ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও বাধ্যবাধকতার চুক্তি -জলবায়ু সম্মেলন by কুমি নাইডু
শৈশবে একদিন নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের টেলিভিশন সম্প্রচার দেখছিলাম। তখনকার বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ক্রীড়াক্ষেত্রে বয়কটের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে আয়োজিত একটি রাগবি ম্যাচের ঠিক আগে এটি ঘটেছিল। আমার ছোট ভাই ও আমি বিভ্রান্তিতে পড়েছিলাম। আমার ভাইয়ের প্রশ্ন, এই সমাবেশে শ্বেতাঙ্গরা কী করছে? আমরা বুঝতে পারছিলাম না, ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের এ লড়াইয়ে তাদের কী পাওয়ার থাকতে পারে। পরে আমি বুঝেছিলাম, তারা কী চেয়েছিল, তাদের কী দরকার ছিল। তাদের সেই প্রয়োজন, একটি ন্যায়সংগত দুনিয়ায় বাস করা।
১০ বছর পর বর্ণবাদের অবসান ঘটানো হয়। লাখ লাখ মানুষ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারত, কোনো কিছু না-ই বা করতে পারত, কিন্তু তারা লড়াই করেছে।
একই ধরনের ঘটনা এখন ঘটছে জলবায়ু বিষয়ে। জলবায়ু ন্যায়বিচারের ডাকে সব জায়গা থেকে মানুষ একত্র হচ্ছে। এ ডাক কোপেনহেগেন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে একটি ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও আইনগত বাধ্যবাধকতার চুক্তিতে পৌঁছার ডাক।
দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা ছিল, রাষ্ট্রপ্রধানেরা কোপেনহেগেনে যাবেন কি না; জলবায়ু রক্ষায় চুক্তির বিষয়ে আলোচনার দায় তাঁরা নিজের কাঁধে নিতে চাইবেন কি না। এখন ১২০ জন রাষ্ট্রপ্রধান কোপেনহেগেনে যাচ্ছেন। এটি অনেকাংশে জনগণের ক্রমবর্ধনশীল জোটবদ্ধতার প্রতিক্রিয়া। সারা দুনিয়ার ধনী-গরিব, বৈশ্বিক উত্তর-দক্ষিণ অংশের জনগণ উপলব্ধি করছে, আমাদের সাধারণ ভাগ্য একে অন্যের সঙ্গে বাঁধা; আর সে ভাগ্য নির্ধারিত হবে এমন গুরুতর হুমকিতে আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব তার ভিত্তিতে।
আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানেরা জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিজ্ঞানকে বদলাতে পারেন না, এটি তাঁদের কাছে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে; যদিও অনেকে তা বদলানোর চেষ্টা করে চলেছেন। এখন স্পষ্ট, তাঁদের যা বদলাতে হবে, তা হলো রাজনীতি।
সংবাদ বেরোচ্ছে, অনেক রাষ্ট্রপ্রধান পরিকল্পিত সময়ের আগে আসার এবং শেষ পর্যন্ত থাকার ইচ্ছা পোষণ করছেন। সবাই এ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ চান, তাঁদের যাঁরা নির্বাচন করেছেন, সেসব ভোটারকে দেখাতে চান, তাঁরা জলবায়ু-বিশৃঙ্খলা বিষয়ে কতটা আন্তরিক। কিন্তু কোপেনহেগেন তো রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা বাড়ানোর সুযোগ নেওয়ার জায়গা নয়।
এর সফলতা মোটা দাগে তিনটি মাপকাঠিতে পরিমাপ করা হবে: চুক্তিটি কি ন্যায্য হবে? ন্যায্য হতে হলে ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের কার্বন ঋণ ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব স্বীকার করতে হবে। অর্থাত্ ক্রমোষ্ণ পৃথিবীর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানো এবং এর অনিবার্য ক্ষতিকর প্রভাবের তীব্রতা কমাতে উন্নয়নশীল বিশ্বকে অর্থ সরবরাহ করতে হবে।
এটি কি উচ্চাভিলাষী হবে? এর মানে হলো, বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ২০১৫ সালের পর আর বাড়তে দেওয়া যাবে না; শিল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০২০ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে সম্মত হতে হবে এবং তাদের প্রচলিত ব্যবসার ধরন থেকে সরে যেতে হবে।
এটি কি বাধ্যবাধকতার হবে? আইনগত বাধ্যবাধকতার? জাতিসংঘের আলোচনার ইতিহাসে রাজনৈতিক চুক্তির ভূরি ভূরি দেখা মিলবে, যেগুলোর মূল্য দেনদরবারের জন্য ব্যয়িত কার্বন বা বিমান ভাড়ার অর্থমূল্যেরও সমান নয়।
দুনিয়াকে অধিকতর ন্যায়ভিত্তিক করার জন্য ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও বাধ্যবাধকতার চুক্তি এক অবিশ্বাস্য সুযোগ। এমন চুক্তি করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব-অর্থনীতিতে প্রায় ৩০ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতে পারে। পরিচ্ছন্ন, নির্ভরযোগ্য ও নবায়ন-উপযোগী জ্বালানি প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ২০০ কোটি মানুষের জ্বালানি-দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হতে পারে।
নানা ধরনের বায়ুদূষণের অবসান ঘটিয়ে সবার স্বাস্থ্যসুবিধা বয়ে আনা যেতে পারে। পৃথিবীর অনেক অশান্ত স্থানে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক হতে পারে। সম্পদকেন্দ্রিক লড়াই ও জ্বালানি রাজনীতিকে বিশ্বের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বাইরে নিয়ে যেতেও সহায়ক হতে পারে।
ন্যায়বিচার ও শান্তি অত্যাবশ্যক। নিয়ন্ত্রণহীন জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অবিশ্বাস্য চাপ তৈরি করবে এবং পানীয় জল, খাদ্য উত্পাদন ও বাসযোগ্য ভূমির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হবে দরিদ্ররা। পৃথিবীর ৬৮০ কোটি মানুষের কেউই বাদ যাবে না।
বিজ্ঞান জানাচ্ছে, আমরা যদি এখনই সক্রিয় না হই, আজ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ছিন্নমূল হবে। আমাদের সন্তানেরা, তাদের সন্তানেরা জলবায়ুর ফল ভোগ করবে। বৈজ্ঞানিক মতামত জোরদার হচ্ছে, এর ফলে পৃথিবী কার্যত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
কোপেনহেগেনে একটি ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও বাধ্যবাধকতার চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব। আলোচনায় সে চেষ্টাই করতে হবে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, তা হবে না; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এ পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এমন কথা বলার সময় যে বিষয়টি তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, তা হলো, যাঁরা এখন দায়িত্ব পালন করছেন, ক্ষমতার মালিক তাঁরা নন; যাঁরা তাঁদের সেখানে বসিয়েছেন তাঁরাই মালিক।
আমাদের নেতাদের বুঝতে হবে, বিশ্ববাসী তাঁদের ওপর চোখ রাখছে। আমরা বুঝি, প্রকৃতি দেনদরবার করে না। আমরা বুঝি, আমরা বিজ্ঞান বদলাতে পারি না। আমাদের দাবি, রাজনীতিবিদেরা রাজনীতি বদলান। তা না হলে তাঁদের অবশ্যই বুঝতে হবে, রাজনীতিবিদদের বদলানোর ক্ষমতা আমাদের আছে।
বিশ্বাসভিত্তিক সংঘ, ট্রেড ইউনিয়নবাদীরা, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক আন্দোলন, নারী সংগঠন, সম্প্রদায়ভিত্তিক সংঘ ও প্রগতিশীল বাণিজ্য সংঘ এমন সব দাবি তুলছে। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের নেতারা তাঁদের কথা শোনাবেন এবং সাহসের সঙ্গে সক্রিয়তা দেখাবেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব।
কুমি নাইডু: পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের নির্বাহী পরিচালক।
১০ বছর পর বর্ণবাদের অবসান ঘটানো হয়। লাখ লাখ মানুষ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারত, কোনো কিছু না-ই বা করতে পারত, কিন্তু তারা লড়াই করেছে।
একই ধরনের ঘটনা এখন ঘটছে জলবায়ু বিষয়ে। জলবায়ু ন্যায়বিচারের ডাকে সব জায়গা থেকে মানুষ একত্র হচ্ছে। এ ডাক কোপেনহেগেন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে একটি ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও আইনগত বাধ্যবাধকতার চুক্তিতে পৌঁছার ডাক।
দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা ছিল, রাষ্ট্রপ্রধানেরা কোপেনহেগেনে যাবেন কি না; জলবায়ু রক্ষায় চুক্তির বিষয়ে আলোচনার দায় তাঁরা নিজের কাঁধে নিতে চাইবেন কি না। এখন ১২০ জন রাষ্ট্রপ্রধান কোপেনহেগেনে যাচ্ছেন। এটি অনেকাংশে জনগণের ক্রমবর্ধনশীল জোটবদ্ধতার প্রতিক্রিয়া। সারা দুনিয়ার ধনী-গরিব, বৈশ্বিক উত্তর-দক্ষিণ অংশের জনগণ উপলব্ধি করছে, আমাদের সাধারণ ভাগ্য একে অন্যের সঙ্গে বাঁধা; আর সে ভাগ্য নির্ধারিত হবে এমন গুরুতর হুমকিতে আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব তার ভিত্তিতে।
আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানেরা জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিজ্ঞানকে বদলাতে পারেন না, এটি তাঁদের কাছে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে; যদিও অনেকে তা বদলানোর চেষ্টা করে চলেছেন। এখন স্পষ্ট, তাঁদের যা বদলাতে হবে, তা হলো রাজনীতি।
সংবাদ বেরোচ্ছে, অনেক রাষ্ট্রপ্রধান পরিকল্পিত সময়ের আগে আসার এবং শেষ পর্যন্ত থাকার ইচ্ছা পোষণ করছেন। সবাই এ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ চান, তাঁদের যাঁরা নির্বাচন করেছেন, সেসব ভোটারকে দেখাতে চান, তাঁরা জলবায়ু-বিশৃঙ্খলা বিষয়ে কতটা আন্তরিক। কিন্তু কোপেনহেগেন তো রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা বাড়ানোর সুযোগ নেওয়ার জায়গা নয়।
এর সফলতা মোটা দাগে তিনটি মাপকাঠিতে পরিমাপ করা হবে: চুক্তিটি কি ন্যায্য হবে? ন্যায্য হতে হলে ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের কার্বন ঋণ ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব স্বীকার করতে হবে। অর্থাত্ ক্রমোষ্ণ পৃথিবীর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানো এবং এর অনিবার্য ক্ষতিকর প্রভাবের তীব্রতা কমাতে উন্নয়নশীল বিশ্বকে অর্থ সরবরাহ করতে হবে।
এটি কি উচ্চাভিলাষী হবে? এর মানে হলো, বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ২০১৫ সালের পর আর বাড়তে দেওয়া যাবে না; শিল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০২০ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে সম্মত হতে হবে এবং তাদের প্রচলিত ব্যবসার ধরন থেকে সরে যেতে হবে।
এটি কি বাধ্যবাধকতার হবে? আইনগত বাধ্যবাধকতার? জাতিসংঘের আলোচনার ইতিহাসে রাজনৈতিক চুক্তির ভূরি ভূরি দেখা মিলবে, যেগুলোর মূল্য দেনদরবারের জন্য ব্যয়িত কার্বন বা বিমান ভাড়ার অর্থমূল্যেরও সমান নয়।
দুনিয়াকে অধিকতর ন্যায়ভিত্তিক করার জন্য ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও বাধ্যবাধকতার চুক্তি এক অবিশ্বাস্য সুযোগ। এমন চুক্তি করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব-অর্থনীতিতে প্রায় ৩০ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতে পারে। পরিচ্ছন্ন, নির্ভরযোগ্য ও নবায়ন-উপযোগী জ্বালানি প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ২০০ কোটি মানুষের জ্বালানি-দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হতে পারে।
নানা ধরনের বায়ুদূষণের অবসান ঘটিয়ে সবার স্বাস্থ্যসুবিধা বয়ে আনা যেতে পারে। পৃথিবীর অনেক অশান্ত স্থানে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক হতে পারে। সম্পদকেন্দ্রিক লড়াই ও জ্বালানি রাজনীতিকে বিশ্বের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বাইরে নিয়ে যেতেও সহায়ক হতে পারে।
ন্যায়বিচার ও শান্তি অত্যাবশ্যক। নিয়ন্ত্রণহীন জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অবিশ্বাস্য চাপ তৈরি করবে এবং পানীয় জল, খাদ্য উত্পাদন ও বাসযোগ্য ভূমির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হবে দরিদ্ররা। পৃথিবীর ৬৮০ কোটি মানুষের কেউই বাদ যাবে না।
বিজ্ঞান জানাচ্ছে, আমরা যদি এখনই সক্রিয় না হই, আজ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ছিন্নমূল হবে। আমাদের সন্তানেরা, তাদের সন্তানেরা জলবায়ুর ফল ভোগ করবে। বৈজ্ঞানিক মতামত জোরদার হচ্ছে, এর ফলে পৃথিবী কার্যত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
কোপেনহেগেনে একটি ন্যায্য, উচ্চাভিলাষী ও বাধ্যবাধকতার চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব। আলোচনায় সে চেষ্টাই করতে হবে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, তা হবে না; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এ পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এমন কথা বলার সময় যে বিষয়টি তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, তা হলো, যাঁরা এখন দায়িত্ব পালন করছেন, ক্ষমতার মালিক তাঁরা নন; যাঁরা তাঁদের সেখানে বসিয়েছেন তাঁরাই মালিক।
আমাদের নেতাদের বুঝতে হবে, বিশ্ববাসী তাঁদের ওপর চোখ রাখছে। আমরা বুঝি, প্রকৃতি দেনদরবার করে না। আমরা বুঝি, আমরা বিজ্ঞান বদলাতে পারি না। আমাদের দাবি, রাজনীতিবিদেরা রাজনীতি বদলান। তা না হলে তাঁদের অবশ্যই বুঝতে হবে, রাজনীতিবিদদের বদলানোর ক্ষমতা আমাদের আছে।
বিশ্বাসভিত্তিক সংঘ, ট্রেড ইউনিয়নবাদীরা, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক আন্দোলন, নারী সংগঠন, সম্প্রদায়ভিত্তিক সংঘ ও প্রগতিশীল বাণিজ্য সংঘ এমন সব দাবি তুলছে। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের নেতারা তাঁদের কথা শোনাবেন এবং সাহসের সঙ্গে সক্রিয়তা দেখাবেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব।
কুমি নাইডু: পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের নির্বাহী পরিচালক।
No comments