ইরান অবরোধে চীনের সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গতকাল রোববার উপসাগরীয় অঞ্চলে তাঁর তিন দিনের সফরের শুরুতে কাতার পৌঁছেছেন। সেখান থেকে তিনি সৌদি আরব যাবেন। মূলত ইরানের ওপর অবরোধ আরোপে চীনের সমর্থন আদায়ে সৌদি আরবকে ব্যবহার করতেই তিনি এ সফর করছেন।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপে রাশিয়ার সমর্থন আদায়ে গতকাল মস্কো গেছেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এএফপি।
কাতার রওনা হওয়ার আগে হিলারি ক্লিনটনের সফরসঙ্গী সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফ্রে ফেল্টম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কসহ ওই অঞ্চলের সমর্থন আদায়ের জন্যই হিলারির এ সফর। এ ছাড়া তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নিরাপত্তা বাড়াতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন ও ওই অঞ্চলের মার্কিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করা হলেও চীনের জ্বালানি তেলের কোনো সমস্যা হবে না—সৌদি নেতাদের মাধ্যমে চীনকে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে চীনকে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের সমর্থন দিতে হবে। চীনকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হবে কি না—জানতে চাইলে সরাসরি কিছু বলেননি জেফ্রে ফেল্টম্যান। তবে তিনি বলেন, ‘চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে।’
চীন তার প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলের একটি বড় অংশ ইরান থেকে আমদানি করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করা হলে চীন কিছুটা সমস্যায় পড়বে। এ কারণে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের বিষয়টি সমর্থন করছে না চীন। আর সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় সেটাকে ব্যবহার করে চীনের সমর্থন আদায় করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতার অধিকারী পাঁচটি দেশের একটি হলো চীন।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপে রাশিয়ার সমর্থন আদায়ে গতকাল মস্কো গেছেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এএফপি।
কাতার রওনা হওয়ার আগে হিলারি ক্লিনটনের সফরসঙ্গী সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফ্রে ফেল্টম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কসহ ওই অঞ্চলের সমর্থন আদায়ের জন্যই হিলারির এ সফর। এ ছাড়া তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নিরাপত্তা বাড়াতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন ও ওই অঞ্চলের মার্কিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করা হলেও চীনের জ্বালানি তেলের কোনো সমস্যা হবে না—সৌদি নেতাদের মাধ্যমে চীনকে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে চীনকে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের সমর্থন দিতে হবে। চীনকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হবে কি না—জানতে চাইলে সরাসরি কিছু বলেননি জেফ্রে ফেল্টম্যান। তবে তিনি বলেন, ‘চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে।’
চীন তার প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলের একটি বড় অংশ ইরান থেকে আমদানি করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করা হলে চীন কিছুটা সমস্যায় পড়বে। এ কারণে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের বিষয়টি সমর্থন করছে না চীন। আর সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় সেটাকে ব্যবহার করে চীনের সমর্থন আদায় করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতার অধিকারী পাঁচটি দেশের একটি হলো চীন।
No comments