স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর নির্দেশ -দলের লোকজনকে সামলানো গেলে টেন্ডারবাজি কমে আসবে
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করার কিছু নেই। তবে এ কথাও ঠিক, শুধু নির্দেশেই টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজদের নিবৃত্ত করা যাবে না।
মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর সর্বোচ্চ মহল থেকেও টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। তাতে যে একেবারে কাজ হয়নি, তা নয়। বিশেষ করে, বছরের প্রথম দিকে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বেপরোয়া রূপ নিলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর ছাত্র সংঘর্ষ ও চাঁদাবাজির ঘটনা কমে এলেও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ নিয়ে টেন্ডারবাজির ঘটনা চলতে থাকে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যাবে না।
তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার বাস্তবায়নই বড় কথা। সরকারকে এটা প্রমাণ করতে হবে, যারাই টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর মনোভাব বজায় রাখতে পারছে। কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করা গেলে তা এক ধরনের সতর্কসংকেত হিসেবে কাজ করবে। দলের মধ্যে কেউ কেউ এ ধরনের কিছু করতে চাইলেও সাবধান হয়ে যাবে। মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তাঁদের দায়িত্বসচেতন করেছেন—এটি নিশ্চয়ই ভালো পদক্ষেপ। এখন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে রাখা যাবে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়। বাস্তব কারণেই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। অতএব ‘টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক’ মনোভাব বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই কঠোর অবস্থান বাঞ্ছনীয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দায়িত্বও কম নয়। তাঁরা যদি প্রশ্রয় না দেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিতে সুবিধা করতে পারেন না। একশ্রেণীর কর্মকর্তা বখরা পাওয়ার আশায় দলীয় চাঁদাবাজদের আশকারা দিয়ে থাকেন। এ ধরনের মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে।
মন্ত্রীর নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত হবে—সেটাই প্রত্যাশিত। এখন থেকে কোনো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কাজে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি হবে না—এই নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর সর্বোচ্চ মহল থেকেও টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। তাতে যে একেবারে কাজ হয়নি, তা নয়। বিশেষ করে, বছরের প্রথম দিকে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বেপরোয়া রূপ নিলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর ছাত্র সংঘর্ষ ও চাঁদাবাজির ঘটনা কমে এলেও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ নিয়ে টেন্ডারবাজির ঘটনা চলতে থাকে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যাবে না।
তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার বাস্তবায়নই বড় কথা। সরকারকে এটা প্রমাণ করতে হবে, যারাই টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর মনোভাব বজায় রাখতে পারছে। কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করা গেলে তা এক ধরনের সতর্কসংকেত হিসেবে কাজ করবে। দলের মধ্যে কেউ কেউ এ ধরনের কিছু করতে চাইলেও সাবধান হয়ে যাবে। মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তাঁদের দায়িত্বসচেতন করেছেন—এটি নিশ্চয়ই ভালো পদক্ষেপ। এখন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে রাখা যাবে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়। বাস্তব কারণেই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। অতএব ‘টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক’ মনোভাব বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই কঠোর অবস্থান বাঞ্ছনীয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দায়িত্বও কম নয়। তাঁরা যদি প্রশ্রয় না দেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিতে সুবিধা করতে পারেন না। একশ্রেণীর কর্মকর্তা বখরা পাওয়ার আশায় দলীয় চাঁদাবাজদের আশকারা দিয়ে থাকেন। এ ধরনের মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে।
মন্ত্রীর নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত হবে—সেটাই প্রত্যাশিত। এখন থেকে কোনো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কাজে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি হবে না—এই নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
No comments