দিল্লি, ইন্দোর ও কানপুরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
ভারতের পুনের একটি রেস্তোরাঁয় বোমা বিস্ফোরণের পর দিল্লি, ইন্দোর ও কানপুরে গতকাল রোববার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্য রাজ্যগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুনেতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফিরে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ওই নির্দেশ দেন। ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই বিদেশি নাগরিকসহ নয়জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন কলকাতার নাগরিক।
সরকার বলেছে, পুনেতে রেস্তোরাঁয় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কারা জড়িত, সে ব্যাপারে তাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ঘটনায় ভারতীয় জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল বলেছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে শুরু হতে যাওয়া বৈঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ওই বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে থেমে থাকা শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরুর ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পুনেতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর চিদম্বারম গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং হুমকি মোকাবিলায় বিদ্যমান ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। বৈঠক শেষে চিদাম্বরম প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে ৭ রেসকোর্স রোডে যান। সেখানে তিনি দেশের সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
গতকাল সকালে পুনেতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চিদাম্বরম হামলার ঘটনায় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এখানে গোয়েন্দারা ব্যর্থ হয়েছে—এমনটি বলা যাবে না। কারণ, ওই বিশেষ এলাকাটি অনেক দিন ধরে নজরদারিতে রয়েছে এবং এটি শান্ত এলাকা। কিন্তু এখানেই পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যটকদের সমাগমের কারণে পুনে সব সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নজরদারির মধ্যে থাকে। তাই জায়গাটি জঙ্গিদের লক্ষ্যস্থল না-ও হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘটনার তদন্ত চলছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ হামলার আগে ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে একের পর এক বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় শতাধিক লোক প্রাণ হারায়। ওই বোমা হামলাগুলোর সঙ্গে পুনেতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মিল রয়েছে।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল বলেছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে শুরু হতে যাওয়া বৈঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জ্যেষ্ঠ নেতা অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘পুনের ঘটনা আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতাকেই তুলে ধরে।’
পুনের জার্মান বেকারি রেস্তোরাঁয় গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা।
সরকার বলেছে, পুনেতে রেস্তোরাঁয় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কারা জড়িত, সে ব্যাপারে তাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ঘটনায় ভারতীয় জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল বলেছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে শুরু হতে যাওয়া বৈঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ওই বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে থেমে থাকা শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরুর ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পুনেতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর চিদম্বারম গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং হুমকি মোকাবিলায় বিদ্যমান ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। বৈঠক শেষে চিদাম্বরম প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে ৭ রেসকোর্স রোডে যান। সেখানে তিনি দেশের সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
গতকাল সকালে পুনেতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চিদাম্বরম হামলার ঘটনায় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এখানে গোয়েন্দারা ব্যর্থ হয়েছে—এমনটি বলা যাবে না। কারণ, ওই বিশেষ এলাকাটি অনেক দিন ধরে নজরদারিতে রয়েছে এবং এটি শান্ত এলাকা। কিন্তু এখানেই পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যটকদের সমাগমের কারণে পুনে সব সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নজরদারির মধ্যে থাকে। তাই জায়গাটি জঙ্গিদের লক্ষ্যস্থল না-ও হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘটনার তদন্ত চলছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ হামলার আগে ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে একের পর এক বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় শতাধিক লোক প্রাণ হারায়। ওই বোমা হামলাগুলোর সঙ্গে পুনেতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মিল রয়েছে।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল বলেছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে শুরু হতে যাওয়া বৈঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জ্যেষ্ঠ নেতা অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘পুনের ঘটনা আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতাকেই তুলে ধরে।’
পুনের জার্মান বেকারি রেস্তোরাঁয় গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা।
No comments