জারদারি-ইফতেখার ফের মুখোমুখি
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীর মধ্যে আবারও বিরোধ শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জারদারি গত শনিবার বিকেলে প্রধান বিচারপতির অনুমোদন ছাড়াই দুজন বিচারক নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে নতুন করে ওই বিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্বল সরকার ও দেশের বিচারব্যবস্থা ফের হুমকির মধ্যে পড়েছে।
ওই নিয়োগের পরপরই বিচারপতিদের অনির্ধারিত বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, জারদারির ওই নিয়োগ অসাংবিধানিক। বিচারপতিরা নিয়োগের প্রতিবাদ করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারপতিদের এই অবস্থান একাধারে সরকার এবং তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গি নির্মূলে দেশটির প্রতি মার্কিন চাপের বিষয়টি আরও প্রকট করে তুলেছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কাজী আনোয়ার বলেন, ‘আমরা এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছি। প্রেসিডেন্ট জারদারি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন প্রমাণিত হলে সংবিধানের ১৭৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ওই পদে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারেন।’
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন পত্রিকাও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে ভয়ংকর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। ডন-এর এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে বিরোধপূর্ণ এ দুটি প্রতিষ্ঠান দেশটির সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে এবং তারা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শনিবার পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্ শহর লাহোরে এক শর মতো আইনজীবী প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে এবং আদালতের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
২০০৭ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করেন। ২০০৮ সালে জারদারি ক্ষমতা গ্রহণের পর ইফতেখার চৌধুরীকে পুনর্বহালের দাবিতে বিচারকেরা আন্দোলন শুরু করলে দেশটির সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। অবশেষে গত বছর মার্চে ইফতেখারকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন জারদারি।
ওই নিয়োগের পরপরই বিচারপতিদের অনির্ধারিত বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, জারদারির ওই নিয়োগ অসাংবিধানিক। বিচারপতিরা নিয়োগের প্রতিবাদ করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারপতিদের এই অবস্থান একাধারে সরকার এবং তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গি নির্মূলে দেশটির প্রতি মার্কিন চাপের বিষয়টি আরও প্রকট করে তুলেছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কাজী আনোয়ার বলেন, ‘আমরা এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছি। প্রেসিডেন্ট জারদারি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন প্রমাণিত হলে সংবিধানের ১৭৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ওই পদে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারেন।’
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন পত্রিকাও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে ভয়ংকর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। ডন-এর এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে বিরোধপূর্ণ এ দুটি প্রতিষ্ঠান দেশটির সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে এবং তারা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শনিবার পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্ শহর লাহোরে এক শর মতো আইনজীবী প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে এবং আদালতের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
২০০৭ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করেন। ২০০৮ সালে জারদারি ক্ষমতা গ্রহণের পর ইফতেখার চৌধুরীকে পুনর্বহালের দাবিতে বিচারকেরা আন্দোলন শুরু করলে দেশটির সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। অবশেষে গত বছর মার্চে ইফতেখারকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন জারদারি।
No comments