে তাঁরা উচ্চারণ করেছেন—‘ইতিহাসটা এবার পাল্টে দিতে চাই আমরা।’
No comments