চলছে ম্যারাডোনার কাটাছেঁড়া
খাদে পড়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার সঙ্গে কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনা যেন আরও বেশি করেই খাদে পড়ে গেছেন। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে না পারার শঙ্কা ফুটবলপাগল দেশটির। আর্জেন্টিনার এই করুণ অবস্থার দায়টা পড়ছে কোচ ম্যারাডোনার ঘাড়ে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে চলছে কোচ ম্যারাডোনার কাটাছেঁড়া।
আলফিও বাসিলের কাছ থেকে ম্যারাডোনা যখন দায়িত্ব বুঝে নেন, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় আর্জেন্টিনা তখন ছিল তৃতীয় স্থানে। অধঃপতিত হতে হতে এখন তারা পঞ্চম স্থানে। ম্যারাডোনার অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা হারল চারটি ম্যাচ।
ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার ’৮৬-এর বিশ্বকাপ জয়ের রূপকার হতে পারেন। কিন্তু খেলোয়াড় ম্যারাডোনা যতটা উজ্জ্বল, কোচ ম্যারাডোনা যেন ততটাই মলিন। ক্রীড়া দৈনিক ওলে লিখেছে সেটাই, ‘একজন কোচের পক্ষে যত ভুল করা সম্ভব এর সবই করেছে ম্যারাডোনা। আর এগুলো খেলোয়াড়দের অনুত্সাহিত করেছে।’ দি লা ন্যাসিওন পত্রিকাটিরও ওই একই সুর, ‘এত এত ভুল করা কোচের জন্য সময়টা খুব কঠিন।’
আর্জেন্টিনার সর্বাধিক বিক্রীত পত্রিকা ক্লারিন সমালোচনার সঙ্গে ম্যারাডোনার এখন কী করতে হবে সেটাও জানিয়ে দিয়েছে। ‘গহিন গুহার দুয়ারে’ শিরোনাম দিয়ে তারা লিখেছে, ম্যারাডোনাকে পেরু বা উরুগুয়ের বিপক্ষে আর পা হড়কালে চলবে না।
১৯৯৪-১৯৯৫ পর্যন্ত যখন ডোপ নেওয়ার দায়ে বহিষ্কৃত ছিলেন, নিচু সারির ক্লাব মাদিউ দে করিয়েন্তেস ও রেসিং ক্লাব দে অ্যাভেল্লানেদাকে অল্প সময়ের জন্য কোচিং করিয়েছেন। এই দুটি দলকে ২৩ ম্যাচ কোচিং করিয়ে জয় দেখেছিলেন মাত্র ৩ বার। হেরেছেন ৮ ম্যাচে, ১২টি ম্যাচ ড্র।
ফুত্কারে উড়ে যাওয়ার মতো হালকা এই সিভি নিয়েও পূর্বসূরি ড্যানিয়েল পাসারেলা, মার্সেলো বিয়েলসা, হোসে পেকারম্যান আর আলফিও বাসিলেদের চেয়ে দ্বিগুণ বেতন পাচ্ছেন ম্যারাডোনা। কিন্তু তাঁর দলের অবস্থা? গত দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনার খেলা দেখে অনেকেই বলেছেন—দিগ্ভ্রান্ত অগোছানো একটি দল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬০ জন খেলোয়াড়কে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দলে ডেকেছেন। চেষ্টা ছিল গোছানো একটি দল দাঁড় করাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থই বলতে হবে। ম্যারাডোনার দলের দুর্বলতম জায়গা মনে হয় রক্ষণভাগ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত ছয় ম্যাচে ১৪টি গোল খেয়েছে তাঁর দল। তবে যেখানে আর যেভাবেই অগোছানো হোক—সত্যটা এই, টাকার প্রতিদান দিতে পারেননি আর্জেন্টিনার মহাতারকা।
ম্যারাডোনা অবশ্য আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমের সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। খেলোয়াড়ি জীবনে যেমন ডাকাবুকো ছিলেন, এখনো তেমনই আছেন তিনি। ‘১৫ বছর বয়স থেকে কাউকে ভয় পাই না আমি। এখন আমার ৪৮ এবং ওদের (সংবাদমাধ্যম) সঙ্গে লড়াই চলবেই’—বলেছেন মাসে ১ লাখ ডলার বেতন পাওয়া আর্জেন্টাইন কোচ।
আলফিও বাসিলের কাছ থেকে ম্যারাডোনা যখন দায়িত্ব বুঝে নেন, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় আর্জেন্টিনা তখন ছিল তৃতীয় স্থানে। অধঃপতিত হতে হতে এখন তারা পঞ্চম স্থানে। ম্যারাডোনার অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা হারল চারটি ম্যাচ।
ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার ’৮৬-এর বিশ্বকাপ জয়ের রূপকার হতে পারেন। কিন্তু খেলোয়াড় ম্যারাডোনা যতটা উজ্জ্বল, কোচ ম্যারাডোনা যেন ততটাই মলিন। ক্রীড়া দৈনিক ওলে লিখেছে সেটাই, ‘একজন কোচের পক্ষে যত ভুল করা সম্ভব এর সবই করেছে ম্যারাডোনা। আর এগুলো খেলোয়াড়দের অনুত্সাহিত করেছে।’ দি লা ন্যাসিওন পত্রিকাটিরও ওই একই সুর, ‘এত এত ভুল করা কোচের জন্য সময়টা খুব কঠিন।’
আর্জেন্টিনার সর্বাধিক বিক্রীত পত্রিকা ক্লারিন সমালোচনার সঙ্গে ম্যারাডোনার এখন কী করতে হবে সেটাও জানিয়ে দিয়েছে। ‘গহিন গুহার দুয়ারে’ শিরোনাম দিয়ে তারা লিখেছে, ম্যারাডোনাকে পেরু বা উরুগুয়ের বিপক্ষে আর পা হড়কালে চলবে না।
১৯৯৪-১৯৯৫ পর্যন্ত যখন ডোপ নেওয়ার দায়ে বহিষ্কৃত ছিলেন, নিচু সারির ক্লাব মাদিউ দে করিয়েন্তেস ও রেসিং ক্লাব দে অ্যাভেল্লানেদাকে অল্প সময়ের জন্য কোচিং করিয়েছেন। এই দুটি দলকে ২৩ ম্যাচ কোচিং করিয়ে জয় দেখেছিলেন মাত্র ৩ বার। হেরেছেন ৮ ম্যাচে, ১২টি ম্যাচ ড্র।
ফুত্কারে উড়ে যাওয়ার মতো হালকা এই সিভি নিয়েও পূর্বসূরি ড্যানিয়েল পাসারেলা, মার্সেলো বিয়েলসা, হোসে পেকারম্যান আর আলফিও বাসিলেদের চেয়ে দ্বিগুণ বেতন পাচ্ছেন ম্যারাডোনা। কিন্তু তাঁর দলের অবস্থা? গত দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনার খেলা দেখে অনেকেই বলেছেন—দিগ্ভ্রান্ত অগোছানো একটি দল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬০ জন খেলোয়াড়কে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দলে ডেকেছেন। চেষ্টা ছিল গোছানো একটি দল দাঁড় করাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থই বলতে হবে। ম্যারাডোনার দলের দুর্বলতম জায়গা মনে হয় রক্ষণভাগ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত ছয় ম্যাচে ১৪টি গোল খেয়েছে তাঁর দল। তবে যেখানে আর যেভাবেই অগোছানো হোক—সত্যটা এই, টাকার প্রতিদান দিতে পারেননি আর্জেন্টিনার মহাতারকা।
ম্যারাডোনা অবশ্য আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমের সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। খেলোয়াড়ি জীবনে যেমন ডাকাবুকো ছিলেন, এখনো তেমনই আছেন তিনি। ‘১৫ বছর বয়স থেকে কাউকে ভয় পাই না আমি। এখন আমার ৪৮ এবং ওদের (সংবাদমাধ্যম) সঙ্গে লড়াই চলবেই’—বলেছেন মাসে ১ লাখ ডলার বেতন পাওয়া আর্জেন্টাইন কোচ।
No comments