পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো শুল্কসুবিধা আদায়, বিদেশে অবাধে শ্রমিক প্রেরণ
উন্নত দেশগুলোয় পণ্য রপ্তানিতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে যে বিশেষ শুল্কসুবিধা দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের প্রাপ্য সুবিধা যাতে কোনো অংশেই তাদের চেয়ে কম না হয়, সে জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হবে।
পাশাপাশি সেবা খাতের ক্ষেত্রে আরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক যাতে বিভিন্ন দেশে পাঠানো যায়, সে চেষ্টাও করা হবে।
মূলত এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চেষ্টা করবে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) নিয়ে এ ব্যাপারে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরি করার।
আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেনেভায় অনুষ্ঠেয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে যে প্রতিনিধিদল যাবে, তার নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। আর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর আফ্রিকার তাঞ্জানিয়ায় অনুষ্ঠেয় স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়েরও একটি বৈঠক হবে। এতেও ফারুক খানের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধিদল যোগ দেবে।
উভয় বৈঠকে বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রেখে দেশীয় অবস্থান তুলে ধরা ও করণীয় নির্ধারণের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। কমিটি সুপারিশমালাসংবলিত একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
কোর কমিটির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের গতকাল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডব্লিউটিওর শর্ত অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশের ৯৭ শতাংশ পণ্য উন্নত দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার-সুবিধা পাওয়ার কথা। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো যাতে অন্যায়ের শিকার না হয়, সে জন্য জেনেভার সম্মেলনে দরকষাকষি করতে হবে।
মজিবুর রহমান আরও বলেন, উন্নত দেশে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার দিক থেকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ যাতে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে দরকষাকষি করা হবে।
বৈঠকে বাণিজ্যসচিব ফিরোজ আহমেদ, অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব মোস্তাফা মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হকসহ কোর কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মোস্তফা আবিদ খান, ডব্লিউটিও সেলের উপপরিচালক নেসার আহমেদ, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রধান নির্বাহী এম এ তসলিম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেট্রো চেম্বারের সভাপতি আবদুল হাফিজ চৌধুরী।
মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মূল দরকষাকষির জায়গাটা হচ্ছে ৯৭ শতাংশ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে যাতে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো থাকে। তা ছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ব্যাপারে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ শুল্কসুবিধার প্রস্তাব রয়েছে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সেবা খাতের আওতায় আরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারেও চেষ্টা থাকবে।
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে হংকংয়ে ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পাশাপাশি সেবা খাতের ক্ষেত্রে আরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক যাতে বিভিন্ন দেশে পাঠানো যায়, সে চেষ্টাও করা হবে।
মূলত এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চেষ্টা করবে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) নিয়ে এ ব্যাপারে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরি করার।
আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেনেভায় অনুষ্ঠেয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে যে প্রতিনিধিদল যাবে, তার নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। আর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর আফ্রিকার তাঞ্জানিয়ায় অনুষ্ঠেয় স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়েরও একটি বৈঠক হবে। এতেও ফারুক খানের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধিদল যোগ দেবে।
উভয় বৈঠকে বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রেখে দেশীয় অবস্থান তুলে ধরা ও করণীয় নির্ধারণের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। কমিটি সুপারিশমালাসংবলিত একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
কোর কমিটির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের গতকাল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডব্লিউটিওর শর্ত অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশের ৯৭ শতাংশ পণ্য উন্নত দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার-সুবিধা পাওয়ার কথা। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো যাতে অন্যায়ের শিকার না হয়, সে জন্য জেনেভার সম্মেলনে দরকষাকষি করতে হবে।
মজিবুর রহমান আরও বলেন, উন্নত দেশে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার দিক থেকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ যাতে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে দরকষাকষি করা হবে।
বৈঠকে বাণিজ্যসচিব ফিরোজ আহমেদ, অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব মোস্তাফা মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হকসহ কোর কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মোস্তফা আবিদ খান, ডব্লিউটিও সেলের উপপরিচালক নেসার আহমেদ, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রধান নির্বাহী এম এ তসলিম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেট্রো চেম্বারের সভাপতি আবদুল হাফিজ চৌধুরী।
মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মূল দরকষাকষির জায়গাটা হচ্ছে ৯৭ শতাংশ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে যাতে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো থাকে। তা ছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ব্যাপারে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ শুল্কসুবিধার প্রস্তাব রয়েছে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সেবা খাতের আওতায় আরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারেও চেষ্টা থাকবে।
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে হংকংয়ে ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
No comments