প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটের পাশে বিরোধও
যে আশায় নতুন ফরম্যাট আনা হলো জাতীয় লিগে, সেটা অনেকটাই সফল। আজ থেকে শুরু দ্বিতীয় পর্বের আগে ক্রিকেটাররাই বলছেন, দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু প্রদীপের নিচে অন্ধকার থাকেই। নতুন জাতীয় লিগের সব নতুনত্বকেও তেমনি স্বাগত জানানো যাচ্ছে না।
একাদশ জাতীয় লিগের দল গঠন এবং পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে। তাতে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান ফলটা হলো টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মনোমালিন্য; দল গঠনে অধিনায়কের ভূমিকা অগ্রাহ্য হওয়া এবং দলের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার জন্যও খেলোয়াড়দের কর্মকর্তাদের পেছন পেছন ছোটা।
৫০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে ওঠা খুলনা দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আজ শুরু ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটা খেলছেন না। খুলনা দলের একটি সূত্রের দাবি, রাগে-ক্ষোভে হাবিবুল হয়তো এবারের জাতীয় লিগেই আর খেলবেন না। ছেড়ে দিতে পারেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটও! দল গঠনে মতামতের গুরুত্ব না পেয়ে আর টিম ম্যানেজমেন্টের অসহযোগিতায় বীতশ্রদ্ধ হয়েই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। হাবিবুল অবশ্য ‘বিশ্রাম নিতেই ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটা খেলছি না’ বললেও টিম ম্যানেজমেন্টের অসহযোগিতার প্রসঙ্গে বললেন, ‘মন্তব্য করতে চাই না।’ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও নাকি আপাতত নেই। তবে এবারের জাতীয় লিগের পরের ম্যাচগুলোতে খেলবেন কিনা, দিতে পারলেন না সে নিশ্চয়তা, ‘এখনই সেটা বলতে পারছি না।’
ক্রিকেটারদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বিরোধের উদাহরণ আরও আছে। অতীতে হাবিবুলের অনুপস্থিতিতে খুলনা দলকে নেতৃত্ব দিতেন তুষার ইমরান। এবার সেটা হচ্ছে না তুষারের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের বিরোধের কারণে। অনেক লড়াইয়ের পর বোর্ডের হস্তক্ষেপে তুষার শেষ পর্যন্ত খুলনা দলে সুযোগ পেলেও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দলে তাঁর আগের অবস্থান আর নেই বলেই জানা গেছে।
প্রায় হাবিবুলের মতোই অভিজ্ঞতা রাজশাহী অধিনায়ক খালেদ মাসুদের। প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটা অভিমান করেই খেলেননি জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। মাসুদের অসন্তুষ্টি মূলত দলের কোচ শাহনেওয়াজ শহীদ আর ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ মামুনের ওপর। দুজনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে মাসুদ চিঠি দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাছে। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ায় বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন মাসুদ। রাজশাহী অধিনায়ক এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের যেমন সুশৃঙ্খল হতে হবে, কোচ-ম্যানেজারদেরও তাই হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, বোর্ড এই জিনিসটা পর্যবেক্ষণ করতে পারে—কোন কোচ কী করছে, কোন ম্যানেজার কীভাবে দল ব্যবস্থাপনা করছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি বিভাগীয় দলের অধিনায়ক টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘বোর্ড থেকে এমনিতেই যেসব সুযোগ-সুবিধা আমাদের পাওয়ার কথা ছিল, সেসবও চেয়ে চেয়ে নিতে হয়।’ এসবের বাইরে একটা ‘কমন’ অভিযোগ আছে সব ক্রিকেটারেরই—খেলার সূচির কারণে এবার অনেকটা সময়ই ক্রিকেটারদের কাটাতে হচ্ছে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাওয়ার পথে। ভ্রমণক্লান্তিতে বিপর্যস্ত সবাই।
অভিযোগের পাশে প্রশংসাও আছে। হাবিবুল যেমন বললেন, ‘এর আগে এত ভালো উইকেটে কখনো জাতীয় লিগ খেলা হয়নি। উইকেটে ঘাস আছে। বোলারদের জন্য পেস, বাউন্স, মুভমেন্ট—সব আছে। ব্যাটিং করেও মজা পাচ্ছি। স্পোর্টিং উইকেট হওয়ায় এবার বেশির ভাগ ম্যাচেই ফলাফল আসছে।’ চট্টগ্রাম অধিনায়ক নাফিস ইকবাল তুলে আনলেন অন্য একটা ইতিবাচক দিক, ‘জাতীয় লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে। সব দলই চাইছে বেশি ম্যাচ খেলতে।’
১১তম জাতীয় লিগে এখন পর্যন্ত প্রাপ্তিটা মাঠেই। কিন্তু মাঠের বাইরের অক্রিকেটীয় কাণ্ড-কারখানা সেই প্রাপ্তিতে কলঙ্কের দাগ লাগাতে পারে। এবার লিগ শুরুর আগে নাকি বিভাগীয় দলগুলো খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ‘কী করা যাবে আর কী করা যাবে না’র শর্তনামায় সই করিয়ে নিয়েছে। বিভাগীয় দলগুলোর টিম ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বিসিবিও তো এই ফর্মুলাটা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারে!
একাদশ জাতীয় লিগের দল গঠন এবং পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে। তাতে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান ফলটা হলো টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মনোমালিন্য; দল গঠনে অধিনায়কের ভূমিকা অগ্রাহ্য হওয়া এবং দলের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার জন্যও খেলোয়াড়দের কর্মকর্তাদের পেছন পেছন ছোটা।
৫০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে ওঠা খুলনা দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আজ শুরু ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটা খেলছেন না। খুলনা দলের একটি সূত্রের দাবি, রাগে-ক্ষোভে হাবিবুল হয়তো এবারের জাতীয় লিগেই আর খেলবেন না। ছেড়ে দিতে পারেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটও! দল গঠনে মতামতের গুরুত্ব না পেয়ে আর টিম ম্যানেজমেন্টের অসহযোগিতায় বীতশ্রদ্ধ হয়েই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। হাবিবুল অবশ্য ‘বিশ্রাম নিতেই ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটা খেলছি না’ বললেও টিম ম্যানেজমেন্টের অসহযোগিতার প্রসঙ্গে বললেন, ‘মন্তব্য করতে চাই না।’ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও নাকি আপাতত নেই। তবে এবারের জাতীয় লিগের পরের ম্যাচগুলোতে খেলবেন কিনা, দিতে পারলেন না সে নিশ্চয়তা, ‘এখনই সেটা বলতে পারছি না।’
ক্রিকেটারদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বিরোধের উদাহরণ আরও আছে। অতীতে হাবিবুলের অনুপস্থিতিতে খুলনা দলকে নেতৃত্ব দিতেন তুষার ইমরান। এবার সেটা হচ্ছে না তুষারের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের বিরোধের কারণে। অনেক লড়াইয়ের পর বোর্ডের হস্তক্ষেপে তুষার শেষ পর্যন্ত খুলনা দলে সুযোগ পেলেও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দলে তাঁর আগের অবস্থান আর নেই বলেই জানা গেছে।
প্রায় হাবিবুলের মতোই অভিজ্ঞতা রাজশাহী অধিনায়ক খালেদ মাসুদের। প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটা অভিমান করেই খেলেননি জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। মাসুদের অসন্তুষ্টি মূলত দলের কোচ শাহনেওয়াজ শহীদ আর ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ মামুনের ওপর। দুজনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে মাসুদ চিঠি দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাছে। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ায় বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন মাসুদ। রাজশাহী অধিনায়ক এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের যেমন সুশৃঙ্খল হতে হবে, কোচ-ম্যানেজারদেরও তাই হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, বোর্ড এই জিনিসটা পর্যবেক্ষণ করতে পারে—কোন কোচ কী করছে, কোন ম্যানেজার কীভাবে দল ব্যবস্থাপনা করছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি বিভাগীয় দলের অধিনায়ক টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘বোর্ড থেকে এমনিতেই যেসব সুযোগ-সুবিধা আমাদের পাওয়ার কথা ছিল, সেসবও চেয়ে চেয়ে নিতে হয়।’ এসবের বাইরে একটা ‘কমন’ অভিযোগ আছে সব ক্রিকেটারেরই—খেলার সূচির কারণে এবার অনেকটা সময়ই ক্রিকেটারদের কাটাতে হচ্ছে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাওয়ার পথে। ভ্রমণক্লান্তিতে বিপর্যস্ত সবাই।
অভিযোগের পাশে প্রশংসাও আছে। হাবিবুল যেমন বললেন, ‘এর আগে এত ভালো উইকেটে কখনো জাতীয় লিগ খেলা হয়নি। উইকেটে ঘাস আছে। বোলারদের জন্য পেস, বাউন্স, মুভমেন্ট—সব আছে। ব্যাটিং করেও মজা পাচ্ছি। স্পোর্টিং উইকেট হওয়ায় এবার বেশির ভাগ ম্যাচেই ফলাফল আসছে।’ চট্টগ্রাম অধিনায়ক নাফিস ইকবাল তুলে আনলেন অন্য একটা ইতিবাচক দিক, ‘জাতীয় লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে। সব দলই চাইছে বেশি ম্যাচ খেলতে।’
১১তম জাতীয় লিগে এখন পর্যন্ত প্রাপ্তিটা মাঠেই। কিন্তু মাঠের বাইরের অক্রিকেটীয় কাণ্ড-কারখানা সেই প্রাপ্তিতে কলঙ্কের দাগ লাগাতে পারে। এবার লিগ শুরুর আগে নাকি বিভাগীয় দলগুলো খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ‘কী করা যাবে আর কী করা যাবে না’র শর্তনামায় সই করিয়ে নিয়েছে। বিভাগীয় দলগুলোর টিম ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বিসিবিও তো এই ফর্মুলাটা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারে!
No comments