তালেবানের প্রতিরোধের মুখে পড়ছে ন্যাটো বাহিনীর অভিযান
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে তালেবানবিরোধী অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রোববার জাঙ্গিদের পেতে রাখা মাইন ও স্নাইপারের গুলি অভিযানের গতি ধীর করে দিয়েছে। মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সেনানায়কেরা এ কথা বলেন। গত শনিবার অভিযানের শুরুতে সফল্যের দাবি করেছিলেন তাঁরা।
তালেবান জঙ্গি ও মাদক পাচারকারী নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে মধ্যাঞ্চলীয় হেলমান্দ উপত্যকার মারজাহ শহরে এ অভিযান চলছে। ৮০ হাজার মানুষের এ শহরটি হেলমান্দ উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এ অভিযান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নতুন আফগাননীতির প্রথম পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আফগানিস্তানের ১৫ হাজার সেনার সমন্বয়ে শুরু করা এ অভিযান ২০০১ সালে তালেবান শাসনের পতনের পর সবচেয়ে বড় অভিযান। ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তাকারী বাহিনী (আইএসএএফ) নিশ্চিত করেছে, অভিযানে গতকাল বিকেল পর্যন্ত একজন ব্রিটিশ ও একজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
দক্ষিণ আফগানিস্তানে মার্কিন মেরিন বাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ল্যারি নিকলসন বলেন, অভিযানের প্রথম দিনটি ভালো ছিল। এরই মধ্যে কয়েক হাজার মেরিন সেনা মারজাহ শহরে ঢুকে পড়েছে। তবে তিনি শহরের উত্তর-পূর্বাংশের কিছু এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছেন, তাঁদের সেনারা জঙ্গিদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে।
ল্যারি নিকলসন বলেন, সেনাদের লক্ষ্য করে স্নাইপার রাইফেল থেকে প্রচুর গুলি ছোড়া হচ্ছে। মাইন শনাক্তকারী যানগুলো বিপুলসংখ্যক পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। জঙ্গিরা মারজাহ শহর ও এর আশপাশ এলাকায় মাইন পেতে রেখেছে, যা শনাক্ত করা বেশ দুস্কর। তিনি জানান, শনিবার বোমা পাতার সময় জঙ্গিদের লক্ষ্য করে ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন তাঁরা।
আফগান সেনা ও মার্কিন মেরিন কর্মকর্তারা জানান, সেনারা শনিবার হেলিকপ্টার থেকে মারজাহ শহরে অবতরণ শুরু করে এবং গুলির মুখে পড়ে। হেলমান্দের গভর্নর মোহাম্মাদ গুলাব মঙ্গল জানান, ‘মুসতারাক’ নামের এ অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে, ওই এলাকা তালেবানমুক্ত এবং আফগান সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
ঊর্ধ্বতন ব্রিটিশ সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল গর্ডন মেসেঞ্জার লন্ডনে দাবি করেন, অভিযানের মূল লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। অভিযানে ব্রিটিশ সেনাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনবহুল এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং শহরে থানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুনঃস্থাপন করা। বিক্ষিপ্তভাবে লড়াই হচ্ছে, তবে তালেবান জঙ্গিদের বিভ্রান্ত ও ঐক্যহীন মনে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে মোল্লা আবদুল রেজাক আখন্দ নামের একজন তালেবান কমান্ডার এ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে একটি জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, পরাজিত ও ব্যর্থ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ম্যাকক্রিস্টালের মান বাঁচানোর জন্য এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
কাবুলে ন্যাটোর সিনিয়র বেসামরিক প্রতিনিধি মার্ক সেডউইল বলেছেন, ‘আফগান বেসামরিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তালেবানবিরোধী এই সামরিক অভিযান কত দিন চলবে, তা এখন আমি বলতে পারছি না।’ আইএসএএফ জানায়, অভিযানে শনিবার পাঁচজন বিদেশি সেনা নিহত হয়। এদের মধ্যে তিনজন মার্কিন সেনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানের শহর মারজায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের সর্বশেষ পরিস্থিতি হোয়াইট হাউসের পর্যবেক্ষণ কক্ষের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টমি ভিয়েটর জানান, ওবামা গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জিম জোনসের সঙ্গে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। জেনারেল জোনস সম্প্রতি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সফর করেন।
তালেবান জঙ্গি ও মাদক পাচারকারী নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে মধ্যাঞ্চলীয় হেলমান্দ উপত্যকার মারজাহ শহরে এ অভিযান চলছে। ৮০ হাজার মানুষের এ শহরটি হেলমান্দ উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এ অভিযান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নতুন আফগাননীতির প্রথম পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আফগানিস্তানের ১৫ হাজার সেনার সমন্বয়ে শুরু করা এ অভিযান ২০০১ সালে তালেবান শাসনের পতনের পর সবচেয়ে বড় অভিযান। ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তাকারী বাহিনী (আইএসএএফ) নিশ্চিত করেছে, অভিযানে গতকাল বিকেল পর্যন্ত একজন ব্রিটিশ ও একজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
দক্ষিণ আফগানিস্তানে মার্কিন মেরিন বাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ল্যারি নিকলসন বলেন, অভিযানের প্রথম দিনটি ভালো ছিল। এরই মধ্যে কয়েক হাজার মেরিন সেনা মারজাহ শহরে ঢুকে পড়েছে। তবে তিনি শহরের উত্তর-পূর্বাংশের কিছু এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছেন, তাঁদের সেনারা জঙ্গিদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে।
ল্যারি নিকলসন বলেন, সেনাদের লক্ষ্য করে স্নাইপার রাইফেল থেকে প্রচুর গুলি ছোড়া হচ্ছে। মাইন শনাক্তকারী যানগুলো বিপুলসংখ্যক পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। জঙ্গিরা মারজাহ শহর ও এর আশপাশ এলাকায় মাইন পেতে রেখেছে, যা শনাক্ত করা বেশ দুস্কর। তিনি জানান, শনিবার বোমা পাতার সময় জঙ্গিদের লক্ষ্য করে ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন তাঁরা।
আফগান সেনা ও মার্কিন মেরিন কর্মকর্তারা জানান, সেনারা শনিবার হেলিকপ্টার থেকে মারজাহ শহরে অবতরণ শুরু করে এবং গুলির মুখে পড়ে। হেলমান্দের গভর্নর মোহাম্মাদ গুলাব মঙ্গল জানান, ‘মুসতারাক’ নামের এ অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে, ওই এলাকা তালেবানমুক্ত এবং আফগান সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
ঊর্ধ্বতন ব্রিটিশ সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল গর্ডন মেসেঞ্জার লন্ডনে দাবি করেন, অভিযানের মূল লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। অভিযানে ব্রিটিশ সেনাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনবহুল এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং শহরে থানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুনঃস্থাপন করা। বিক্ষিপ্তভাবে লড়াই হচ্ছে, তবে তালেবান জঙ্গিদের বিভ্রান্ত ও ঐক্যহীন মনে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে মোল্লা আবদুল রেজাক আখন্দ নামের একজন তালেবান কমান্ডার এ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে একটি জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, পরাজিত ও ব্যর্থ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ম্যাকক্রিস্টালের মান বাঁচানোর জন্য এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
কাবুলে ন্যাটোর সিনিয়র বেসামরিক প্রতিনিধি মার্ক সেডউইল বলেছেন, ‘আফগান বেসামরিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তালেবানবিরোধী এই সামরিক অভিযান কত দিন চলবে, তা এখন আমি বলতে পারছি না।’ আইএসএএফ জানায়, অভিযানে শনিবার পাঁচজন বিদেশি সেনা নিহত হয়। এদের মধ্যে তিনজন মার্কিন সেনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানের শহর মারজায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের সর্বশেষ পরিস্থিতি হোয়াইট হাউসের পর্যবেক্ষণ কক্ষের মাধ্যমে অবহিত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টমি ভিয়েটর জানান, ওবামা গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জিম জোনসের সঙ্গে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। জেনারেল জোনস সম্প্রতি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সফর করেন।
No comments