জ্বালানি খাতের জন্য তহবিল উদ্যোগটি অবশ্যই কার্যকর করা প্রয়োজন
বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ৭০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে যে খবর বেরিয়েছে, সেটি একটি সুখবর বলা যায়। কারণ এমন একটি তহবিল থাকলে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতের ক্রমবর্ধমান সমস্যা লাঘবে দাতানির্ভরতার পরিবর্তে আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক সামর্থ্য সৃষ্টি হবে।
বিদ্যুত্-জ্বালানির চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ার সমান্তরালে উত্পাদন বাড়েনি, বাড়ছে না। ফলে জ্বালানিসংকট বেড়ে চলেছে। এই খাতে বিনিয়োগের অভাবই মূলত এর কারণ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি দাতাদের ওপর নির্ভরশীলতা একটি বড় বাধা; কারণ নির্ভরশীলতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দাতাদের নানা রকম চাপিয়ে দেওয়া শর্ত, যা সব সময় প্রাসঙ্গিক নয়। কালক্ষেপণও একটি বড় বাধা। মোটের ওপর, বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতে দাতানির্ভরতার অবসান ঘটানো এই খাতের সমস্যা দূরীকরণের পথে একটি প্রাথমিক ও জরুরি পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হতে পারে।
খবরে প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক, ঋণদানকারী সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি—উভয় পর্যায়ে বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে পারবেন। বর্তমান সরকার বিদ্যুত্ খাতের জন্য যে রূপকল্প প্রণয়ন করেছে তা বিবেচনায় নিলে মনে হয়, সরকারি পর্যায়েই এ খাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। শুধু নতুন নতুন উত্পাদনকেন্দ্র স্থাপনই নয়, বিদ্যমান উত্পাদন ও সঞ্চালন-সরবরাহব্যবস্থার প্রযুক্তিগত হালনাগাদকরণসহ সামগ্রিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও এ খাতে বিনিয়োগ উত্সাহিত করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। পরিকল্পিত বিশেষ তহবিলটির গঠনকাঠামো ও এর অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা কেমন হবে তা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসানকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই কমিটি এমনভাবে সবকিছু নির্ধারণ করবে যাতে তহবিলটি সর্বোচ্চ মাত্রায় ফলপ্রসূ হতে পারে।
উল্লিখিত তহবিলের অর্থ সংগ্রহের একটি উত্স ধরা হয়েছে শেয়ারবাজারকে। এটি অবশ্যই একটি বড় উত্স হতে পারে; কারণ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিদ্যুত্ খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার রয়েছে, সেগুলোর অবস্থান বেশ ভালো। সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, শেয়ারবাজার থেকে এই তহবিলের জন্য অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, অনিয়ম-দুর্নীতি, অতিরিক্ত লোকবলসহ সামগ্রিক সিস্টেম লসের বিষয়গুলো না থাকলে বিদ্যুত্ খাত বেশ লাভজনক হতে পারে। লাভজনক কোনো খাতের উন্নয়ন বা বৃদ্ধি কেবল বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে আটকে থাকবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তহবিল গঠনের উদ্যোগটি অবশ্যই কার্যকর করা প্রয়োজন।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতের পরিকল্পনাগুলো বাতিল করে এ ধরনের একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, সে রকম কোনো তহবিল তাদের আমলে গঠিত হয়নি। বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগের ক্ষেত্রেও যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
বিদ্যুত্-জ্বালানির চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ার সমান্তরালে উত্পাদন বাড়েনি, বাড়ছে না। ফলে জ্বালানিসংকট বেড়ে চলেছে। এই খাতে বিনিয়োগের অভাবই মূলত এর কারণ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি দাতাদের ওপর নির্ভরশীলতা একটি বড় বাধা; কারণ নির্ভরশীলতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দাতাদের নানা রকম চাপিয়ে দেওয়া শর্ত, যা সব সময় প্রাসঙ্গিক নয়। কালক্ষেপণও একটি বড় বাধা। মোটের ওপর, বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতে দাতানির্ভরতার অবসান ঘটানো এই খাতের সমস্যা দূরীকরণের পথে একটি প্রাথমিক ও জরুরি পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হতে পারে।
খবরে প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক, ঋণদানকারী সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি—উভয় পর্যায়ে বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে পারবেন। বর্তমান সরকার বিদ্যুত্ খাতের জন্য যে রূপকল্প প্রণয়ন করেছে তা বিবেচনায় নিলে মনে হয়, সরকারি পর্যায়েই এ খাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। শুধু নতুন নতুন উত্পাদনকেন্দ্র স্থাপনই নয়, বিদ্যমান উত্পাদন ও সঞ্চালন-সরবরাহব্যবস্থার প্রযুক্তিগত হালনাগাদকরণসহ সামগ্রিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও এ খাতে বিনিয়োগ উত্সাহিত করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। পরিকল্পিত বিশেষ তহবিলটির গঠনকাঠামো ও এর অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা কেমন হবে তা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসানকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই কমিটি এমনভাবে সবকিছু নির্ধারণ করবে যাতে তহবিলটি সর্বোচ্চ মাত্রায় ফলপ্রসূ হতে পারে।
উল্লিখিত তহবিলের অর্থ সংগ্রহের একটি উত্স ধরা হয়েছে শেয়ারবাজারকে। এটি অবশ্যই একটি বড় উত্স হতে পারে; কারণ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিদ্যুত্ খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার রয়েছে, সেগুলোর অবস্থান বেশ ভালো। সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, শেয়ারবাজার থেকে এই তহবিলের জন্য অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, অনিয়ম-দুর্নীতি, অতিরিক্ত লোকবলসহ সামগ্রিক সিস্টেম লসের বিষয়গুলো না থাকলে বিদ্যুত্ খাত বেশ লাভজনক হতে পারে। লাভজনক কোনো খাতের উন্নয়ন বা বৃদ্ধি কেবল বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে আটকে থাকবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তহবিল গঠনের উদ্যোগটি অবশ্যই কার্যকর করা প্রয়োজন।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতের পরিকল্পনাগুলো বাতিল করে এ ধরনের একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, সে রকম কোনো তহবিল তাদের আমলে গঠিত হয়নি। বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগের ক্ষেত্রেও যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
No comments