হঠাত্ আলোচনায় বটগাছ
Èস্বপ্নের মৃতু্য নেই'∏যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ১৯৮০ সালে এক ভাষণে কথাটি বলেছিলেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বেড়াতে এসে ১৯৭২ সালেও এ দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্নের স্মারক হিসেবে রোপণ করেছিলেন একটি বটগাছের চারা। সেই চারাটি এখন ডালপালা ছড়িয়ে মহীরুহ হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের বড় বটগাছটি তঁারই রোপণ করা। অন্তত এটাই প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কেনেডির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে কলাভবনের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে তখন মানুষের ভিড়ে উত্সবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে কেনেডি এবং তঁার প্রথম স্ত্রী জোন কেনেডি কলাভবনের সামনে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেন। এই খবর পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি অবজারভার ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান এ এইচ আহমেদ কামাল বলেন, Èএডওয়ার্ড কেনেডি তঁার আত্মজীবনী লিখছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ সফরের স্মৃতি উলে্লখ করার আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি গত বছর জানুয়ারি মাসে বটগাছটির ছবি তুলে তঁাকে পাঠিয়েছিলাম।'
অধ্যাপক কামাল বলেন, তিনি সেই ছবির একটি ক্যাপশন হিসেবে লিখেছেন, Èতুমি যে গাছটি লাগিয়েছিলে, সেটি অনেক বড় ও শক্তিশালী হয়েছে, কিন্তু এ দেশের গণতন্ত্র এখনো শক্তিশালী হয়নি।'
ইতিহাস বলে, স্বাধীনতাযুদ্ধের আগেও কলাভবনের সামনে একটি বটগাছ ছিল। সেটি রোপণ করা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। এই বটতলায় ছাত্ররা সভা-সমাবেশ করতেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আন্দোলন যাতে আরও ব্যাপক না হয়, সেই চিন্তা থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওই বটগাছটি কেটে ফেলে। এরই স্মারক হিসেবে স্বাধীনতার পর সিনেটর কেনেডি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে এখানে নতুন করে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেন।
তবে বটগাছটি কার লাগানো, তা শনাক্তকারী কোনো চিহ্ন বা সাইনবোর্ড কোথাও নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গাছটি কেনেডির লাগানো∏এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। তাই কোনো চিহ্ন কোথাও দেওয়া হয়নি। তবে এখন একটি সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যাপারে কতর্ৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে।
সেলিমের দাবি: বটগাছটি এখন যেখানে আছে, কেনেডি ঠিক সেখানে গাছটি রোপণ করেননি। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম দাবি করেছেন, কলাভবনের সামনে কেনেডি একটি গাছ লাগিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটি ছিল বর্তমান গাছটি থেকে একটু দূরে ডান পাশে। বর্তমান গাছটি তিনি ও ডাকসুর কয়েকজন নেতা ১৯৭২ সালের শেষের দিকে রোপণ করেছিলেন। কোনো অনুষ্ঠান করে গাছটি রোপণ করা হয়নি। তঁারা কেনেডির রোপণ করা গাছটিকেই স্থানান্তর করেছেন কি না, সে সম্পর্কে সুনির্দষ্টি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
কেনেডির মৃতু্যতে শোক: ইউএনবি জানায়, মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শানি্ততে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। কেনেডির কন্যা কারা কেনেডি এলেনের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সিনেটর কেনেডি ছিলেন একজন মহান ও পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং ন্যায়নীতির ক্ষেত্রে অতুলনীয়। তিনি বলেন, Èসিনেটর কেনেডির মৃতু্যতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।' ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় কেনেডির সঙ্গে তঁার প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতি স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কেনেডির সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ছিল তঁার অকুণ্ঠ সমর্থন।
বাসস জানায়, কেনেডির মৃতু্যতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এডওয়ার্ড কেনেডির স্মরণে একটি শোকবই খুলেছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শোকবই সবার জন্য খোলা থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের বড় বটগাছটি তঁারই রোপণ করা। অন্তত এটাই প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কেনেডির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে কলাভবনের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে তখন মানুষের ভিড়ে উত্সবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে কেনেডি এবং তঁার প্রথম স্ত্রী জোন কেনেডি কলাভবনের সামনে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেন। এই খবর পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি অবজারভার ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান এ এইচ আহমেদ কামাল বলেন, Èএডওয়ার্ড কেনেডি তঁার আত্মজীবনী লিখছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ সফরের স্মৃতি উলে্লখ করার আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি গত বছর জানুয়ারি মাসে বটগাছটির ছবি তুলে তঁাকে পাঠিয়েছিলাম।'
অধ্যাপক কামাল বলেন, তিনি সেই ছবির একটি ক্যাপশন হিসেবে লিখেছেন, Èতুমি যে গাছটি লাগিয়েছিলে, সেটি অনেক বড় ও শক্তিশালী হয়েছে, কিন্তু এ দেশের গণতন্ত্র এখনো শক্তিশালী হয়নি।'
ইতিহাস বলে, স্বাধীনতাযুদ্ধের আগেও কলাভবনের সামনে একটি বটগাছ ছিল। সেটি রোপণ করা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। এই বটতলায় ছাত্ররা সভা-সমাবেশ করতেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আন্দোলন যাতে আরও ব্যাপক না হয়, সেই চিন্তা থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওই বটগাছটি কেটে ফেলে। এরই স্মারক হিসেবে স্বাধীনতার পর সিনেটর কেনেডি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে এখানে নতুন করে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেন।
তবে বটগাছটি কার লাগানো, তা শনাক্তকারী কোনো চিহ্ন বা সাইনবোর্ড কোথাও নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গাছটি কেনেডির লাগানো∏এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। তাই কোনো চিহ্ন কোথাও দেওয়া হয়নি। তবে এখন একটি সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যাপারে কতর্ৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে।
সেলিমের দাবি: বটগাছটি এখন যেখানে আছে, কেনেডি ঠিক সেখানে গাছটি রোপণ করেননি। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম দাবি করেছেন, কলাভবনের সামনে কেনেডি একটি গাছ লাগিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটি ছিল বর্তমান গাছটি থেকে একটু দূরে ডান পাশে। বর্তমান গাছটি তিনি ও ডাকসুর কয়েকজন নেতা ১৯৭২ সালের শেষের দিকে রোপণ করেছিলেন। কোনো অনুষ্ঠান করে গাছটি রোপণ করা হয়নি। তঁারা কেনেডির রোপণ করা গাছটিকেই স্থানান্তর করেছেন কি না, সে সম্পর্কে সুনির্দষ্টি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
কেনেডির মৃতু্যতে শোক: ইউএনবি জানায়, মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শানি্ততে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। কেনেডির কন্যা কারা কেনেডি এলেনের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সিনেটর কেনেডি ছিলেন একজন মহান ও পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং ন্যায়নীতির ক্ষেত্রে অতুলনীয়। তিনি বলেন, Èসিনেটর কেনেডির মৃতু্যতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।' ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় কেনেডির সঙ্গে তঁার প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতি স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কেনেডির সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ছিল তঁার অকুণ্ঠ সমর্থন।
বাসস জানায়, কেনেডির মৃতু্যতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এডওয়ার্ড কেনেডির স্মরণে একটি শোকবই খুলেছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শোকবই সবার জন্য খোলা থাকবে।
No comments