প্রযুক্তি শিক্ষা
দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা ও কর্মসংস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়নে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো বিশাল অবদান রাখছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বর্তমানে ৫০টি সরকারি ও ১০৪টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দুই শিফট চালু রয়েছে। প্রতিবছর সরকারি পলিটেকনিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি পলিটেকনিকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এসব শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ থেকে বঞ্চিত। গাজীপুরে অবস্থিত ডুয়েট ছাড়া অন্য কোনো সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেই। ডুয়েটে আসনসংখ্যা মাত্র ৪৪০, যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এই স্বল্প আসন ও অন্য কোনো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন না থাকায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। যেখানে ১৯টি পলিটেকনিকের জন্য ডুয়েট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, এখন ৫০টি পলিটেকনিকের জন্য সেটিই রয়ে গেছে। যে কারণে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিশ্রম, সময় ও মেধা ব্যয় করে পরের ধাপে এই মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই পলিটেকনিক থেকে পাস করা ছাত্রদের জন্য সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনের ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. সবুজ মাহমুদ
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
মো. সবুজ মাহমুদ
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
No comments