ভাসমান সুপারমার্কেট Èত্রিবেণী'
চেইন শপ, মেগা শপ, সুপার মল, সুপারমার্কেট আরও কত কি! প্যারিস, সাংহাই, ব্যাংকক, নিউইয়র্কের মতো শহরগুলোর আধুনিকতা আর উন্নয়নের সাক্ষ্য দিচ্ছে এসব বিপণিকেন্দ্র। ক্যাপসুল লিফট, চলন্ত সঁিড়ি, ফুড জোন, জিম ওয়ার্ল্ড, এন্টারটেইনমেন্ট আর্থ, সাইবার ক্যাফে, স্পোর্টস জোন, চপার ল্যান্ডিং আরও কত কি সুবিধা এসব অতি আধুনিক বিপণিকেন্দ্রগুলোয়।
এতটা চাকচিক্য না থাকলেও ভারতের কেরালা রাজ্যের Èত্রিবেণী' বিপণিকেন্দ্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অন্তত স্থানীয় লোকজনের কাছে। নামজাদা কোনো শহরের চেৌহদ্দিতে নয়, ত্রিবেণীর অবস্থান খরস্রোতা নদীতে। নদীপথেই ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি করে বেড়ায় এটি। এতে রয়েছে কমপক্ষে দুই হাজার রকমের পণ্য। কেরালার কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দ্বীপে ত্রিবেণী পণ্য বিক্রি করে। এর রয়েছে আটজন কর্মী। কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের লাখো মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান এই বিপণিকেন্দ্র। কী নেই এতে! চাল থেকে শুরু করে প্রসাধনসামগ্রী∏সবই আছে এখানে।
ত্রিবেণী যাত্রা শুরু করে গত ৭ জুন। কনজিউমারফেড (কেরালা স্টেট কনজিউমার কো-অপারেটিভ ফেডারেশন) নামের একটি প্রতিষ্ঠান এটি চালু করেছে।
প্রতিদিন সকাল আটটায় খোলে। বিকিকিনি চলে অনেক রাত পর্যন্ত। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয়। নারী ক্রেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দঁাড়িয়েছে।
কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা এর আগে ডিঙ্গিতে করে অনেকখানি পথ পাড়ি দিয়ে মূল ভূখণ্ডের বিপণিকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে কেনাকাটা করত। এখন ত্রিবেণী তাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এখন আর তাদের মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিতে হয় না। তাদের বাড়ির পাশেই নদীতে প্রতিদিন হাজারো পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয় ত্রিবেণী। এ কারণে গ্রামবাসীর অর্থ ও সময় দুই-ই বঁেচে যায়।
যশোদা নামের এক নারী ক্রেতা বলেন, Èপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে প্রতিদিন বিশালাকার এ নেৌকাটি আমাদের ঘাটে নোঙর করে। এটি একটি বিশাল ব্যাপার।' তিনি বলেন, Èযেখানে আমাদের বাজারে যেতে হয়, সেখানে উল্টো বাজারই আমাদের কাছে ছুটে আসছে। ত্রিবেণী আমাদের কাছ থেকে খুব একটা দামও রাখে না।'
ত্রিবেণীতে রয়েছে একটি কম্পিউটার জোন। যেখানে শিশুদের গেমস খেলার সুযোগ রয়েছে। ত্রিবেণীর ম্যানেজার এ কে অনুপ কম্পিউটারেই তঁার হিসাব-নিকাশ করেন। পণ্য ফুরিয়ে গেলে তা সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় অফিসে তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দেশিকা পাঠান।
ভাসমান সুপারমার্কেটটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজি আর নায়ার বলেন, Èযদি আমরা ত্রিবেণী তৈরি না করতাম, তাহলে কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটি দ্বীপে খুচরা দোকান খুলতে হতো আমাদের।' তিনি বলেন, Èভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলায় আগে থেকেই ছোট ছোট নেৌকায় করে ফল-সবজি বিক্রি হয়ে আসছে। কিন্তু ত্রিবেণীই হয়তো বিশ্বের প্রথম নেৌসুপারমার্কেট। এ স্বীকৃতি পেতে আমরা গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড কতর্ৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।'
রিজি আর নায়ার বলেন, Èভাসমান সুপারমার্কেটের ধারণাটি খুব সহজে বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, ব্যাপারটি ব্যবসায়িকভাবে সফল নাও হতে পারে। কিন্তু আমরা বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা চালাতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলাম। ত্রিবেণী তৈরি করতে তিন বছর সময় লেগেছে।'
এ কে অনুপ জানান, Èত্রিবেণীর কল্যাণে এখন তঁাদের প্রতিদিন ৩০ হাজার রুপি কেনাবেচা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসই এখানে আছে। ক্রেতাদের ফরমায়েশ পেলে ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজের মতো পণ্যও ভবিষ্যতে সরবরাহ করব।' বিবিসি অবলম্বনে মো. মনিরুল ইসলাম।
এতটা চাকচিক্য না থাকলেও ভারতের কেরালা রাজ্যের Èত্রিবেণী' বিপণিকেন্দ্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অন্তত স্থানীয় লোকজনের কাছে। নামজাদা কোনো শহরের চেৌহদ্দিতে নয়, ত্রিবেণীর অবস্থান খরস্রোতা নদীতে। নদীপথেই ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি করে বেড়ায় এটি। এতে রয়েছে কমপক্ষে দুই হাজার রকমের পণ্য। কেরালার কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দ্বীপে ত্রিবেণী পণ্য বিক্রি করে। এর রয়েছে আটজন কর্মী। কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের লাখো মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান এই বিপণিকেন্দ্র। কী নেই এতে! চাল থেকে শুরু করে প্রসাধনসামগ্রী∏সবই আছে এখানে।
ত্রিবেণী যাত্রা শুরু করে গত ৭ জুন। কনজিউমারফেড (কেরালা স্টেট কনজিউমার কো-অপারেটিভ ফেডারেশন) নামের একটি প্রতিষ্ঠান এটি চালু করেছে।
প্রতিদিন সকাল আটটায় খোলে। বিকিকিনি চলে অনেক রাত পর্যন্ত। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয়। নারী ক্রেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দঁাড়িয়েছে।
কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা এর আগে ডিঙ্গিতে করে অনেকখানি পথ পাড়ি দিয়ে মূল ভূখণ্ডের বিপণিকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে কেনাকাটা করত। এখন ত্রিবেণী তাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এখন আর তাদের মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিতে হয় না। তাদের বাড়ির পাশেই নদীতে প্রতিদিন হাজারো পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয় ত্রিবেণী। এ কারণে গ্রামবাসীর অর্থ ও সময় দুই-ই বঁেচে যায়।
যশোদা নামের এক নারী ক্রেতা বলেন, Èপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে প্রতিদিন বিশালাকার এ নেৌকাটি আমাদের ঘাটে নোঙর করে। এটি একটি বিশাল ব্যাপার।' তিনি বলেন, Èযেখানে আমাদের বাজারে যেতে হয়, সেখানে উল্টো বাজারই আমাদের কাছে ছুটে আসছে। ত্রিবেণী আমাদের কাছ থেকে খুব একটা দামও রাখে না।'
ত্রিবেণীতে রয়েছে একটি কম্পিউটার জোন। যেখানে শিশুদের গেমস খেলার সুযোগ রয়েছে। ত্রিবেণীর ম্যানেজার এ কে অনুপ কম্পিউটারেই তঁার হিসাব-নিকাশ করেন। পণ্য ফুরিয়ে গেলে তা সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় অফিসে তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দেশিকা পাঠান।
ভাসমান সুপারমার্কেটটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজি আর নায়ার বলেন, Èযদি আমরা ত্রিবেণী তৈরি না করতাম, তাহলে কুট্টানাদ দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটি দ্বীপে খুচরা দোকান খুলতে হতো আমাদের।' তিনি বলেন, Èভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলায় আগে থেকেই ছোট ছোট নেৌকায় করে ফল-সবজি বিক্রি হয়ে আসছে। কিন্তু ত্রিবেণীই হয়তো বিশ্বের প্রথম নেৌসুপারমার্কেট। এ স্বীকৃতি পেতে আমরা গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড কতর্ৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।'
রিজি আর নায়ার বলেন, Èভাসমান সুপারমার্কেটের ধারণাটি খুব সহজে বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, ব্যাপারটি ব্যবসায়িকভাবে সফল নাও হতে পারে। কিন্তু আমরা বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা চালাতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলাম। ত্রিবেণী তৈরি করতে তিন বছর সময় লেগেছে।'
এ কে অনুপ জানান, Èত্রিবেণীর কল্যাণে এখন তঁাদের প্রতিদিন ৩০ হাজার রুপি কেনাবেচা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসই এখানে আছে। ক্রেতাদের ফরমায়েশ পেলে ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজের মতো পণ্যও ভবিষ্যতে সরবরাহ করব।' বিবিসি অবলম্বনে মো. মনিরুল ইসলাম।
No comments