বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি শিল্পোদ্যোক্তারা- ঢাকায় তিন দিনের জাপান বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানি শিল্পোদ্যোক্তারা। তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতেও আগ্রহী। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাপান বাণিজ্য মেলা।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন। মেলার আয়োজক জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত তামোতসু শিনোতসুকা, জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান তোশিহিতো তাম্বা এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আনিসুল হক।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প খাতে উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে শিল্পনীতিতে সুযোগ রাখা হচ্ছে। তিনি দেশের জাহাজ নির্মাণ, সিরামিক, অটোমোবাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক, পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগ করার জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এটি চতুর্থ জাপান বাণিজ্য মেলা। মেলা চলবে কাল শনিবার পর্যন্ত। মেলায় জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশি এজেন্ট এবং জাপানে পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
এর আগে গত বুধবার এফবিসিসিআই ও জেবিসিসিইসির যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে জেবিসিসিইসির ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জাপানের শিল্পোদ্যোক্তারা অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে অভিহিত করেন।
উদ্যোক্তারা পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, এ দেশে অফিস স্থাপন করতে নয়টি সংস্থা থেকে অনুমতি নিতে হয়। একটি ব্যাংক হিসাব খুলতে তিন মাস লাগে। ভিসা ও কাজের অনুমতি পেতে তিন মাস পর্যন্ত লাগে।
তবে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুত্ ও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার সমাধান করলে জাপান থেকে প্রচুর বিনিয়োগ আসবে বলেও উদ্যোক্তারা উল্লেখ করেন।
জাপানি উদ্যোক্তারা আরও জানান, বাংলাদেশে সস্তায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই এ দেশে শ্রমঘন শিল্প স্থাপনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শ্রমিকদের খুব সহজেই প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি রয়েছে।
বাংলাদেশে শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাপানি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী—এ কথা জানিয়ে আরও বলা হয়, বিদ্যুত্ ঘাটতি এ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করে।
বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা আরও বলেন, জাপানের ভিসার জন্য নিরাপত্তা প্রত্যয়নপত্র পেতে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যদিও এ জাতীয় কাগজপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া থাকলেও তা অনুসরণ করা হয় না। তাঁরা এ বিষয়ে সরকারকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন। মেলার আয়োজক জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত তামোতসু শিনোতসুকা, জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান তোশিহিতো তাম্বা এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আনিসুল হক।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প খাতে উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে শিল্পনীতিতে সুযোগ রাখা হচ্ছে। তিনি দেশের জাহাজ নির্মাণ, সিরামিক, অটোমোবাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক, পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগ করার জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এটি চতুর্থ জাপান বাণিজ্য মেলা। মেলা চলবে কাল শনিবার পর্যন্ত। মেলায় জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশি এজেন্ট এবং জাপানে পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
এর আগে গত বুধবার এফবিসিসিআই ও জেবিসিসিইসির যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে জেবিসিসিইসির ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জাপানের শিল্পোদ্যোক্তারা অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে অভিহিত করেন।
উদ্যোক্তারা পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, এ দেশে অফিস স্থাপন করতে নয়টি সংস্থা থেকে অনুমতি নিতে হয়। একটি ব্যাংক হিসাব খুলতে তিন মাস লাগে। ভিসা ও কাজের অনুমতি পেতে তিন মাস পর্যন্ত লাগে।
তবে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুত্ ও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার সমাধান করলে জাপান থেকে প্রচুর বিনিয়োগ আসবে বলেও উদ্যোক্তারা উল্লেখ করেন।
জাপানি উদ্যোক্তারা আরও জানান, বাংলাদেশে সস্তায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই এ দেশে শ্রমঘন শিল্প স্থাপনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শ্রমিকদের খুব সহজেই প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি রয়েছে।
বাংলাদেশে শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাপানি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী—এ কথা জানিয়ে আরও বলা হয়, বিদ্যুত্ ঘাটতি এ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করে।
বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা আরও বলেন, জাপানের ভিসার জন্য নিরাপত্তা প্রত্যয়নপত্র পেতে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যদিও এ জাতীয় কাগজপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া থাকলেও তা অনুসরণ করা হয় না। তাঁরা এ বিষয়ে সরকারকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান।
No comments