চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক সংগঠন -শ্রমিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রণহীন চলতে পারে না
সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের অভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে অপ্রয়োজনীয় শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা তিনটি শ্রমিক সংগঠনের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর আবারও অস্থির হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বন্দরে শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৫টি। নতুন তিনটি সংগঠনের মধ্যে একটি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ এম আবদুল লতিফ এবং অপরটি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থনপুষ্ট। এতগুলো শ্রমিক সংগঠনের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সংগঠন থেকে বিক্ষিপ্তভাবে নানামুখী দাবিদাওয়া উত্থাপিত হয়েছে, যার ফলে শ্রমিকের স্বার্থরক্ষার চেয়ে বিশৃঙ্খলাই হয়েছে বেশি; বাধাগ্রস্ত হয়েছে বন্দরের কর্মকাণ্ড।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা দুটিতে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল, বিশৃঙ্খলা কমিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে গতিশীল করা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গত বছরের ৪ মে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় অধ্যাদেশটি আর কার্যকর নেই। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এ বন্দরে কর্মরত প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর স্বার্থে শ্রমিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা স্বীকার করি। তবে তা কোনোভাবেই লাগামহীন ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠতে পারে না।
শ্রমিক সংগঠনের প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা বা কল্যাণসাধন। অতীতে সব সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের স্বার্থে তল্পিবাহক নতুন নতুন শ্রমিক সংগঠন তৈরি করেছেন। ফলে ফিবছর শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা বেড়েই চলে, যেগুলো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি ছাড়া শ্রমিকদের কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখেনি।
চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান বন্দর। জলপথে দেশের বেশির ভাগ আমদানি-রপ্তানির পণ্য ওঠানো-নামানো হয় এ বন্দরে। দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের অচলাবস্থা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কোনো মহল যেন বন্দরকে জিম্মি করে কোনো সংকীর্ণ মতলব হাসিল করতে না পারে, সেটা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে। বন্দরকে গতিশীল করতে শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। আমরা সুস্থ একটি ট্রেড ইউনিয়ন দেখতে চাই, যেটি সর্বতোভাবে শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়েই কাজ করবে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা দুটিতে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল, বিশৃঙ্খলা কমিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে গতিশীল করা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গত বছরের ৪ মে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় অধ্যাদেশটি আর কার্যকর নেই। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এ বন্দরে কর্মরত প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর স্বার্থে শ্রমিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা স্বীকার করি। তবে তা কোনোভাবেই লাগামহীন ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠতে পারে না।
শ্রমিক সংগঠনের প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা বা কল্যাণসাধন। অতীতে সব সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের স্বার্থে তল্পিবাহক নতুন নতুন শ্রমিক সংগঠন তৈরি করেছেন। ফলে ফিবছর শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা বেড়েই চলে, যেগুলো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি ছাড়া শ্রমিকদের কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখেনি।
চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান বন্দর। জলপথে দেশের বেশির ভাগ আমদানি-রপ্তানির পণ্য ওঠানো-নামানো হয় এ বন্দরে। দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের অচলাবস্থা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কোনো মহল যেন বন্দরকে জিম্মি করে কোনো সংকীর্ণ মতলব হাসিল করতে না পারে, সেটা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে। বন্দরকে গতিশীল করতে শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। আমরা সুস্থ একটি ট্রেড ইউনিয়ন দেখতে চাই, যেটি সর্বতোভাবে শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়েই কাজ করবে।
No comments